০৫:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪

না’ঞ্জের ডিসি-এসপিকে নিয়ে সংসদে কথা বলবো

মনে রাখবেন, আমার নাম শামীম ওসমান, আমি কারও দয়ায় চলি না

  • ১০:২৪:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৪
  • / ৪৭৬

"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

অরাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন
‘প্রত্যাশা’
উদ্দেশ্য-মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, ইভটিজিং ও ভূমিদস্যুতা মুক্ত সমাজ গড়া।
মেডিক্যাল ক্যাম্প করে দুস্থ অসহায় মানুষকে চিকিৎসা প্রদান করা।
গরীব ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ায় সাহায্য প্রদান করা।

অরাজনৈতিক এ সংগঠন ‘প্রত্যাশা’র আত্মপ্রকাশ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সভায় নারায়ণগঞ্জ-৪ (সিদ্ধিরগঞ্জ-ফতুল্লা) আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান তার রাজনৈতিক জীবনের ৪৫ বছরেও আজকের মতো এত বিব্রত হননি বলে উল্লেখ করে বলেন, মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, ইভটিজিং ও ভূমিদস্যুতা বন্ধে আজকের এই আয়োজন। এজন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদ সচিব আমাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। স্থানীয় জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারকে আমি আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। এরপরও তারা কেন আসেননি, তা সংসদের প্রথম অধিবেশনেই সংসদ নেতা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জানতে চাইব। মনে রাখবেন, আমার নাম শামীম ওসমান। আমি কারও দয়ায় চলি না।

শনিবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের ওসমানী স্টেডিয়ামে আয়োজিত অরাজনৈতিক সংগঠন প্রত্যাশার আত্মপ্রকাশ উপলক্ষ্যে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিদের নিয়ে আয়োজিত সভায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

এর আগে অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ তাদের বক্তব্যে ডিসি-এসপি কেন আসেননি জানতে চেয়ে বলেন, এখানে মাদকের বিরুদ্ধে অনুষ্ঠান যা প্রশাসনের করা উচিত। তারা করেনি আবার আসেনওনি। কেন আসেননি তারা এর জবাব চান এবং এ ব্যাপারে শামীম ওসমানের পদক্ষেপ চান তারা।

এ সময় শামীম ওসমান আরও বলেন, অনেকেই অনেক কিছু করেন, আমরা সব দেখি। নারায়ণগঞ্জের টাকা ধরা পড়ে যাত্রাবাড়ীতে আর কেস দেখান ফতুল্লাতে। সাংবাদিকরা আমাদের অনেক কিছু জানান। আমি মাথা নত করার মানুষ না, হতাশ হবেন না। আমাদের নারায়ণগঞ্জ আমরাই ঠিক করবো। আমি তাদের দাওয়াত দিয়েছি। সরকারটা আওয়ামী লীগের। প্রশাসন আসেনি। আমি কী বলে তাদের মনের জোর বাড়াবো। প্রতিষ্ঠা হতে যাওয়া সংগঠন ‘প্রত্যাশা’র সাড়ে চার লাখ লোক রাস্তায় নেমে যদি বলে আমরা নারায়ণগঞ্জে অমুককে চাই না, তাহলে কিন্তু কেউ থাকতে পারবেন না।

শামীম ওসমান বলেন, আমি আনোয়ার ভাইকেও বলেছি, তিনি চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে আছেন। আমার ছোট বোন আইভী হয়তো ব্যস্ত। আমি বলতে চাই সবাই আসুন। একসঙ্গে বসে একত্রে আগামী প্রজন্মের জন্য সুন্দর নারায়ণগঞ্জ রেখে যেতে চাই।

তিনি আরও বলেন, আপনাদের দোয়ায় আমরা নিষিদ্ধপল্লী উচ্ছেদ করেছি। অনেকে ভেবেছিলেন এর পেছনে কোনো উদ্দেশ্য আছে। পবিত্র কাবা শরিফ ছ্ুঁয়ে এবার আমি ওয়াদা করেছি মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, ভূমিদস্যুতা ও ইভটিজিং বন্ধ করব। মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, আলেম, জনপ্রতিনিধি, আইনজীবী, ছাত্রছাত্রীরা এসেছেন এখানে।

আমরা একটা সুন্দর বাংলাদেশ চাই, একটা সুন্দর নারায়ণগঞ্জ চাই। যখন আমরা শুনি একটা মেয়ের সংসার ভেঙে যাচ্ছে স্বামীর মাদকের কারণে, একটা ১৮ বছরের ছেলে রাত ১২টায় বের হতে পারলেও মেয়েরা পারে না কেন? এই রাস্তায় কি নরপশু থাকে? জীবজন্তু থাকে? আমি জানি আজকের পর থেকে মাদক বিক্রির টাকা দিয়ে বিভিন্নভাবে আমাদের বিভক্ত করার চেষ্টা করবে।

