০১:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪

রমজানের আগেই ঊর্ধ্বমুখী দাম, অস্বস্তিতে ক্রেতা

  • ১১:১৪:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ মার্চ ২০২৪
  • / ৪৪১

"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

বিশেষ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জে সরবরাহ কম থাকার অজুহাতে রমজানের আগেই প্রায় সব পণ্যের দাম বেড়েছে। এতে সাধারণ ক্রেতারা চাহিদামত পণ্য সংগ্রহ করতে না পেরে অস্বস্তি প্রকাশ করেছেন। তাদের অভিযোগ, গত সপ্তাহের তুলনায় প্রতিটি পণ্যের দাম ৫-১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।

শুক্রবার (৮ মার্চ) নারায়ণগঞ্জ শহরের প্রধান পাইকারি বাজার দিগুবাবুর বাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মাছ, সবজি, আলু, চিনি, মসুর-অ্যাংকর-খেসারি ডাল ও ছোলার দাম বেড়েছে। রমজানের আগে দাম আরও বাড়তে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।

দিগুবাবুরের কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, বেগুন প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, করলা ৮০ থেকে ১০০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, কচুর লতি ৯০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, শিম ৫০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৮০ টাকা, প্রতি পিস লাউ ৫০ টাকা, বাঁধাকপি ৫০ টাকা, ফুলকপি ৪০ টাকা, টমেটো ৪০ থেকে ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, শসা ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, ঢেঁড়শ ৬০ টাকা, পটল ৯০ টাকা ও শালগম ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায় ও দেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজ ১০০-১১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

গত সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে সব ধরনের মাছের দাম। চাষের পাঙাশ কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকায়, তেলাপিয়া ২২০ টাকায়, চাষের শিং ৪৮০-৫০০ টাকায়, রুই ৩০০-৩৫০ টাকায়, কই ৩০০ টাকা, পাবদা ৪৫০-৫০০ টাকায়, চিংড়ি ১০০০ টাকা, কাতলা ৫০০-৬০০ টাকা, রূপচাঁদা ১৩০০ টাকা, কোরাল ৮০০ টাকা, চিতল ৬০০ টাকা এবং এক কেজি ওজনের ইলিশ ২০০০ টাকা।

এদিকে, ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২০০-২২০ টাকা কেজি। সোনালি মুরগি ৩০০-৩৫০ টাকায়। ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়। গরুর মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৭৮০ টাকায়।

তবে, চাল, আটা, ময়দা ও ভোজ্যতেলের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। দিগুবাবুর বাজারের মুদি দোকানদার আক্তার হোসেন সুকুম বলেন, রমজানের আগে সরবরাহ কম থাকায় প্রায় সব ধরনের পণ্যের দাম বেড়েছে। বাড়তি কেনা পড়ে তাই বাড়তি দামে বিক্রি করতে হয়।

বাজারে কেনাকাটা করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী রাজু আহমেদ বলেন, দাম বাড়ার কারণে চাহিদামত পণ্য সংগ্রহ করতে পারছি না। প্রতিদিনই দেখি কোনো না কোনো পণ্যের দাম বাড়ে। কিন্তু আমাদের বেতন তো আর বাড়ে না। পৃথিবীর অন্যান্য মুসলমান দেশে রমজান আসলে সব পণ্যের দাম কমায়। কিন্তু আমাদের দেশে উল্টো। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী রমজান আসলেই পণ্যের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা করে।


"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

👍ফেসবুকে আলোকিত শীতলক্ষ্যা

You cannot copy content of this page

রমজানের আগেই ঊর্ধ্বমুখী দাম, অস্বস্তিতে ক্রেতা

১১:১৪:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ মার্চ ২০২৪
"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

বিশেষ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জে সরবরাহ কম থাকার অজুহাতে রমজানের আগেই প্রায় সব পণ্যের দাম বেড়েছে। এতে সাধারণ ক্রেতারা চাহিদামত পণ্য সংগ্রহ করতে না পেরে অস্বস্তি প্রকাশ করেছেন। তাদের অভিযোগ, গত সপ্তাহের তুলনায় প্রতিটি পণ্যের দাম ৫-১০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।

শুক্রবার (৮ মার্চ) নারায়ণগঞ্জ শহরের প্রধান পাইকারি বাজার দিগুবাবুর বাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মাছ, সবজি, আলু, চিনি, মসুর-অ্যাংকর-খেসারি ডাল ও ছোলার দাম বেড়েছে। রমজানের আগে দাম আরও বাড়তে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।

দিগুবাবুরের কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, বেগুন প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, করলা ৮০ থেকে ১০০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, কচুর লতি ৯০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, শিম ৫০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৮০ টাকা, প্রতি পিস লাউ ৫০ টাকা, বাঁধাকপি ৫০ টাকা, ফুলকপি ৪০ টাকা, টমেটো ৪০ থেকে ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, শসা ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, ঢেঁড়শ ৬০ টাকা, পটল ৯০ টাকা ও শালগম ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায় ও দেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজ ১০০-১১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

গত সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে সব ধরনের মাছের দাম। চাষের পাঙাশ কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকায়, তেলাপিয়া ২২০ টাকায়, চাষের শিং ৪৮০-৫০০ টাকায়, রুই ৩০০-৩৫০ টাকায়, কই ৩০০ টাকা, পাবদা ৪৫০-৫০০ টাকায়, চিংড়ি ১০০০ টাকা, কাতলা ৫০০-৬০০ টাকা, রূপচাঁদা ১৩০০ টাকা, কোরাল ৮০০ টাকা, চিতল ৬০০ টাকা এবং এক কেজি ওজনের ইলিশ ২০০০ টাকা।

এদিকে, ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২০০-২২০ টাকা কেজি। সোনালি মুরগি ৩০০-৩৫০ টাকায়। ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়। গরুর মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৭৮০ টাকায়।

তবে, চাল, আটা, ময়দা ও ভোজ্যতেলের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। দিগুবাবুর বাজারের মুদি দোকানদার আক্তার হোসেন সুকুম বলেন, রমজানের আগে সরবরাহ কম থাকায় প্রায় সব ধরনের পণ্যের দাম বেড়েছে। বাড়তি কেনা পড়ে তাই বাড়তি দামে বিক্রি করতে হয়।

বাজারে কেনাকাটা করতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী রাজু আহমেদ বলেন, দাম বাড়ার কারণে চাহিদামত পণ্য সংগ্রহ করতে পারছি না। প্রতিদিনই দেখি কোনো না কোনো পণ্যের দাম বাড়ে। কিন্তু আমাদের বেতন তো আর বাড়ে না। পৃথিবীর অন্যান্য মুসলমান দেশে রমজান আসলে সব পণ্যের দাম কমায়। কিন্তু আমাদের দেশে উল্টো। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী রমজান আসলেই পণ্যের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা করে।


"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"