নারায়ণগঞ্জ ০৫:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাইকারি বাজারে তরমুজের দাম অর্ধেকে নেমেছে

 অনলাইন ভার্সন
  • ১০:৫৯:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪
  • / ৩৬৪

"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

স্টাফ রিপোর্টার : নারায়ণগঞ্জ শহরের ফলের প্রধান পাইকারি বাজার চারারগোপে তরমুজের দাম অর্ধেকে নেমেছে। গত দুই দিন বৃষ্টি এবং মেঘলা আবহাওয়ায় তরমুজ ব্যবসায় ধস নেমেছে। আর তরমুজের ফলন ও সরবরাহ ভালো হওয়ায় দামও কমতে শুরু করেছে বলছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা।

তবে তরমুজ আনতে পরিবহন খরচ অনেক বেড়েছে। শ্রমিক সার সবকিছুর দাম বেশি বলে দাবি করছেন তরমুজ নিয়ে আসা চাষীরা।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সরেজমিনে শহরের কালীবাজার চারারগোপের ফলের আড়াৎ গুলোতে গিয়ে দেখা যায়, জমে উঠে জমজমাট তরমুজের হাট। ক্রেতা বিক্রেতাদের হাক ডাকে সকাল থেকে মুখরিত থাকে পুরো হাট এলাকা। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তরমুজ আসে এ হাটে।

একটি ট্রাক আড়তে আসার সাথে সাথে ব্যস্ত হয়ে পড়ে আড়তের শ্রমিক ও ক্রেতা বিক্রেতারা। ট্রাক থেকে হাতে হাতে নামানো হয় এই তরমুজগুলো আর ট্রলার হতে আড়তে উঠানো হয় ঝুপড়ি ভরে। নামানোর সময় সাইজ অনুসারে আড়তের সামনে ১৫০থেকে ১০০টি করে তরমুজ একেক স্থানে স্তূপ করা হয়।

বড় সাইজগুলো একস্থানে মাঝারিগুলো একস্থানে এবং ছোটগুলো আরেকস্থানে এভাবে ট্রাক এবং ট্রলার থেকে তরমুজ নামিয়ে স্তূপকরা হয় আড়তের সামনে। পরে সেগুলোকে সাইজ অনুযায়ী বিভিন্ন দামে বিক্রি করা হয়।

দেখা যায়, সবচেয়ে বড় সাইজের তরমুজ ৩০০ থেকে ২৫০ টাকা পিস হিসাবে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মধ্যম সাইজের ২০০ থেকে ১৫০ টাকা। একেবারে ছোট সাইজের ১০০ থেকে ৮০ টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে।

চারারগোপ ফলের আড়তে তরমুজ বিক্রি করতে আসা ভোলা চরফ্যাশনের কৃষক সালাউদ্দিন বলেন, এ বছর তরমুজের চারা রোপণ মৌসুমে ভারি বৃষ্টিপাত হওয়ায় ২৫ পারসেন্টের মতো চারা গাছ নষ্ট হয়ে গেছে। তাছাড়া তরমুজ আনতে পরিবহন খরচ অনেক বেড়েছে।

শ্রমিকের মজুরি সার সবকিছুর দাম বেশি। আমাদের এ বছর প্রতিটি তরমুজ উৎপাদন করতে ১০০ টাকার মতো খরচ হয়েছে।

দাম বেশির ব্যাপারে তিনি বলেন, মৌসুমের শুরুতে দাম বেশি ছিল কিন্তু এখন তরমুজ পুরোপুরি উঠতে শুরু করেছে। সামনে দাম আরও কমে যাবে।

মায়ের দোয়া আড়তের মালিক মাসুম মৃধা বলেন, আমাদের আড়তে এ মৌসুমে তরমুজ বিক্রি হয়। এখানে নদী পথে সড়ক পথে উভয় পথে তরমুজ আসে। প্রতিদিন সকাল হতে রাত পর্যন্ত তরমুজের বেচাকেনা চলে।

আমি নিজে প্রতিদিন ১২ থেকে ১৫ লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করি। এখানকার সব আড়ত মিলে কোটি টাকার তরমুজ বিক্রি হয় প্রতিদিন।

তিনি আরও বলেন, গত সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারি বাজারে তরমুজের দাম অর্ধেকে নেমে এসেছে। যেই তরমুজ বিক্রি হয়েছে ৬০০ টাকায় সেই তরমুজ এখন বিক্রি হচ্ছে ৩০০টাকায়।

বর্তমানে বড় সাইজের তরমুজ ৩০০ থেকে ২৫০ টাকা পিস হিসাবে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মধ্যম সাইজের ২০০ থেকে ১৫০ টাকা। একেবারে ছোট সাইজের ১০০ থেকে ৮০ টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে।