এছাড়াও মাদক বিক্রেতাদের ইবলিশ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ওরা অনেক শক্তিশালী। ওদেরকে দুর্বল ভাববেন না। আমি কাল নাও থাকতে পারি। অনুরোধ থাকবে আপনারা বিষয়টি চলমান রাখবেন। ছিঁচকে সন্ত্রাসীদের কারণে ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করতে পারেন না। মাদক থেকেই আসে সন্ত্রাস, কিশোর গ্যাং। ৯০টি ওয়ার্ডের সাংবাদিক, আলেম, নারী, শিক্ষকদের নিয়ে একটা করে কমিটি করা হবে। যে মাদক খায় সে অসুস্থ, যে বেচে সে ইবলিশ শয়তান।

২৬ মার্চের আগে এক হাজার করে ভালো মানুষ চাই। আলেমরা অন্তত জুমায় মাদকের বিরুদ্ধে দুই মিনিট কথা বলবেন, শিক্ষকেরা ক্লাস নিতে গিয়ে কথা বলবেন। সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা চাই সাংবাদিকদের কাছে। তাদের মধ্যেও ভালো মন্দ আছে। যারা মেইনস্ট্রিম সাংবাদিক তারা কখনোই মাদককে সমর্থন করবে না। এরা সবাই চাইলে জেলায় মাদক, সন্ত্রাস থাকবে না।

তিনি আরও বলেন, আলেমরা অন্তত জুম্মার নামাজের খুদবার আগে মাদকের বিরুদ্ধে দুই মিনিট কথা বলবেন, শিক্ষকেরা ক্লাস শুরু করার আগে দুইমিনিট কথা বলবেন। সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা চাই সাংবাদিকদের কাছে। তাদের মধ্যেও ভালো মন্দ আছে। যারা মেইনস্ট্রিম সাংবাদিক তারা কখনোই মাদককে সমর্থন করবে না। এরা সবাই চাইলে জেলায় মাদক, সন্ত্রাস থাকবে না। আমরা মেডিকেল ক্যাম্প করবো ঢাকা থেকে বড় বড় চিকিৎসক নিয়ে এসে।

নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাইয়ের সভাপতিত্বে সভায় নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দন শীল, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু হাসনাত মো. শহিদ বাদল, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, শহর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন ভুইয়া সাজনুসহ জেলার আলেম-ওলামা, শিক্ষক, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি, চিকিৎসক, আইনজীবী, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ও বিভিন্ন প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।


"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

👍ফেসবুকে আলোকিত শীতলক্ষ্যা

You cannot copy content of this page

না’ঞ্জের ডিসি-এসপিকে নিয়ে সংসদে কথা বলবো

মনে রাখবেন, আমার নাম শামীম ওসমান, আমি কারও দয়ায় চলি না

১০:২৪:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৪
"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

অরাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন
‘প্রত্যাশা’
উদ্দেশ্য-মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, ইভটিজিং ও ভূমিদস্যুতা মুক্ত সমাজ গড়া।
মেডিক্যাল ক্যাম্প করে দুস্থ অসহায় মানুষকে চিকিৎসা প্রদান করা।
গরীব ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ায় সাহায্য প্রদান করা।

অরাজনৈতিক এ সংগঠন ‘প্রত্যাশা’র আত্মপ্রকাশ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সভায় নারায়ণগঞ্জ-৪ (সিদ্ধিরগঞ্জ-ফতুল্লা) আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান তার রাজনৈতিক জীবনের ৪৫ বছরেও আজকের মতো এত বিব্রত হননি বলে উল্লেখ করে বলেন, মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, ইভটিজিং ও ভূমিদস্যুতা বন্ধে আজকের এই আয়োজন। এজন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদ সচিব আমাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। স্থানীয় জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারকে আমি আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। এরপরও তারা কেন আসেননি, তা সংসদের প্রথম অধিবেশনেই সংসদ নেতা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জানতে চাইব। মনে রাখবেন, আমার নাম শামীম ওসমান। আমি কারও দয়ায় চলি না।

শনিবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের ওসমানী স্টেডিয়ামে আয়োজিত অরাজনৈতিক সংগঠন প্রত্যাশার আত্মপ্রকাশ উপলক্ষ্যে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিদের নিয়ে আয়োজিত সভায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

এর আগে অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ তাদের বক্তব্যে ডিসি-এসপি কেন আসেননি জানতে চেয়ে বলেন, এখানে মাদকের বিরুদ্ধে অনুষ্ঠান যা প্রশাসনের করা উচিত। তারা করেনি আবার আসেনওনি। কেন আসেননি তারা এর জবাব চান এবং এ ব্যাপারে শামীম ওসমানের পদক্ষেপ চান তারা।

