নারায়ণগঞ্জ ০৮:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সোনারগাঁয়ে লাগামহীন মাছ-মাংসের বাজার, সবজিতে স্বস্তি

 অনলাইন ভার্সন
  • ০৯:৪৪:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ মার্চ ২০২৪
  • / ৪০২

"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

মাজহারুল রাসেল : নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার সপ্তাহ ব্যবধানে আবারও অস্থির নিত্যপণ্যের বাজার। রমজানের শুরুতে সবজির বাজারে যে তেজিভাব ছিল তা এখন তেমন নেই। বেশ কিছুটা স্বস্তি এসেছে সবজির বাজারে। তবে বাজারে চড়া মাছ-মাংসের দাম। এতে বিপাকে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষেরা। শনিবার (৩০ মার্চ) উপজেলার বিভিন্ন বাজর ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।

সবজি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রোজার শুরুতে বেগুনের কেজি ছিল ৮০ থেকে ১০০ টাকা। এখন বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। শসার রোজার শুরুতে ছিল ১০০ টাকারও ওপরে। এখন বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা দরে। একইভাবে লাউ, পেঁপে, মিষ্টি কুমড়াসহ ঝিঙ্গা, চিচিঙ্গা, করলার মতো সবজির দাম গত সপ্তাহের তুলনায় কেজি প্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা কমেছে।

মোগরাপাড়া চৌরাস্তার বাজারে দেখা গেছে,মাঝারি মানের চালের (পাইজাম ও বিআর–২৮) ৫৫-৫৬ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৫৭-৬০ টাকা। মিনিকেট ও নাজিরশাইলের মতো সরু চালের দাম ৬২-৭৮ টাকা থেকে বেড়ে ৬৪-৮০ টাকা হয়েছে। আর আগে যে মোটা চালের (স্বর্ণা ও চায়না ইরি) কেজি ৫০-৫১ টাকা ছিল তা এখন ৫২-৫৩ টাকা।

এদিকে পেঁয়াজের বাজার গত কয়েক সপ্তাহ ধরে নিম্নমুখী ছিল। এ মাসের শুরুতেও সরকারিভাবে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির খবরে ও হালি জাতের পেঁয়াজ বাজারে উঠতে শুরু করায় ১২০ টাকা কেজির পেঁয়াজের দর ৬০ টাকায় নামতে দেখা যায়। কিন্তু হুট করে নির্বাচনকে সামনে রেখে গত ২৩ মার্চ বাজার নিয়ন্ত্রণে ভারত আবারও অনির্দিষ্টকালের জন্য পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। পরে উপজেলার বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। কয়েকদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়ে গেছে ২০ টাকা পর্যন্ত। বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়।

অন্যদিকে সোনারগাঁও উপজেলার কাচপুর.আদমপুর .বৈদ্যের বাজার. মোগরাপাড়া বাজার সহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহ ব্যবধানে বেড়েছে প্রায় সব ধরনের মাছের দাম। বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে মাছের সরবরাহ কম। তাছাড়া মাছের বাজারে প্রতিদিনই ওঠানামা করে।

মোগরা পাড়া চৌরাস্তার বাজারের মাছ বিক্রেতা জাকির বলেন, মাছের সরবরাহ কমায় দাম বেড়েছে। দেশি মাছের পাশাপাশি চাষের মাছেও কেজিতে দাম বেড়েছে ১০-৫০ টাকা পর্যন্ত।

বাজারে প্রতি কেজি তেলাপিয়া ২০০-২২০ টাকা, আকারভেদে চাষের পাঙাশ ১৮০-২৩০ টাকা, চাষের শিং ৫০০ টাকা, চাষের মাগুর ৫৫০ টাকা ও চাষের কৈ বিক্রি হচ্ছে ২৫০-৩০০ টাকায়। আর আকারভেদে প্রতি কেজি রুই ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকা, কাতলা ৪০০ থেকে ৪৮০ টাকা, কোরাল ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, টেংরা ৫৫০ থেকে ৭০০ টাকা, দেশি কৈ ১ হাজার ৩০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা, শিং ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা, শোল ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকা, বোয়াল ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, আইড় ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা, বাইম ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার টাকার ওপরে।

বাজারে ঊর্ধ্বমুখী মাংসের দামও। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২০০-২২০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩২০-৩৫০ টাকা, দেশি মুরগি ৬০০-৬৫০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৬০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ৩২০-৩৩০ টাকায়। আর জাতভেদে প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০-৭০০ টাকায়।

এদিকে প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকায়। এছাড়া প্রতিকেজি খাসির মাংস এক হাজার ৫০ টাকা থেকে এক হাজার ১০০ টাকা ও ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকায়।


