নারায়ণগঞ্জ ০৯:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মানুষের সমালোচনা করা অনেক সহজ, কিন্তু মানুষের প্রশংসা করা খুব কঠিন : শামীম ওসমান

 অনলাইন ভার্সন
  • ১০:৪৭:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ এপ্রিল ২০২৪
  • / ৩৯৩

"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, আমাদের ছোট্ট এ দেশে সতেরো কোটি মানুষ না হয়ে যদি কম হতো তাহলে আমরা ঘরে বসে খেতে পারতাম। তবে আলহামদুলিল্লাহ আমরা ভালো আছি। জনসংখ্যা বেশি সেটাই আমাদের জন্য এখন শক্তিতে পরিণত হয়েছে।

কিন্তু এখন কেমন জানি সব দিকে কেমন খাই খাই ভাব। এমন মনে হয়, যে মানচিত্রটাই খেয়ে ফেলবে। আমাদের নতুন প্রজন্মের কাজ হচ্ছে, ভালো মানুষদের জন্য রাস্তা পরিস্কার করা। আর বিনিময়ে কিছু না চাওয়া। মানুষের সমালোচনা করা অনেক সহজ, কিন্তু মানুষের প্রশংসা করা খুব কঠিন। তবে, আমরা চেষ্টা করি সবাইকে ভালো বলতে।

আমি যখন তোলারাম কলেজের ভিপি ছিলাম। প্রচুর পাওয়ারফুল ছিলাম। এখনকার দশটা এমপির চেয়েও পাওয়ার বেশি ছিল সে সময়। তবুও নয়শ টাকার জন্য ফরম পূরণ করতে পারিনি। আমার বড় ভাই একজনের বাড়িতে গিয়েছিলেন নয়শ টাকার জন্য, নাম বলছি না। তারা সেদিন বলেছিল বন্ধক রাখার মতো কিছু কী আছে।

তখন জীবন কানাই চক্রবর্তী স্যার আমার ফরম পূরণ করে দিয়েছিলেন। এখন আমি একটা সই দিয়ে এক হাজার ছেলের বেতন মওকুফ করে দিচ্ছি, তখন আমি আমার নিজের বেতন মওকুফ করি নাই। কারণ এটা আমার আদর্শ ছিলো এবং আছে। এটাই ছিল নৈতিকতা। এখনো নৈতিকতা নিয়ে রাজনীতি করতে চাই। এখন চারদিকে এত খাই খাই, মনে হয় মানচিত্র খেয়ে ফেলবে।

সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে নিতাইগঞ্জে আন্তর্জাতিক সেবা মুলক প্রতিষ্ঠান ‘ভালো’ এর নতুন শাখার উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসবকথা বলেন।

শামীম ওসমান আরও বলেন, মানুষের দুইটা জিনিস খুব দরকার। খুদা লাগলে খাবার, অসুস্থ হলে চিকিৎসা। আমার বাবা গ্রেপ্তার হওয়ার পর খুব খারাপ ভাবে আমাদের দিন গেছে। আওয়ামী লীগের বহু বড় বড় নেতা, কেউ আসেনি তখন। টাকার অভাবে চিকিৎসা না হওয়ার কষ্ট আমি ভোগ করেছি। ২০০১ সালের পর আমেরিকা ছিলাম যখন, আমি আমার মেয়ের জন্য এন্টিবায়োটিক কিনতে পারিনি। আমাদের দিন অনেক কঠিনভাবে গেছে।

তিনি বলেন, এ পৃথিবী আপনাকে কিছু দেবে না। দরকার আপনার শেষ ঠিকানায়। সত্য হলো আমাদের যেতে হবে। আমি এটা মানি। তাই প্রতি রাতে তওবা ও নামাজ পড়ে ঘুমাই। কারণ কালকে আমি বাঁচব কীনা জানি না। আমরা প্রত্যাশা নামে একটি সংগঠন করেছি। গরমের জন্য এটা আটকে আছে। তবে গরম কমলেই আমরা প্রতিটি এলাকায় এ কার্যক্রম শুরু করবো।

তিনি আরও বলেন, পৃথিবীতে চারিদিকে যুদ্ধ। বড় দেশগুলো যদি বলে আগামী দুই বছর আমরা কোনো অস্ত্র বানাবো না। যদি তিন বছরের জন্য ওরা বলত আমরা অস্ত্র তৈরি করবো না তাহলে পৃথিবীর একটা মানুষকেও না খেয়ে থাকতে হবে না। আশা করি পৃথিবীর বড় বড় নেতাদের এ সেন্সটা হবে। পৃথিবীর মানুষগুলো ভালো থাকবে।

সংগঠনটির উপদেষ্টা ও বিসিবি পরিচালক তানভীর আহমেদ টিটুর সভাপতিত্বে এসময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- জেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান সালমা ওসমান লিপি।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- আমাদের নতুন সময় পত্রিকার সাবেক সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান, সংগঠনটির স্বাথ্য বিষয়ক পরিচালক ডা. শামীম আহমেদ, নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বাবু চন্দন শীল, সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শাহরিয়ার রহমান।