এ সময় শামীম ওসমান আরও বলেন, অনেকেই অনেক কিছু করেন, আমরা সব দেখি। নারায়ণগঞ্জের টাকা ধরা পড়ে যাত্রাবাড়ীতে আর কেস দেখান ফতুল্লাতে। সাংবাদিকরা আমাদের অনেক কিছু জানান। আমি মাথা নত করার মানুষ না, হতাশ হবেন না। আমাদের নারায়ণগঞ্জ আমরাই ঠিক করবো। আমি তাদের দাওয়াত দিয়েছি। সরকারটা আওয়ামী লীগের। প্রশাসন আসেনি। আমি কী বলে তাদের মনের জোর বাড়াবো। প্রতিষ্ঠা হতে যাওয়া সংগঠন ‘প্রত্যাশা’র সাড়ে চার লাখ লোক রাস্তায় নেমে যদি বলে আমরা নারায়ণগঞ্জে অমুককে চাই না, তাহলে কিন্তু কেউ থাকতে পারবেন না।

শামীম ওসমান বলেন, আমি আনোয়ার ভাইকেও বলেছি, তিনি চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে আছেন। আমার ছোট বোন আইভী হয়তো ব্যস্ত। আমি বলতে চাই সবাই আসুন। একসঙ্গে বসে একত্রে আগামী প্রজন্মের জন্য সুন্দর নারায়ণগঞ্জ রেখে যেতে চাই।

তিনি আরও বলেন, আপনাদের দোয়ায় আমরা নিষিদ্ধপল্লী উচ্ছেদ করেছি। অনেকে ভেবেছিলেন এর পেছনে কোনো উদ্দেশ্য আছে। পবিত্র কাবা শরিফ ছ্ুঁয়ে এবার আমি ওয়াদা করেছি মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, ভূমিদস্যুতা ও ইভটিজিং বন্ধ করব। মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, আলেম, জনপ্রতিনিধি, আইনজীবী, ছাত্রছাত্রীরা এসেছেন এখানে।

আমরা একটা সুন্দর বাংলাদেশ চাই, একটা সুন্দর নারায়ণগঞ্জ চাই। যখন আমরা শুনি একটা মেয়ের সংসার ভেঙে যাচ্ছে স্বামীর মাদকের কারণে, একটা ১৮ বছরের ছেলে রাত ১২টায় বের হতে পারলেও মেয়েরা পারে না কেন? এই রাস্তায় কি নরপশু থাকে? জীবজন্তু থাকে? আমি জানি আজকের পর থেকে মাদক বিক্রির টাকা দিয়ে বিভিন্নভাবে আমাদের বিভক্ত করার চেষ্টা করবে।

এছাড়াও মাদক বিক্রেতাদের ইবলিশ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ওরা অনেক শক্তিশালী। ওদেরকে দুর্বল ভাববেন না। আমি কাল নাও থাকতে পারি। অনুরোধ থাকবে আপনারা বিষয়টি চলমান রাখবেন। ছিঁচকে সন্ত্রাসীদের কারণে ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করতে পারেন না। মাদক থেকেই আসে সন্ত্রাস, কিশোর গ্যাং। ৯০টি ওয়ার্ডের সাংবাদিক, আলেম, নারী, শিক্ষকদের নিয়ে একটা করে কমিটি করা হবে। যে মাদক খায় সে অসুস্থ, যে বেচে সে ইবলিশ শয়তান।

২৬ মার্চের আগে এক হাজার করে ভালো মানুষ চাই। আলেমরা অন্তত জুমায় মাদকের বিরুদ্ধে দুই মিনিট কথা বলবেন, শিক্ষকেরা ক্লাস নিতে গিয়ে কথা বলবেন। সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা চাই সাংবাদিকদের কাছে। তাদের মধ্যেও ভালো মন্দ আছে। যারা মেইনস্ট্রিম সাংবাদিক তারা কখনোই মাদককে সমর্থন করবে না। এরা সবাই চাইলে জেলায় মাদক, সন্ত্রাস থাকবে না।

তিনি আরও বলেন, আলেমরা অন্তত জুম্মার নামাজের খুদবার আগে মাদকের বিরুদ্ধে দুই মিনিট কথা বলবেন, শিক্ষকেরা ক্লাস শুরু করার আগে দুইমিনিট কথা বলবেন। সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা চাই সাংবাদিকদের কাছে। তাদের মধ্যেও ভালো মন্দ আছে। যারা মেইনস্ট্রিম সাংবাদিক তারা কখনোই মাদককে সমর্থন করবে না। এরা সবাই চাইলে জেলায় মাদক, সন্ত্রাস থাকবে না। আমরা মেডিকেল ক্যাম্প করবো ঢাকা থেকে বড় বড় চিকিৎসক নিয়ে এসে।

নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাইয়ের সভাপতিত্বে সভায় নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দন শীল, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু হাসনাত মো. শহিদ বাদল, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ নিজাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, শহর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন ভুইয়া সাজনুসহ জেলার আলেম-ওলামা, শিক্ষক, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি, চিকিৎসক, আইনজীবী, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ও বিভিন্ন প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।


"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"