প্রশাসন অর্থ বিনিময় ও রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার ঠেকাতে পারলে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে এমন আশা প্রকাশ করে নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী ও তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব ড. তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, সারা দেশের পরিস্থিতি সন্তোষজনক নয়। কিছু কিছু জেলায় তার দলের নেতা-কর্মীদের মারধর ও পোস্টার ছিঁড়ে ফেলছে। তবে নারায়ণগঞ্জে নির্বাচনের পরিবেশ এখন পর্যন্ত ভালো আছে।

মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলার রূপগঞ্জে মাদক ও সন্ত্রাসিদের ঘাঁটি হিসেবে খ্যাত “চনপাড়া পূনর্বাসন কেন্দ্রে” গণসংযোগ ও নির্বাচনী প্রচারণার সময় তিনি এসব কথা জানান। এসময় তিনি প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনকে আরও সতর্ক হওয়ারও আহবান জানান।

এসময় তৈমুর আলম খন্দকার বিপুল সংখ্যক কর্মী-সমর্থক ও গাড়ি বহর নিয়ে চনপাড়ার বিভিন্ন ওয়ার্ডের অলিগলিতে গিয়ে পথসভা ও গণসংযোগ করে সেখানকার বাসিন্দাদের কাছে ভোট চেয়ে তাদের নানা প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি।

পরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল তাতে মানুষের মধ্যে আতংক বিরাজ করছিল। আমার কর্মীদের মারধর করেছে, হুমকি দিয়েছে, রাতের অন্ধকারে পোস্টার ছিড়ে ফেলেছে। আমি ডিসি, এসপি ও প্রশানকে জানানোর পর তারা আমাকে আশ্বাস দিয়েছিলেন। ডিসি, এসপির আশ্বাসে পরিস্থতি আগের চেয়ে অনেক সহনীয় পর্যায়ে এসেছে। মানুষ ঘর থেকে বেরিয়ে আসছে। তাদের ভয় দূর হচ্ছে।

প্রশাসনের প্রতি মানুষের আস্থা ফিরে আসছে। এই অবস্থা থাকলে মানুষ স্বত:স্ফূর্তভাবে ভোট কেন্দ্রে ভোট দিতে যাবে। এজন্য নারায়ণগঞ্জের ডিসি এস পি ও নির্বাচন কমিশন সহ প্রশাসনকে আমি ধন্যবাদ জানাই।

চনপাড়া প্রসঙ্গে তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, এই চনপাড়া থেকে ঘোষণা দিয়েছিল নৌকার প্রার্থী ছাড়া আর কোন প্রর্থীর পোস্টার লাগবে না। আমার কর্মীরা পোস্টার লাগাতে আসলে এখানকার রীতা বাহিনী আমার তিনজন কর্মীকে মারধর করে বেঁধে রেখেছিল। গতকাল এক স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রচারণার সময় মুক্তিযোদ্ধাদের পর্যন্ত মারধর করেছে। প্রশাসনকে জানানোর পর তারা যৌথভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করেছে।