"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

👍ফেসবুকে আলোকিত শীতলক্ষ্যা

পাইকারি বাজারে তরমুজের দাম অর্ধেকে নেমেছে

১০:৫৯:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪
"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

স্টাফ রিপোর্টার : নারায়ণগঞ্জ শহরের ফলের প্রধান পাইকারি বাজার চারারগোপে তরমুজের দাম অর্ধেকে নেমেছে। গত দুই দিন বৃষ্টি এবং মেঘলা আবহাওয়ায় তরমুজ ব্যবসায় ধস নেমেছে। আর তরমুজের ফলন ও সরবরাহ ভালো হওয়ায় দামও কমতে শুরু করেছে বলছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা।

তবে তরমুজ আনতে পরিবহন খরচ অনেক বেড়েছে। শ্রমিক সার সবকিছুর দাম বেশি বলে দাবি করছেন তরমুজ নিয়ে আসা চাষীরা।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সরেজমিনে শহরের কালীবাজার চারারগোপের ফলের আড়াৎ গুলোতে গিয়ে দেখা যায়, জমে উঠে জমজমাট তরমুজের হাট। ক্রেতা বিক্রেতাদের হাক ডাকে সকাল থেকে মুখরিত থাকে পুরো হাট এলাকা। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তরমুজ আসে এ হাটে।

একটি ট্রাক আড়তে আসার সাথে সাথে ব্যস্ত হয়ে পড়ে আড়তের শ্রমিক ও ক্রেতা বিক্রেতারা। ট্রাক থেকে হাতে হাতে নামানো হয় এই তরমুজগুলো আর ট্রলার হতে আড়তে উঠানো হয় ঝুপড়ি ভরে। নামানোর সময় সাইজ অনুসারে আড়তের সামনে ১৫০থেকে ১০০টি করে তরমুজ একেক স্থানে স্তূপ করা হয়।

বড় সাইজগুলো একস্থানে মাঝারিগুলো একস্থানে এবং ছোটগুলো আরেকস্থানে এভাবে ট্রাক এবং ট্রলার থেকে তরমুজ নামিয়ে স্তূপকরা হয় আড়তের সামনে। পরে সেগুলোকে সাইজ অনুযায়ী বিভিন্ন দামে বিক্রি করা হয়।

দেখা যায়, সবচেয়ে বড় সাইজের তরমুজ ৩০০ থেকে ২৫০ টাকা পিস হিসাবে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মধ্যম সাইজের ২০০ থেকে ১৫০ টাকা। একেবারে ছোট সাইজের ১০০ থেকে ৮০ টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে।

চারারগোপ ফলের আড়তে তরমুজ বিক্রি করতে আসা ভোলা চরফ্যাশনের কৃষক সালাউদ্দিন বলেন, এ বছর তরমুজের চারা রোপণ মৌসুমে ভারি বৃষ্টিপাত হওয়ায় ২৫ পারসেন্টের মতো চারা গাছ নষ্ট হয়ে গেছে। তাছাড়া তরমুজ আনতে পরিবহন খরচ অনেক বেড়েছে।

শ্রমিকের মজুরি সার সবকিছুর দাম বেশি। আমাদের এ বছর প্রতিটি তরমুজ উৎপাদন করতে ১০০ টাকার মতো খরচ হয়েছে।

দাম বেশির ব্যাপারে তিনি বলেন, মৌসুমের শুরুতে দাম বেশি ছিল কিন্তু এখন তরমুজ পুরোপুরি উঠতে শুরু করেছে। সামনে দাম আরও কমে যাবে।

মায়ের দোয়া আড়তের মালিক মাসুম মৃধা বলেন, আমাদের আড়তে এ মৌসুমে তরমুজ বিক্রি হয়। এখানে নদী পথে সড়ক পথে উভয় পথে তরমুজ আসে। প্রতিদিন সকাল হতে রাত পর্যন্ত তরমুজের বেচাকেনা চলে।

আমি নিজে প্রতিদিন ১২ থেকে ১৫ লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করি। এখানকার সব আড়ত মিলে কোটি টাকার তরমুজ বিক্রি হয় প্রতিদিন।

তিনি আরও বলেন, গত সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারি বাজারে তরমুজের দাম অর্ধেকে নেমে এসেছে। যেই তরমুজ বিক্রি হয়েছে ৬০০ টাকায় সেই তরমুজ এখন বিক্রি হচ্ছে ৩০০টাকায়।

বর্তমানে বড় সাইজের তরমুজ ৩০০ থেকে ২৫০ টাকা পিস হিসাবে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মধ্যম সাইজের ২০০ থেকে ১৫০ টাকা। একেবারে ছোট সাইজের ১০০ থেকে ৮০ টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে।


"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"