০৯:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪

সিদ্ধিরগঞ্জে ৫ টাকায় মই দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে মহাসড়কের ডিভাইডার পার

 অনলাইন ভার্সন
  • ০৮:১৬:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ মার্চ ২০২৪
  • / ৪৮৭

"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : পাঁচ টাকা প্রদান করে সিদ্ধিরগঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইলে মই দিয়ে ডিভাইডার (সড়ক বিভাজক) পার হচ্ছেন যাত্রীরা। ঝুঁকিপূর্ণভাবে এভাবে ডিভাইডার পার হওয়ার কারণে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা করা হচ্ছে। সম্প্রতি এভাবে মই ব্যবহারের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। ৫ টাকার বিনিময়ে মই বসিয়ে যাত্রী পারাপার করানো হচ্ছে।

রোববার (১৭ মার্চ) দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল মোড়ের সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর অফিসের সামনে এমন ঘটনা ঘটে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে দূরপাল্লার যানবাহনগুলো সরাসরি যেন ঢাকায় যেতে পারে সেজন্য চার লেনের ঢাকামুখী সড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের কাঁচপুর ব্রিজ থেকে কুয়েতপ্লাজা এলাকা পর্যন্ত উঁচু ডিভাইডার দিয়ে দুই লেন বিভক্ত করে দেওয়া হয়। সেইসঙ্গে আঞ্চলিক যানবাহন চলাচলের জন্য আরও দুই লেন রাখা হয়।

এতদিন দূরপাল্লার লেন থেকে আঞ্চলিক লেনে যাত্রীদের চলাচলের জন্য সওজ কার্যালয়ের সামনে একটি গেট খোলা রাখা হতো। ওইখানে দূরপাল্লার যানবাহনগুলো শিমরাইল মোড়ের যাত্রীদের নামিয়ে দিতো। কিন্তু গত দুই মাস ধরে তা বন্ধ করে রেখেছে সহজ কর্তৃপক্ষ। দূরপাল্লার যানবাহনগুলো এখনো সেই স্থানেই যাত্রী নামিয়ে দিচ্ছে।

এর ফলে গত দুইমাস ধরেই যাত্রীরা এভাবেই ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন। এই সুযোগে কয়েকজন অসাধু পরিবহন শ্রমিক ডিভাইডারের দুই পাশে মই টানিয়ে টাকার বিনিময়ে যাত্রীদের ডিভাইডার পার করে দিচ্ছেন।

কাঁচপুর হাইওয়ে থানার শিমরাইল ক্যাম্পের টিআই একেএম শরফুদ্দিন জানান, আমাদের হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে কিন্তু সেখানে কাউকে পাওয়া যায় নেই। আমরা খতিয়ে দেখছি কারা সড়কের মাঝে এসব কাজ করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ) এর নির্বাহী প্রকৌশলী শাহানা ফেরদৌস বলেন, এর আগেও একাধিকবার এভাবে মই বসিয়ে যাত্রী পারাপার করা হয়েছিল। পরে আমরা আনসার দিয়ে মইগুলো জব্দ করি। বিষয়টি নিয়ে আমরা হাইওয়ে পুলিশের সঙ্গে একাধিকবার কথা বলেছি। আমরা ও পুলিশের পক্ষ থেকে একাধিকবার পরিবহনগুলোকে সার্ভিস লেন দিয়ে চলাচলে বাধ্য করা হলেও তারা তা শুনছে না।


"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

👍ফেসবুকে আলোকিত শীতলক্ষ্যা

You cannot copy content of this page

সিদ্ধিরগঞ্জে ৫ টাকায় মই দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে মহাসড়কের ডিভাইডার পার

০৮:১৬:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ মার্চ ২০২৪
"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : পাঁচ টাকা প্রদান করে সিদ্ধিরগঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইলে মই দিয়ে ডিভাইডার (সড়ক বিভাজক) পার হচ্ছেন যাত্রীরা। ঝুঁকিপূর্ণভাবে এভাবে ডিভাইডার পার হওয়ার কারণে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা করা হচ্ছে। সম্প্রতি এভাবে মই ব্যবহারের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। ৫ টাকার বিনিময়ে মই বসিয়ে যাত্রী পারাপার করানো হচ্ছে।

রোববার (১৭ মার্চ) দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল মোড়ের সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর অফিসের সামনে এমন ঘটনা ঘটে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে দূরপাল্লার যানবাহনগুলো সরাসরি যেন ঢাকায় যেতে পারে সেজন্য চার লেনের ঢাকামুখী সড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের কাঁচপুর ব্রিজ থেকে কুয়েতপ্লাজা এলাকা পর্যন্ত উঁচু ডিভাইডার দিয়ে দুই লেন বিভক্ত করে দেওয়া হয়। সেইসঙ্গে আঞ্চলিক যানবাহন চলাচলের জন্য আরও দুই লেন রাখা হয়।

এতদিন দূরপাল্লার লেন থেকে আঞ্চলিক লেনে যাত্রীদের চলাচলের জন্য সওজ কার্যালয়ের সামনে একটি গেট খোলা রাখা হতো। ওইখানে দূরপাল্লার যানবাহনগুলো শিমরাইল মোড়ের যাত্রীদের নামিয়ে দিতো। কিন্তু গত দুই মাস ধরে তা বন্ধ করে রেখেছে সহজ কর্তৃপক্ষ। দূরপাল্লার যানবাহনগুলো এখনো সেই স্থানেই যাত্রী নামিয়ে দিচ্ছে।

এর ফলে গত দুইমাস ধরেই যাত্রীরা এভাবেই ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন। এই সুযোগে কয়েকজন অসাধু পরিবহন শ্রমিক ডিভাইডারের দুই পাশে মই টানিয়ে টাকার বিনিময়ে যাত্রীদের ডিভাইডার পার করে দিচ্ছেন।

কাঁচপুর হাইওয়ে থানার শিমরাইল ক্যাম্পের টিআই একেএম শরফুদ্দিন জানান, আমাদের হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে কিন্তু সেখানে কাউকে পাওয়া যায় নেই। আমরা খতিয়ে দেখছি কারা সড়কের মাঝে এসব কাজ করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ) এর নির্বাহী প্রকৌশলী শাহানা ফেরদৌস বলেন, এর আগেও একাধিকবার এভাবে মই বসিয়ে যাত্রী পারাপার করা হয়েছিল। পরে আমরা আনসার দিয়ে মইগুলো জব্দ করি। বিষয়টি নিয়ে আমরা হাইওয়ে পুলিশের সঙ্গে একাধিকবার কথা বলেছি। আমরা ও পুলিশের পক্ষ থেকে একাধিকবার পরিবহনগুলোকে সার্ভিস লেন দিয়ে চলাচলে বাধ্য করা হলেও তারা তা শুনছে না।


"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"