"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

👍ফেসবুকে আলোকিত শীতলক্ষ্যা

সোনারগাঁয়ে লাগামহীন মাছ-মাংসের বাজার, সবজিতে স্বস্তি

০৯:৪৪:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ মার্চ ২০২৪
"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

মাজহারুল রাসেল : নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার সপ্তাহ ব্যবধানে আবারও অস্থির নিত্যপণ্যের বাজার। রমজানের শুরুতে সবজির বাজারে যে তেজিভাব ছিল তা এখন তেমন নেই। বেশ কিছুটা স্বস্তি এসেছে সবজির বাজারে। তবে বাজারে চড়া মাছ-মাংসের দাম। এতে বিপাকে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষেরা। শনিবার (৩০ মার্চ) উপজেলার বিভিন্ন বাজর ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।

সবজি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রোজার শুরুতে বেগুনের কেজি ছিল ৮০ থেকে ১০০ টাকা। এখন বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। শসার রোজার শুরুতে ছিল ১০০ টাকারও ওপরে। এখন বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা দরে। একইভাবে লাউ, পেঁপে, মিষ্টি কুমড়াসহ ঝিঙ্গা, চিচিঙ্গা, করলার মতো সবজির দাম গত সপ্তাহের তুলনায় কেজি প্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা কমেছে।

মোগরাপাড়া চৌরাস্তার বাজারে দেখা গেছে,মাঝারি মানের চালের (পাইজাম ও বিআর–২৮) ৫৫-৫৬ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৫৭-৬০ টাকা। মিনিকেট ও নাজিরশাইলের মতো সরু চালের দাম ৬২-৭৮ টাকা থেকে বেড়ে ৬৪-৮০ টাকা হয়েছে। আর আগে যে মোটা চালের (স্বর্ণা ও চায়না ইরি) কেজি ৫০-৫১ টাকা ছিল তা এখন ৫২-৫৩ টাকা।

এদিকে পেঁয়াজের বাজার গত কয়েক সপ্তাহ ধরে নিম্নমুখী ছিল। এ মাসের শুরুতেও সরকারিভাবে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির খবরে ও হালি জাতের পেঁয়াজ বাজারে উঠতে শুরু করায় ১২০ টাকা কেজির পেঁয়াজের দর ৬০ টাকায় নামতে দেখা যায়। কিন্তু হুট করে নির্বাচনকে সামনে রেখে গত ২৩ মার্চ বাজার নিয়ন্ত্রণে ভারত আবারও অনির্দিষ্টকালের জন্য পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। পরে উপজেলার বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। কয়েকদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে বেড়ে গেছে ২০ টাকা পর্যন্ত। বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়।

অন্যদিকে সোনারগাঁও উপজেলার কাচপুর.আদমপুর .বৈদ্যের বাজার. মোগরাপাড়া বাজার সহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহ ব্যবধানে বেড়েছে প্রায় সব ধরনের মাছের দাম। বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে মাছের সরবরাহ কম। তাছাড়া মাছের বাজারে প্রতিদিনই ওঠানামা করে।

মোগরা পাড়া চৌরাস্তার বাজারের মাছ বিক্রেতা জাকির বলেন, মাছের সরবরাহ কমায় দাম বেড়েছে। দেশি মাছের পাশাপাশি চাষের মাছেও কেজিতে দাম বেড়েছে ১০-৫০ টাকা পর্যন্ত।

বাজারে প্রতি কেজি তেলাপিয়া ২০০-২২০ টাকা, আকারভেদে চাষের পাঙাশ ১৮০-২৩০ টাকা, চাষের শিং ৫০০ টাকা, চাষের মাগুর ৫৫০ টাকা ও চাষের কৈ বিক্রি হচ্ছে ২৫০-৩০০ টাকায়। আর আকারভেদে প্রতি কেজি রুই ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকা, কাতলা ৪০০ থেকে ৪৮০ টাকা, কোরাল ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, টেংরা ৫৫০ থেকে ৭০০ টাকা, দেশি কৈ ১ হাজার ৩০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা, শিং ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা, শোল ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকা, বোয়াল ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, আইড় ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা, বাইম ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার টাকার ওপরে।

বাজারে ঊর্ধ্বমুখী মাংসের দামও। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২০০-২২০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩২০-৩৫০ টাকা, দেশি মুরগি ৬০০-৬৫০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৬০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ৩২০-৩৩০ টাকায়। আর জাতভেদে প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০-৭০০ টাকায়।

এদিকে প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকায়। এছাড়া প্রতিকেজি খাসির মাংস এক হাজার ৫০ টাকা থেকে এক হাজার ১০০ টাকা ও ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকায়।


"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"