০৬:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪

রৌদ্র ও গরমের তীব্রতায় পুড়ছে নারায়ণগঞ্জ; বিপাকে শ্রমজীবী মানুষ

  • ১১:০৭:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪
  • / ৩৫৯

"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

স্টাফ রিপোর্টার : সারা দেশের ন্যায় নারায়ণগঞ্জেও বৈশাখের তীব্র দাবদাহে পুড়ছে পুরো এলাকা। কয়েক দিনের তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। বিশেষ করে বেশি বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ। সকাল থেকেই ভ্যাপসা গরম পড়তে থাকে এবং বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে সূর্যের প্রখরতা।

এতে করে নারায়ণগঞ্জ শহর ও শহরের বাইরের পুরো এলাকায় তীব্র উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে। ফলে নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষেরা পড়েছেন চরম বিপাকে। নির্মাণ শ্রমিক, মাটিকাটা শ্রমিক, ভ্যান চালক গরমে হা-হুতাশ করতে দেখা গেছে।

রৌদ্র ও গরমের তীব্রতা এতটাই বেশি যে, বাইরে কাজে বের হয়ে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। জীবিকার তাগিদে উপায়ান্ত না পেয়ে তীব্র রোদেই কাজে বের হতে হয় খেটে খাওয়া মানুষদের। দিনমজুর থেকে শুরু করে নিম্ন আয়ের মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে অন্য সবার চেয়ে বেশি।

নারায়ণগঞ্জ শহরের ভ্যান চালক বাবুল মিয়া বলেন, বৈশাখের এই তীব্র রোদের কারণে ভ্যান চালাতে খুব কষ্ট হচ্ছে। এত গরম যে রাস্তায় দাঁড়ানো কঠিন হয়ে যাচ্ছে। গরমের কারণে মানুষ কম বের হচ্ছে। ফলে আয়-ইনকাম কমে গেছে।

নারায়ণগঞ্জ শহরের বাসিন্দা ডলি বেগম বলেন, প্রচণ্ড গরম পড়েছে। বাচ্চা নিয়ে খুবই সমস্যায় আছি। ঘরের মধ্যে গরমে থাকা যায় না। আমার সন্তান কয়েক দিন থেকে জ্বর-সর্দি ও কাশিতে ভুগছে। জানি না কবে বৃষ্টির দেখা মিলবে।

রিকশাচালক আলী হোসেন বলেন, এতো গরমে রিকশা চালানো যায় না। গত দুই দিন বাসায় শুয়ে ছিলাম। চাল কিনতে হবে তাই আজ রিকশা নিয়ে রাস্তায় বের হয়েছি। এক টিপ দিয়ে ছায়ায় বসে থাকছি। দূরের যাত্রী উঠাচ্ছি না।

আব্দুল মালিক নামের এক ব্যক্তি বলেন, প্রচণ্ড রোদে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষজন কাজ করতে হাঁপিয়ে উঠছে। সকালে জরুরি কাজে শহরে এসেছিলাম। দুপুরের দিকে প্রচণ্ড গরমে গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে যাচ্ছে। কোথাও স্বস্তি নেই। রাস্তাঘাটে লোক চলাচলও কম।

হাসান নামের এক শিশু বলেন, বাড়িতে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় ঘরে থাকা যাচ্ছে না। তাই বন্ধুদের নিয়ে পুকুরে গোসল করতে এসেছি। বন্ধুদের নিয়ে গোসল করে এখন একটু স্বস্তি লাগছে।

এদিকে তাপপ্রবাহের এমন অস্থিরতায় নাকাল হাসপাতালগুলো। জ্বর, ডায়রিয়াসহ গরমজনিত নানা রোগ নিয়ে প্রতিদিনই হাসপাতালে ভিড় করছেন রোগীরা। আক্রান্তদের বেশিরভাগ শিশু। রোগীর চাপে সেবা দিতে বেগ পেতে হচ্ছে চিকিৎসকদের।

অন্যদিকে দেশে চলমান তাপপ্রবাহ শুক্রবার থেকে আগামী সোমবার সকাল পর্যন্ত ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে এবং তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে জানিয়ে সারাদেশে ৭২ ঘণ্টার হিট এলার্ট দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।


