নারায়ণগঞ্জ ০৪:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নারায়ণগঞ্জের প্রাণকেন্দ্র চাষাঢ়ায়

রাতের আধারে ভেঙে ফেলা হলো জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল

 অনলাইন ভার্সন
  • ১১:৩৮:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল ২০২৪
  • / ৪১৫

"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জের প্রাণকেন্দ্র চাষাঢ়ায় অবস্থিত শহীদ জিয়া হলের ওপরে স্থাপিত বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল ভেঙে ফেলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) সকালে জিয়া হলের কেয়ারটেকার আরিফের চোখে বিষয়টি ধরা পড়ে।

এরআগে বুধবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় ম্যুরালটি ভেঙে ফেলে দুর্বৃত্তরা। তবে এর পেছনে কারা জড়িত তা তৎক্ষণাৎ জানা যায়নি। এদিকে আশপাশের লোকজনের মাধ্যমে পুরো বিষয়টি জেলাজুড়ে চাউর হয়।

খবর পেয়ে দুপুরের দিকে জিয়া হলে ভাঙা ম্যুরাল পরিদর্শনে আসেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, নারায়ণগঞ্জ সদও থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা, সাধারণ সম্পাদক এড. এইচ এম আনোয়ার প্রধান, বন্দর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ, বিএনপি নেতা শেখ সেলিম আহমেদসহ মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দ। এ সময় ভাঙা ম্যুরাল দেখে নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ ও আক্ষেপ প্রকাশ করেন।

্এ বিষয়ে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, আমরা অত্যন্ত ব্যথিত, হতবাক ও ক্ষুব্ধ। এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য না। এই জিয়া হল নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসনের অধীনে আছে। রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি একজন সেক্টর কমান্ডার ছিলেন। তিনি যুদ্ধের পর বীর উত্তম উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন। ১৯ দফা কর্মসূচির মাধ্যমে তিনি এ দেশকে রক্ষা করেছিলেন। তার নামে এ অডিটরিয়াম যেটা জিয়া হল নামে পরিচিত। এটি একটি পরিকল্পিত ঘটনা। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ- সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ বলেছেন, চাষাড়া জিয়া হলে জিয়াউর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত ম্যুরাল ভেঙে ফেলায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে। শহীদ জিয়াউর রহমানের নাম এদেশের প্রতিটি হৃদয়ে রয়েছে। নানাভাবে ষড়যন্ত্র করে জিয়াউর রহমানের অবদান মুছে ফেলতে চাইছে, কারণ তারা বিএনপি তথা জিয়া পরিবারকে ভয় পায়। নারায়ণগঞ্জ জিয়া হল থেকে জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল ভেঙে ফেলে এদেশের মানুষের হৃদয় থেকে জিয়াউর রহমানের নাম কখনো মুছে ফেলা সম্ভব নয়। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে নারায়ণগঞ্জ প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি কারা এই শহীদ জিয়াউর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত ম্যুরাল ভেঙে ফেললো তাদেরকে খোঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার জন্য। পাশাপাশি শহীদ জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল পুনরায় নির্মাণের জন্যও জোর দাবি জানাচ্ছি।

এই বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হক বলেন, এই বিষয়টি আমার জানা নেই। জেলা প্রশাসন থেকে হলটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। ভবনটি ভাঙার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু ম্যুরাল ভাঙার কোনো উদ্যোগ জেলা প্রশাসন নেয়নি। কোনো দুর্বৃত্তরা এই কাজ করে থাকতে পারে। বিষয়টি আমি পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েছি। তাঁরা তদন্ত করে দেখবে।


"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

👍ফেসবুকে আলোকিত শীতলক্ষ্যা

নারায়ণগঞ্জের প্রাণকেন্দ্র চাষাঢ়ায়

রাতের আধারে ভেঙে ফেলা হলো জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল

১১:৩৮:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল ২০২৪
"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জের প্রাণকেন্দ্র চাষাঢ়ায় অবস্থিত শহীদ জিয়া হলের ওপরে স্থাপিত বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল ভেঙে ফেলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) সকালে জিয়া হলের কেয়ারটেকার আরিফের চোখে বিষয়টি ধরা পড়ে।

এরআগে বুধবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় ম্যুরালটি ভেঙে ফেলে দুর্বৃত্তরা। তবে এর পেছনে কারা জড়িত তা তৎক্ষণাৎ জানা যায়নি। এদিকে আশপাশের লোকজনের মাধ্যমে পুরো বিষয়টি জেলাজুড়ে চাউর হয়।

খবর পেয়ে দুপুরের দিকে জিয়া হলে ভাঙা ম্যুরাল পরিদর্শনে আসেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, নারায়ণগঞ্জ সদও থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা, সাধারণ সম্পাদক এড. এইচ এম আনোয়ার প্রধান, বন্দর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ, বিএনপি নেতা শেখ সেলিম আহমেদসহ মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দ। এ সময় ভাঙা ম্যুরাল দেখে নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ ও আক্ষেপ প্রকাশ করেন।

্এ বিষয়ে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, আমরা অত্যন্ত ব্যথিত, হতবাক ও ক্ষুব্ধ। এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য না। এই জিয়া হল নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসনের অধীনে আছে। রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি একজন সেক্টর কমান্ডার ছিলেন। তিনি যুদ্ধের পর বীর উত্তম উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন। ১৯ দফা কর্মসূচির মাধ্যমে তিনি এ দেশকে রক্ষা করেছিলেন। তার নামে এ অডিটরিয়াম যেটা জিয়া হল নামে পরিচিত। এটি একটি পরিকল্পিত ঘটনা। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ- সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ বলেছেন, চাষাড়া জিয়া হলে জিয়াউর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত ম্যুরাল ভেঙে ফেলায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে। শহীদ জিয়াউর রহমানের নাম এদেশের প্রতিটি হৃদয়ে রয়েছে। নানাভাবে ষড়যন্ত্র করে জিয়াউর রহমানের অবদান মুছে ফেলতে চাইছে, কারণ তারা বিএনপি তথা জিয়া পরিবারকে ভয় পায়। নারায়ণগঞ্জ জিয়া হল থেকে জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল ভেঙে ফেলে এদেশের মানুষের হৃদয় থেকে জিয়াউর রহমানের নাম কখনো মুছে ফেলা সম্ভব নয়। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে নারায়ণগঞ্জ প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি কারা এই শহীদ জিয়াউর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত ম্যুরাল ভেঙে ফেললো তাদেরকে খোঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার জন্য। পাশাপাশি শহীদ জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল পুনরায় নির্মাণের জন্যও জোর দাবি জানাচ্ছি।

এই বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হক বলেন, এই বিষয়টি আমার জানা নেই। জেলা প্রশাসন থেকে হলটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। ভবনটি ভাঙার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু ম্যুরাল ভাঙার কোনো উদ্যোগ জেলা প্রশাসন নেয়নি। কোনো দুর্বৃত্তরা এই কাজ করে থাকতে পারে। বিষয়টি আমি পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েছি। তাঁরা তদন্ত করে দেখবে।


"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"