০৭:৩১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪

কাঁচপুর বাস টার্মিনাল কাজের পরিদর্শনে মেয়র তাপস

  • ০৪:১৩:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৩
  • / ৪৪৯

"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, কাঁচপুরে ঢাকা নগর আন্ত:জেলা বাস প্রান্ত (টার্মিনাল) এর নির্মান কাজ আগামি বছরের মাঝামাঝি সময়ে শেষ হয়ে যাবে। টার্মিনালটি চালু হলে এখান থেকেই চট্রগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ১৬ টি জেলার বাস নির্বিঘ্নে চলাচল করবে। ফলে রাজধানির যানজট নিরসনসহ যাত্রীসেবার মানও উন্নত হবে। এছাড়া বাস চলাচলও অনেকটাই শৃঙ্খলার মধ্যে চলে আসবে।

অন্যদিকে যানজটের ভোগান্তি থেকে রেহাই পাবেন ঢাকা ও আশপাশের এলাকার বাসিন্দারা। আর সায়েদাবাদ হবে আন্ত:নগর বাস টার্মিনাল। এটিকেও সংস্কার করে আধুনিকায়ন করা হবে।

বুধবার (৬ নভেম্বর) সকাল ১১ টায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের কাঁচপুরে ঢাকা নগর আন্ত:জেলা বাস টার্মিনালের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় কাজের অগ্রগতির বিষয়ে মেয়র তাপস বলেন, আন্ত:জেলা বাস টার্মিনাল নির্মাণের জন্য আমরা চারটি স্থান নির্ধারণ করেছি। এরই মধ্যে কাঁচপুরে একটি টার্মিনালের কাজ শুরু হয়েছে। আমি খুব আনন্দিত আমরা যেভাবে আশা করেছিলাম ওইভাবেই কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। ইতোমধ্যে বালু ভরাটের কাজ শেষ হয়েছে। বাকি কাজ নির্ধারিত সময়েই শেষ হবে।

পাশাপাশি আমরা সীমানা প্রাচীরের কাজ শুরু করবো এবং কিছু অবকাঠামোর নির্মাণ কাজ করতে হবে। এর আগে আমরা পরিবহন মালিকদের সঙ্গে বসবো কি ধরনের অবকাঠামো নির্মাণ করলে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে সহজ হবে। এর পুরো কাজটাই আমরা নিজস্ব অর্থায়নে চালিয়ে যাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে যে বাস টার্মিনালগুলো রয়েছে সেগুলো আশির দশকে পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তখন শুধুমাত্র টার্মিনাল হিসেবে করা হয়েছিল। এরপর এখানে আন্ত:জেলা এবং সিটি বাস সব একসঙ্গে রাখা হয়েছিল।সেটা এখন কার্যকর না।

সেজন্য আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আন্ত:জেলা বাস টার্মিনালগুলোকে ঢাকার বাহিরে রাখতে হবে। আর ঢাকার মধ্যে যে টার্মিনালগুলো আছে সেখানে শুধু নগর বাসগুলো থাকবে। এভাবে আলাদা করে দেওয়ার ফলে ঢাকা শহরের যানজট অনেকটাই সহনশীল পর্যায়ে চলে আসবে। আর যে কোনো পরিকল্পনা নেওয়ার আগে এটাতে কেমন ধারণক্ষমতা থাকবে তারও পরিকল্পনা নিতে হয়। আশির দশকে যে পরিকল্পনা নিয়ে টার্মিনালগুলো নির্মাণ করা হয়েছিল তা বর্তমানে কার্যকর না হওয়াটাই স্বাভাবিক।

আমরা সেজন্য কাঁচপুরের পাশাপাশি আরেকটি স্থানে আন্ত:জেলা টার্মিনাল নির্মাণ করছি। যেনো একটার উপর বেশি চাপ পড়ে না যায়। টার্মিনাল পরিদর্শনে এসে নির্মান কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে সড়ক বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্মকর্তাদের সাথে কথাও বলেন তিনি।

এর আগে গত ৯ আগস্ট কাঁচপুরে টার্মিনালটির নির্মান কাজের ভিত্তিপ্রস্ত্রর উদ্বোধন করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।


