নারায়ণগঞ্জ ০৯:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সোনারগাঁয়ে চিচিঙ্গা চাষে শতাধিক কৃষকের ভাগ্যবদল

 অনলাইন ভার্সন
  • ০৬:৫৩:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২১
  • / ৫২৯

"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

মাজহারুল রাসেল (আলোকিত শীতলক্ষ্যা) : সোনারগাঁ উপজেলায় চিচিঙ্গা চাষ করে বদলে গেছে শতাধিক কৃষকের ভাগ্য। অসচ্ছল অনেক কৃষকের পরিবারে চিচিঙ্গা এনে দিয়েছে সচ্ছলতা।

উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১০ টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে দিগন্তজুড়ে চিচিঙ্গার চাষ হয়েছে। ধান চাষের ওপর নির্ভরশীল কৃষিজমিতে চিচিঙ্গা চাষ এনে দিয়েছে কৃষকের জীবনে নতুন গতি। কৃষকদের জীবন-জীবিকার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে কৃষির এই সফল বিবর্তন।

উপজেলার উৎপাদিত চিচিঙ্গা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে রপ্তানি হচ্ছে। দামও বেশ ভাল। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে। আর পাইকারি হিসেবে প্রতি কেজি চিচিঙ্গা ৩৫ থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

উর্বর বেলে দো-আঁশ মাটির প্রাচুর্যের কারণে এই উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ধানের চেয়ে রবিশস্য ও সবজি আবাদ বেশি হয়। বর্তমানে পৌরসভার হামছাদী,বালিয়া দীঘিরপার, রাইজধা, সনমান্দি,শম্ভুপুরা, পিরোজপুর, বৈদ্যের বাজার, নয়াগাঁও, জামপুর ও সাদিপুর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ব্যাপকভাবে চিচিঙ্গা উৎপাদিত হচ্ছে।

উপজেলার চিচিঙ্গা চাষীরা জানান, প্রতি একর জমিতে চিচিঙ্গা চাষ করতে খরচ পড়ে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা। এই ফলন বিক্রি করে বাজারদর অনুযায়ী ৯০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকার অধিক পাবে কৃষক।

সনমান্দি ইউনিয়নের বাংলা বাজার গ্রামের আবুল হোসেন জানান, এবার তিনি প্রায় এক একর জমিতে চিচিঙ্গা চাষ করেছেন। এতে তার সর্বসাকুল্যে খরচ হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। তিনি এ পর্যন্ত ৬৫ হাজার টাকার চিচিঙ্গা বিক্রি করেছেন। আরও ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকার চিচিঙ্গা বিক্রি করার আশা করছেন তিনি।

সোনারগাঁ পৌরসভার হামছাদী গ্রামের কৃষক সোহেল আরমান জানান, তিনি এ পর্যন্ত ৫৫ হাজার টাকার চিচিঙ্গা বিক্রি করেছেন। আরও প্রায় ৭০ থেকে ৭৫ হাজার টাকার চিচিঙ্গা বিক্রি করতে পারবেন। এতে করে তার প্রায় ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা মুনাফা হবে।

এই উপজেলায় চিচিঙ্গা চাষ করে শতাধিক কৃষকের ভাগ্য অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে। সরেজমিনে চিচিঙ্গা ক্ষেত পরিদর্শন করতে গেলে,এদের মধ্যে জামান নামের এক চিচিঙ্গা চাষী বলেন, স্থানীয় কৃষি বিভাগের অনুপ্রেরণায় প্রায় অনাবাদী জমিতে চিচিঙ্গা চাষ করি। এতে করে আমরা শতভাগ সফল হয়েছি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরা আক্তার জানান, উপজেলার প্রায় প্রত্যেকটি ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রামে এবার চিচিঙ্গার বাম্পার ফলন হয়েছে। করোনা কালীন কৃষকদের দুঃসময়ের কারণে সহস্রাধিক কৃষকদের মাঝে বিভিন্ন জাতের চিচিঙ্গার বীজ ও সার বিনা মূল্যে কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হয়। কৃষকরা উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর থেকে সঠিক পরামর্শ ও বিনামূল্যে উন্নত মানের সার ও বীজ পেয়ে কৃষকেরা চিচিঙ্গার বাম্পার ফলন পেয়ে অভাবনীয় সাফল্য পাচ্ছেন।


