০৭:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪

সোনারগাঁয়ে কলেজ ছাত্র মফিজুল ইসলাম হত্যায় ১ জনের ফাঁসি, যাবজ্জীবন ৯

  • ১০:১৭:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২১
  • / ৪৭০

"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

আলোকিত শীতলক্ষ্যা : সোনারঁগায়ে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে কলেজ ছাত্র মফিজুল ইসলাম হত্যা মামলার রায়ে এক জনকে ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকরের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে ফাসির দন্ডপ্রাপ্তকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করেছে। একই মামলার রায়ে দুই নারীসহ আরো ৯জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড করা হয়েছে।

রোববার (১২ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক সাবিনা ইয়াসমিনের আদালত রায় ঘোষনা করেন। রায় ঘোষনার সময় ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামী সহ ৩জন পলাতক ও ৭জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, ফাসিরদন্ডপ্রাপ্ত জাহিদুল ইসলাম জাহিদ (৩৮) তার ছোট ভাই যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আলমগীর (৩৫) ও বাসিত (২৮) পলাতক রয়েছে। তারা মুছারচর এলাকার মৃত. জুলহাস মিয়ার ছেলে। আদালতে উপস্থিত ছিলেন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসাদ, শাহ জামাল, জুয়েল, মমতাজ বেগম, কল্পনা বেগম, কামাল ও নজরুল ইসলাম।

আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রশিকিউটর অ্যাডভোকেট জাসমীন আহমেদ রায় ঘোষনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ২০১১ সালের ৯ নভেম্বর রাতে সোনারগাঁয়ের মুছারচর এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে উল্লেখিত আসামীরা শহীদুল্লার বাড়িতে টেটা ও ধারালো ছুরিসহ হামলা চালায়। এসময় শহীদুল্লার কলেজ পড়ুয়া ছেলে মফিজুল ইসলামকে টেটা দিয়ে খুচিয়ে হত্যা করে।

একই সময় বাড়ি ঘরে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। এতে আরো কয়েকজন আহত হয়। এঘটনায় শহীদুল্লার বাদী হয়ে সোনারগাঁও থানায় ১০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় আদালত সাক্ষ্যপ্রমান গ্রহন করে রায় ঘোষনা করেছেন।

মামলার বাদী আদালতের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে উচ্চ আদালতে রায় বহালেন দাবী জানিয়েছেন।


"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

👍ফেসবুকে আলোকিত শীতলক্ষ্যা

You cannot copy content of this page

সোনারগাঁয়ে কলেজ ছাত্র মফিজুল ইসলাম হত্যায় ১ জনের ফাঁসি, যাবজ্জীবন ৯

১০:১৭:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২১
"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

আলোকিত শীতলক্ষ্যা : সোনারঁগায়ে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে কলেজ ছাত্র মফিজুল ইসলাম হত্যা মামলার রায়ে এক জনকে ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকরের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে ফাসির দন্ডপ্রাপ্তকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করেছে। একই মামলার রায়ে দুই নারীসহ আরো ৯জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড করা হয়েছে।

রোববার (১২ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক সাবিনা ইয়াসমিনের আদালত রায় ঘোষনা করেন। রায় ঘোষনার সময় ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামী সহ ৩জন পলাতক ও ৭জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, ফাসিরদন্ডপ্রাপ্ত জাহিদুল ইসলাম জাহিদ (৩৮) তার ছোট ভাই যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আলমগীর (৩৫) ও বাসিত (২৮) পলাতক রয়েছে। তারা মুছারচর এলাকার মৃত. জুলহাস মিয়ার ছেলে। আদালতে উপস্থিত ছিলেন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসাদ, শাহ জামাল, জুয়েল, মমতাজ বেগম, কল্পনা বেগম, কামাল ও নজরুল ইসলাম।

আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রশিকিউটর অ্যাডভোকেট জাসমীন আহমেদ রায় ঘোষনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ২০১১ সালের ৯ নভেম্বর রাতে সোনারগাঁয়ের মুছারচর এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে উল্লেখিত আসামীরা শহীদুল্লার বাড়িতে টেটা ও ধারালো ছুরিসহ হামলা চালায়। এসময় শহীদুল্লার কলেজ পড়ুয়া ছেলে মফিজুল ইসলামকে টেটা দিয়ে খুচিয়ে হত্যা করে।

একই সময় বাড়ি ঘরে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। এতে আরো কয়েকজন আহত হয়। এঘটনায় শহীদুল্লার বাদী হয়ে সোনারগাঁও থানায় ১০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় আদালত সাক্ষ্যপ্রমান গ্রহন করে রায় ঘোষনা করেছেন।

মামলার বাদী আদালতের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে উচ্চ আদালতে রায় বহালেন দাবী জানিয়েছেন।


"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"