"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

👍ফেসবুকে আলোকিত শীতলক্ষ্যা

You cannot copy content of this page

রৌদ্র ও গরমের তীব্রতায় পুড়ছে নারায়ণগঞ্জ; বিপাকে শ্রমজীবী মানুষ

১১:০৭:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪
"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

স্টাফ রিপোর্টার : সারা দেশের ন্যায় নারায়ণগঞ্জেও বৈশাখের তীব্র দাবদাহে পুড়ছে পুরো এলাকা। কয়েক দিনের তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। বিশেষ করে বেশি বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ। সকাল থেকেই ভ্যাপসা গরম পড়তে থাকে এবং বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে সূর্যের প্রখরতা।

এতে করে নারায়ণগঞ্জ শহর ও শহরের বাইরের পুরো এলাকায় তীব্র উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে। ফলে নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষেরা পড়েছেন চরম বিপাকে। নির্মাণ শ্রমিক, মাটিকাটা শ্রমিক, ভ্যান চালক গরমে হা-হুতাশ করতে দেখা গেছে।

রৌদ্র ও গরমের তীব্রতা এতটাই বেশি যে, বাইরে কাজে বের হয়ে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। জীবিকার তাগিদে উপায়ান্ত না পেয়ে তীব্র রোদেই কাজে বের হতে হয় খেটে খাওয়া মানুষদের। দিনমজুর থেকে শুরু করে নিম্ন আয়ের মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে অন্য সবার চেয়ে বেশি।

নারায়ণগঞ্জ শহরের ভ্যান চালক বাবুল মিয়া বলেন, বৈশাখের এই তীব্র রোদের কারণে ভ্যান চালাতে খুব কষ্ট হচ্ছে। এত গরম যে রাস্তায় দাঁড়ানো কঠিন হয়ে যাচ্ছে। গরমের কারণে মানুষ কম বের হচ্ছে। ফলে আয়-ইনকাম কমে গেছে।

নারায়ণগঞ্জ শহরের বাসিন্দা ডলি বেগম বলেন, প্রচণ্ড গরম পড়েছে। বাচ্চা নিয়ে খুবই সমস্যায় আছি। ঘরের মধ্যে গরমে থাকা যায় না। আমার সন্তান কয়েক দিন থেকে জ্বর-সর্দি ও কাশিতে ভুগছে। জানি না কবে বৃষ্টির দেখা মিলবে।

রিকশাচালক আলী হোসেন বলেন, এতো গরমে রিকশা চালানো যায় না। গত দুই দিন বাসায় শুয়ে ছিলাম। চাল কিনতে হবে তাই আজ রিকশা নিয়ে রাস্তায় বের হয়েছি। এক টিপ দিয়ে ছায়ায় বসে থাকছি। দূরের যাত্রী উঠাচ্ছি না।

আব্দুল মালিক নামের এক ব্যক্তি বলেন, প্রচণ্ড রোদে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষজন কাজ করতে হাঁপিয়ে উঠছে। সকালে জরুরি কাজে শহরে এসেছিলাম। দুপুরের দিকে প্রচণ্ড গরমে গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে যাচ্ছে। কোথাও স্বস্তি নেই। রাস্তাঘাটে লোক চলাচলও কম।

হাসান নামের এক শিশু বলেন, বাড়িতে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় ঘরে থাকা যাচ্ছে না। তাই বন্ধুদের নিয়ে পুকুরে গোসল করতে এসেছি। বন্ধুদের নিয়ে গোসল করে এখন একটু স্বস্তি লাগছে।

এদিকে তাপপ্রবাহের এমন অস্থিরতায় নাকাল হাসপাতালগুলো। জ্বর, ডায়রিয়াসহ গরমজনিত নানা রোগ নিয়ে প্রতিদিনই হাসপাতালে ভিড় করছেন রোগীরা। আক্রান্তদের বেশিরভাগ শিশু। রোগীর চাপে সেবা দিতে বেগ পেতে হচ্ছে চিকিৎসকদের।

অন্যদিকে দেশে চলমান তাপপ্রবাহ শুক্রবার থেকে আগামী সোমবার সকাল পর্যন্ত ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে এবং তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে জানিয়ে সারাদেশে ৭২ ঘণ্টার হিট এলার্ট দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।


"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"