০৭:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ মে ২০২৪

গ্যাসের আগুনে দগ্ধ আরো দুই জনের মৃত্যু, এ নিয়ে মৃত্যু-৫জন

  • ১০:২৯:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২০
  • / ৪৭৮

"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

স্টাফ রিপোর্টার আলোকিত শীতলক্ষ্যা ডটকম : নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ-ফতুল্লার সিমান্তবর্তী মিজমিজি সাহেবপাড়া এলাকায় গ্যাসের আগুনে দগ্ধ হওয়া একই পরিবারের ৮ জনের মধ্যে আরো দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতের নাম আপন (১২) ও তার চাচা হিরন (৩০)। দগ্ধ হয়ে দীর্ঘ ৮ দিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় থেকে সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারী) দিবাগত রাতে এবং মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারী) সকালে তারা মারা যান। অগ্নিদগ্ধের ঘটনায় এ নিয়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। দগ্ধ আরো দুইজনের চিকিৎসা চলছে এবং একজনকে হাসপাতাল থেকে সুস্থ্য অবস্থায় বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর বাচ্চু মিয়া জানান, আগুনের ঘটনায় মা নুরজাহান বেগম (৭০), ছেলে কিরণ ( ৫৫), হিরন (৩০), নাতি আবুল বাশার ইমন (২৮) ও আপন (১২) সহ এ পর্যন্ত পাঁচজন মারা গেছেন। সোমবার দুপুরে ইলমা (২) নামে একশিশুকে ছাড়পত্র দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং শিশুটির মা মুক্তা (২০) বর্তমানে শঙ্কামুক্ত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে কাউসার নামে একজনের অবস্থা এখনো আশংকামুক্ত নন।

নিহত কিরণের ভগ্নিপতি মোস্তফা খান জানান, মঙ্গলবার ভোরে আপনের লাশ মিজমিজি সাহেবপাড়া এলাকার বাসায় নিয়ে আসা হয়। সকাল ৮টায় সাহেবপাড়া জামে মসজিদে নামাজে জানাজার পর পরই খবর আসে তার চাচা হিরন মারা গেছে। দুপুর সাড়ে ৩টায় হিরনের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে স্থানীয় কবরস্থানে নিহত আপনের পিতা কিরণ মিয়া, দাদি নূরজাহান, বড়ভাই ইমনের কবরের পাশে তার ও তার চাচা হিরনের মরদেহ দাফন করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, সিদ্ধিরগঞ্জের সিমান্তবর্তী ফতুল্লা থানার মিজমিজি সাহেবপাড়া (সাইনবোর্ড) এলাকার বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা ফারুক হোসেনের বাড়ির ৫ তলা বাড়ির নিচ তলায় একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন নূরজাহান বেগম ও তার পরিবারের সদস্যরা। গত ১৭ই ফেব্রুয়ারি ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে গ্যাসের চুলায় আগুন ধরাতে গিয়ে আগুনে দগ্ধ হন নুরজাহান বেগম। গ্যাসের চুলার চাবি চালু রেখে রাতে ঘুমিয়ে পড়ায় গ্যাস বের হয়ে পুরো ফ্লাটে ছড়িয়ে যাওয়ার কারণে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে যায়।

এসময় তাকে বাঁচাতে গিয়ে দগ্ধ হন দুই ছেলে, নাতি-নাতনিসহ একই পরিবারের আটজন সদস্য। আগুনের ঘটনায় এ পর্যন্ত পাঁচজন মারা গেছেন। সোমবার দুপুরে নিহত হিরনের মেয়ে ইলমাকে চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়। এখনো চিকিৎসাধীন হিরণ মিয়ার স্ত্রী মুক্তা ও তাদের এক ভাগিনা কাউসার।


"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

👍ফেসবুকে আলোকিত শীতলক্ষ্যা

You cannot copy content of this page

গ্যাসের আগুনে দগ্ধ আরো দুই জনের মৃত্যু, এ নিয়ে মৃত্যু-৫জন

১০:২৯:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২০
"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

স্টাফ রিপোর্টার আলোকিত শীতলক্ষ্যা ডটকম : নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ-ফতুল্লার সিমান্তবর্তী মিজমিজি সাহেবপাড়া এলাকায় গ্যাসের আগুনে দগ্ধ হওয়া একই পরিবারের ৮ জনের মধ্যে আরো দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতের নাম আপন (১২) ও তার চাচা হিরন (৩০)। দগ্ধ হয়ে দীর্ঘ ৮ দিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় থেকে সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারী) দিবাগত রাতে এবং মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারী) সকালে তারা মারা যান। অগ্নিদগ্ধের ঘটনায় এ নিয়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। দগ্ধ আরো দুইজনের চিকিৎসা চলছে এবং একজনকে হাসপাতাল থেকে সুস্থ্য অবস্থায় বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর বাচ্চু মিয়া জানান, আগুনের ঘটনায় মা নুরজাহান বেগম (৭০), ছেলে কিরণ ( ৫৫), হিরন (৩০), নাতি আবুল বাশার ইমন (২৮) ও আপন (১২) সহ এ পর্যন্ত পাঁচজন মারা গেছেন। সোমবার দুপুরে ইলমা (২) নামে একশিশুকে ছাড়পত্র দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং শিশুটির মা মুক্তা (২০) বর্তমানে শঙ্কামুক্ত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে কাউসার নামে একজনের অবস্থা এখনো আশংকামুক্ত নন।

নিহত কিরণের ভগ্নিপতি মোস্তফা খান জানান, মঙ্গলবার ভোরে আপনের লাশ মিজমিজি সাহেবপাড়া এলাকার বাসায় নিয়ে আসা হয়। সকাল ৮টায় সাহেবপাড়া জামে মসজিদে নামাজে জানাজার পর পরই খবর আসে তার চাচা হিরন মারা গেছে। দুপুর সাড়ে ৩টায় হিরনের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে স্থানীয় কবরস্থানে নিহত আপনের পিতা কিরণ মিয়া, দাদি নূরজাহান, বড়ভাই ইমনের কবরের পাশে তার ও তার চাচা হিরনের মরদেহ দাফন করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, সিদ্ধিরগঞ্জের সিমান্তবর্তী ফতুল্লা থানার মিজমিজি সাহেবপাড়া (সাইনবোর্ড) এলাকার বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তা ফারুক হোসেনের বাড়ির ৫ তলা বাড়ির নিচ তলায় একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন নূরজাহান বেগম ও তার পরিবারের সদস্যরা। গত ১৭ই ফেব্রুয়ারি ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে গ্যাসের চুলায় আগুন ধরাতে গিয়ে আগুনে দগ্ধ হন নুরজাহান বেগম। গ্যাসের চুলার চাবি চালু রেখে রাতে ঘুমিয়ে পড়ায় গ্যাস বের হয়ে পুরো ফ্লাটে ছড়িয়ে যাওয়ার কারণে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে যায়।

এসময় তাকে বাঁচাতে গিয়ে দগ্ধ হন দুই ছেলে, নাতি-নাতনিসহ একই পরিবারের আটজন সদস্য। আগুনের ঘটনায় এ পর্যন্ত পাঁচজন মারা গেছেন। সোমবার দুপুরে নিহত হিরনের মেয়ে ইলমাকে চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়। এখনো চিকিৎসাধীন হিরণ মিয়ার স্ত্রী মুক্তা ও তাদের এক ভাগিনা কাউসার।


"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"