নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহা বলেছেন-১৯৭৫ সালের পর থেকে আমরা কিন্তু অনেক রক্ত দিয়েছি, আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। আমরা কিন্তু মানুষ হত্যা করি নাই। ওরা (বিএনপি-জামাত) কিন্তু আবারো দেশে অরাজগতা সৃষ্টি করার পাঁয়তারা করছে। আমরা কিন্তু এখনো সুস্থ আছি অচল না। ওদেরকে প্রতিহত করব, রাজপথে জবাব দিব। ওরা (বিএনপি-জামাত) যে হাত দিয়ে আগুন জ্বালাবে আমরা ওদের সেই হাত কেটে আগুনে নিক্ষিপ্ত করবো।

বিএনপি-জামাতের অপরাজনীতি, অগ্নিসন্ত্রাস, হত্যার রাজনীতি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য হত্যা এবং প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও দেশ-বিরোধী চক্রান্তের প্রতিবাদে মহানগর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এড. খোকন সাহা এসব কথা বলেন।

রবিবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে মহানগর আওয়ামী লীগের আয়োজনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এড. খোকন সাহা বলেন, ওরা (বিএনপি-জামাত) উন্নয়নের ধারা নস্যাৎ করতে চায়। ওরা দেশের মানুষকে শান্তিতে থাকতে দিতে চায় না। আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই জনগণের অন্তত প্রহরী হিসেবে শামীম ওসমানের কর্মীরা নারায়ণগঞ্জের প্রতিটি মানুষের ঘরের দরজায় গিয়ে প্রয়োজনে পাহারা দিব। জনগনের জানমালের রক্ষার দায়িত্ব আমাদের।

তিনি আরো বলেন, আজকে যারা এখানে আছে তারা সবাই আমাদের দলের অন্তত ত্যাগী কর্মী। আপনাদের আমলে আমাদের ত্যাগী নেতাদের উপর আপনারা স্টিল রোলাল চালিয়েছিল। আমাদেরকে সেই দিনের কথাগুলো মনে করিয়ে দিবেন না। তাহলে বাংলাদেশের কোথাও আপনারা থাকতে পারবেন না। মরণকে আমরা ভয় পাই না। ৭৫ সালের পর থেকে আমরা মাঠে আছি। আমৃত্যু মাঠে থাকবো তবুও এদেশের জন্য, দেশের মানুষকে আমরা শান্তি রাখতে চাই এবং আগামীতে একটি স্বনির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চাই।

এদিকে অনুষ্ঠান শুরুর আগে দেখা গেছে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশকে সফল করার লক্ষ্যে তিনটা থেকেই নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের আওতাধীন বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা খণ্ড-খণ্ড মিছিল নিয়ে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে এসে জড়ো হয়।

নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বাবু চন্দন শীল এর সভাপতিত্বে শান্তি সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হায়দার আলী পুতুল, মাসুদুর রহমান খসরু, রবিউল হোসেন, এড. হান্নান আহমেদ দুলাল, যুগ্ম সম্পাদক জিএম আরমান, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, এড. মাহমুদা মালা, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির মৃধা, দপ্তর সম্পাদক এড. বিদ্যুৎ কুমার সাহা, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন ভুইয়া সাজনু, জেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক আব্দুল কাদির, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এহসানুল হক নিপু, সাবেক সভাপতি শেখ সাফায়েত আলম সানি, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি জুয়েল হোসেন, মহানগর আওয়ামী তাঁতীলীগের আহ্বায়ক শাহেদ চৌধুরী, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান, সাধারণ সম্পাদক রাসেল প্রধানসহ মহানগর আওয়ামী লীগের আওতাধীন বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সকল নেতৃবৃন্দ প্রমূখ।