"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

👍ফেসবুকে আলোকিত শীতলক্ষ্যা

You cannot copy content of this page

কাঁচপুর বাস টার্মিনাল কাজের পরিদর্শনে মেয়র তাপস

০৪:১৩:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৩
"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, কাঁচপুরে ঢাকা নগর আন্ত:জেলা বাস প্রান্ত (টার্মিনাল) এর নির্মান কাজ আগামি বছরের মাঝামাঝি সময়ে শেষ হয়ে যাবে। টার্মিনালটি চালু হলে এখান থেকেই চট্রগ্রাম ও সিলেট বিভাগের ১৬ টি জেলার বাস নির্বিঘ্নে চলাচল করবে। ফলে রাজধানির যানজট নিরসনসহ যাত্রীসেবার মানও উন্নত হবে। এছাড়া বাস চলাচলও অনেকটাই শৃঙ্খলার মধ্যে চলে আসবে।

অন্যদিকে যানজটের ভোগান্তি থেকে রেহাই পাবেন ঢাকা ও আশপাশের এলাকার বাসিন্দারা। আর সায়েদাবাদ হবে আন্ত:নগর বাস টার্মিনাল। এটিকেও সংস্কার করে আধুনিকায়ন করা হবে।

বুধবার (৬ নভেম্বর) সকাল ১১ টায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের কাঁচপুরে ঢাকা নগর আন্ত:জেলা বাস টার্মিনালের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় কাজের অগ্রগতির বিষয়ে মেয়র তাপস বলেন, আন্ত:জেলা বাস টার্মিনাল নির্মাণের জন্য আমরা চারটি স্থান নির্ধারণ করেছি। এরই মধ্যে কাঁচপুরে একটি টার্মিনালের কাজ শুরু হয়েছে। আমি খুব আনন্দিত আমরা যেভাবে আশা করেছিলাম ওইভাবেই কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। ইতোমধ্যে বালু ভরাটের কাজ শেষ হয়েছে। বাকি কাজ নির্ধারিত সময়েই শেষ হবে।

পাশাপাশি আমরা সীমানা প্রাচীরের কাজ শুরু করবো এবং কিছু অবকাঠামোর নির্মাণ কাজ করতে হবে। এর আগে আমরা পরিবহন মালিকদের সঙ্গে বসবো কি ধরনের অবকাঠামো নির্মাণ করলে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে সহজ হবে। এর পুরো কাজটাই আমরা নিজস্ব অর্থায়নে চালিয়ে যাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে যে বাস টার্মিনালগুলো রয়েছে সেগুলো আশির দশকে পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তখন শুধুমাত্র টার্মিনাল হিসেবে করা হয়েছিল। এরপর এখানে আন্ত:জেলা এবং সিটি বাস সব একসঙ্গে রাখা হয়েছিল।সেটা এখন কার্যকর না।

সেজন্য আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আন্ত:জেলা বাস টার্মিনালগুলোকে ঢাকার বাহিরে রাখতে হবে। আর ঢাকার মধ্যে যে টার্মিনালগুলো আছে সেখানে শুধু নগর বাসগুলো থাকবে। এভাবে আলাদা করে দেওয়ার ফলে ঢাকা শহরের যানজট অনেকটাই সহনশীল পর্যায়ে চলে আসবে। আর যে কোনো পরিকল্পনা নেওয়ার আগে এটাতে কেমন ধারণক্ষমতা থাকবে তারও পরিকল্পনা নিতে হয়। আশির দশকে যে পরিকল্পনা নিয়ে টার্মিনালগুলো নির্মাণ করা হয়েছিল তা বর্তমানে কার্যকর না হওয়াটাই স্বাভাবিক।

আমরা সেজন্য কাঁচপুরের পাশাপাশি আরেকটি স্থানে আন্ত:জেলা টার্মিনাল নির্মাণ করছি। যেনো একটার উপর বেশি চাপ পড়ে না যায়। টার্মিনাল পরিদর্শনে এসে নির্মান কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে সড়ক বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্মকর্তাদের সাথে কথাও বলেন তিনি।

এর আগে গত ৯ আগস্ট কাঁচপুরে টার্মিনালটির নির্মান কাজের ভিত্তিপ্রস্ত্রর উদ্বোধন করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।


"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"