"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

👍ফেসবুকে আলোকিত শীতলক্ষ্যা

মানুষের সমালোচনা করা অনেক সহজ, কিন্তু মানুষের প্রশংসা করা খুব কঠিন : শামীম ওসমান

১০:৪৭:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ এপ্রিল ২০২৪
"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, আমাদের ছোট্ট এ দেশে সতেরো কোটি মানুষ না হয়ে যদি কম হতো তাহলে আমরা ঘরে বসে খেতে পারতাম। তবে আলহামদুলিল্লাহ আমরা ভালো আছি। জনসংখ্যা বেশি সেটাই আমাদের জন্য এখন শক্তিতে পরিণত হয়েছে।

কিন্তু এখন কেমন জানি সব দিকে কেমন খাই খাই ভাব। এমন মনে হয়, যে মানচিত্রটাই খেয়ে ফেলবে। আমাদের নতুন প্রজন্মের কাজ হচ্ছে, ভালো মানুষদের জন্য রাস্তা পরিস্কার করা। আর বিনিময়ে কিছু না চাওয়া। মানুষের সমালোচনা করা অনেক সহজ, কিন্তু মানুষের প্রশংসা করা খুব কঠিন। তবে, আমরা চেষ্টা করি সবাইকে ভালো বলতে।

আমি যখন তোলারাম কলেজের ভিপি ছিলাম। প্রচুর পাওয়ারফুল ছিলাম। এখনকার দশটা এমপির চেয়েও পাওয়ার বেশি ছিল সে সময়। তবুও নয়শ টাকার জন্য ফরম পূরণ করতে পারিনি। আমার বড় ভাই একজনের বাড়িতে গিয়েছিলেন নয়শ টাকার জন্য, নাম বলছি না। তারা সেদিন বলেছিল বন্ধক রাখার মতো কিছু কী আছে।

তখন জীবন কানাই চক্রবর্তী স্যার আমার ফরম পূরণ করে দিয়েছিলেন। এখন আমি একটা সই দিয়ে এক হাজার ছেলের বেতন মওকুফ করে দিচ্ছি, তখন আমি আমার নিজের বেতন মওকুফ করি নাই। কারণ এটা আমার আদর্শ ছিলো এবং আছে। এটাই ছিল নৈতিকতা। এখনো নৈতিকতা নিয়ে রাজনীতি করতে চাই। এখন চারদিকে এত খাই খাই, মনে হয় মানচিত্র খেয়ে ফেলবে।

সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে নিতাইগঞ্জে আন্তর্জাতিক সেবা মুলক প্রতিষ্ঠান ‘ভালো’ এর নতুন শাখার উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসবকথা বলেন।

শামীম ওসমান আরও বলেন, মানুষের দুইটা জিনিস খুব দরকার। খুদা লাগলে খাবার, অসুস্থ হলে চিকিৎসা। আমার বাবা গ্রেপ্তার হওয়ার পর খুব খারাপ ভাবে আমাদের দিন গেছে। আওয়ামী লীগের বহু বড় বড় নেতা, কেউ আসেনি তখন। টাকার অভাবে চিকিৎসা না হওয়ার কষ্ট আমি ভোগ করেছি। ২০০১ সালের পর আমেরিকা ছিলাম যখন, আমি আমার মেয়ের জন্য এন্টিবায়োটিক কিনতে পারিনি। আমাদের দিন অনেক কঠিনভাবে গেছে।

তিনি বলেন, এ পৃথিবী আপনাকে কিছু দেবে না। দরকার আপনার শেষ ঠিকানায়। সত্য হলো আমাদের যেতে হবে। আমি এটা মানি। তাই প্রতি রাতে তওবা ও নামাজ পড়ে ঘুমাই। কারণ কালকে আমি বাঁচব কীনা জানি না। আমরা প্রত্যাশা নামে একটি সংগঠন করেছি। গরমের জন্য এটা আটকে আছে। তবে গরম কমলেই আমরা প্রতিটি এলাকায় এ কার্যক্রম শুরু করবো।

তিনি আরও বলেন, পৃথিবীতে চারিদিকে যুদ্ধ। বড় দেশগুলো যদি বলে আগামী দুই বছর আমরা কোনো অস্ত্র বানাবো না। যদি তিন বছরের জন্য ওরা বলত আমরা অস্ত্র তৈরি করবো না তাহলে পৃথিবীর একটা মানুষকেও না খেয়ে থাকতে হবে না। আশা করি পৃথিবীর বড় বড় নেতাদের এ সেন্সটা হবে। পৃথিবীর মানুষগুলো ভালো থাকবে।

সংগঠনটির উপদেষ্টা ও বিসিবি পরিচালক তানভীর আহমেদ টিটুর সভাপতিত্বে এসময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- জেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান সালমা ওসমান লিপি।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- আমাদের নতুন সময় পত্রিকার সাবেক সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান, সংগঠনটির স্বাথ্য বিষয়ক পরিচালক ডা. শামীম আহমেদ, নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বাবু চন্দন শীল, সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শাহরিয়ার রহমান।


"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"