"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

👍ফেসবুকে আলোকিত শীতলক্ষ্যা

সোনারগাঁয়ে চিচিঙ্গা চাষে শতাধিক কৃষকের ভাগ্যবদল

০৬:৫৩:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২১
"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

মাজহারুল রাসেল (আলোকিত শীতলক্ষ্যা) : সোনারগাঁ উপজেলায় চিচিঙ্গা চাষ করে বদলে গেছে শতাধিক কৃষকের ভাগ্য। অসচ্ছল অনেক কৃষকের পরিবারে চিচিঙ্গা এনে দিয়েছে সচ্ছলতা।

উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১০ টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে দিগন্তজুড়ে চিচিঙ্গার চাষ হয়েছে। ধান চাষের ওপর নির্ভরশীল কৃষিজমিতে চিচিঙ্গা চাষ এনে দিয়েছে কৃষকের জীবনে নতুন গতি। কৃষকদের জীবন-জীবিকার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে কৃষির এই সফল বিবর্তন।

উপজেলার উৎপাদিত চিচিঙ্গা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে রপ্তানি হচ্ছে। দামও বেশ ভাল। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে। আর পাইকারি হিসেবে প্রতি কেজি চিচিঙ্গা ৩৫ থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

উর্বর বেলে দো-আঁশ মাটির প্রাচুর্যের কারণে এই উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ধানের চেয়ে রবিশস্য ও সবজি আবাদ বেশি হয়। বর্তমানে পৌরসভার হামছাদী,বালিয়া দীঘিরপার, রাইজধা, সনমান্দি,শম্ভুপুরা, পিরোজপুর, বৈদ্যের বাজার, নয়াগাঁও, জামপুর ও সাদিপুর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ব্যাপকভাবে চিচিঙ্গা উৎপাদিত হচ্ছে।

উপজেলার চিচিঙ্গা চাষীরা জানান, প্রতি একর জমিতে চিচিঙ্গা চাষ করতে খরচ পড়ে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা। এই ফলন বিক্রি করে বাজারদর অনুযায়ী ৯০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকার অধিক পাবে কৃষক।

সনমান্দি ইউনিয়নের বাংলা বাজার গ্রামের আবুল হোসেন জানান, এবার তিনি প্রায় এক একর জমিতে চিচিঙ্গা চাষ করেছেন। এতে তার সর্বসাকুল্যে খরচ হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। তিনি এ পর্যন্ত ৬৫ হাজার টাকার চিচিঙ্গা বিক্রি করেছেন। আরও ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকার চিচিঙ্গা বিক্রি করার আশা করছেন তিনি।

সোনারগাঁ পৌরসভার হামছাদী গ্রামের কৃষক সোহেল আরমান জানান, তিনি এ পর্যন্ত ৫৫ হাজার টাকার চিচিঙ্গা বিক্রি করেছেন। আরও প্রায় ৭০ থেকে ৭৫ হাজার টাকার চিচিঙ্গা বিক্রি করতে পারবেন। এতে করে তার প্রায় ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা মুনাফা হবে।

এই উপজেলায় চিচিঙ্গা চাষ করে শতাধিক কৃষকের ভাগ্য অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে। সরেজমিনে চিচিঙ্গা ক্ষেত পরিদর্শন করতে গেলে,এদের মধ্যে জামান নামের এক চিচিঙ্গা চাষী বলেন, স্থানীয় কৃষি বিভাগের অনুপ্রেরণায় প্রায় অনাবাদী জমিতে চিচিঙ্গা চাষ করি। এতে করে আমরা শতভাগ সফল হয়েছি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরা আক্তার জানান, উপজেলার প্রায় প্রত্যেকটি ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রামে এবার চিচিঙ্গার বাম্পার ফলন হয়েছে। করোনা কালীন কৃষকদের দুঃসময়ের কারণে সহস্রাধিক কৃষকদের মাঝে বিভিন্ন জাতের চিচিঙ্গার বীজ ও সার বিনা মূল্যে কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা হয়। কৃষকরা উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর থেকে সঠিক পরামর্শ ও বিনামূল্যে উন্নত মানের সার ও বীজ পেয়ে কৃষকেরা চিচিঙ্গার বাম্পার ফলন পেয়ে অভাবনীয় সাফল্য পাচ্ছেন।


"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"