১০:২৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪

সেই মাদরাসার শিক্ষার্থীর লাশ ১১ দিন পর কবর থেকে উত্তলন

 অনলাইন ভার্সন
  • ০৯:০২:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ মার্চ ২০২১
  • / ৫২৬

"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

আলোকিত শীতলক্ষ্যা রিপোর্ট : সিদ্ধিরগঞ্জে মাদরাসার ভেতর সাব্বির নামে এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হত্যার পর আত্মহত্যা বলে ধামাচাপা দেয়ার ঘটনায় আদালতের নির্দেশে লাশ দাফনের ১১ দিন পর কবর থেকে উত্তলন করা হয়েছে।

সোমবার (২২ মার্চ) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওয়াহিদ হোসেনের উপস্থিতিতে রূপগঞ্জের বরপা শান্তিনগর এলাকার কবরস্থান থেকে ময়নাতদন্তের জন্য এ লাশ তোলা হয়।

এ দিকে এ ঘটনায় মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষকসহ সাতজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছেন।

নিহতের পিতা জামাল হোসেন জানান, তিনি রূপগঞ্জ উপজেলার বরপা শান্তিনগর এলাকার বাসিন্দা। ২০২০সালের নভেম্বর মাসে তার ছেলে সাব্বির হোসেনকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন চৌধুরীপাড়ার রসুলবাগ রওজাতুল উলুম মাদরাসার হেফজখানায় ভর্তি করেন।

চলতি মাসের ১০ তারিখ তার ছেলে মাদরাসার ছাদে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে মাদরাসার শ্রেণি শিক্ষক মোহাম্মদ জোবায়ের হোসেন তাকে জানান।

শিক্ষকের কথা বিশ্বাস করে ছেলের লাশ মাদরাসা থেকে বাড়িতে নিয়ে আসেন বাবা। এদিকে মরদেহ গোসল করানোর সময় মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান লোকজন।

এ অবস্থায় লাশ দাফন করে ১১ মার্চ রসুলবাগ রওজাতুল উলুম মাদরাসায় যান জামাল হোসেন। মাদরাসার শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের কথাবার্তার অমিল থাকায় সাব্বির হোসেনকে হত্যা করা হয়েছে বলে তার পিতার সন্দেহ হয়।

এরপর ১২ মার্চ জামাল হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ ওইদিন রাতে অভিযান চালিয়ে মাদরাসার হেফজ বিভাগের শ্রেণি শিক্ষক মোহাম্মদ জোবায়ের হোসেন, শিক্ষক আজিজুল হক, সাখাওয়াত হোসেন, মাদরাসার ছাত্র ও সাব্বিরের সহপাঠী শামীম আহম্মেদ, মাহমুদুল হাসান, আবু তালহা ও আবু বক্করকে গ্রেফতার করে।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আবু শাহাদাৎ মোহাম্মদ শাহীন বলেন, সাব্বিরের লাশ কবর থেকে উঠানোর পর মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

👍ফেসবুকে আলোকিত শীতলক্ষ্যা

সেই মাদরাসার শিক্ষার্থীর লাশ ১১ দিন পর কবর থেকে উত্তলন

০৯:০২:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ মার্চ ২০২১
"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

আলোকিত শীতলক্ষ্যা রিপোর্ট : সিদ্ধিরগঞ্জে মাদরাসার ভেতর সাব্বির নামে এক শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হত্যার পর আত্মহত্যা বলে ধামাচাপা দেয়ার ঘটনায় আদালতের নির্দেশে লাশ দাফনের ১১ দিন পর কবর থেকে উত্তলন করা হয়েছে।

সোমবার (২২ মার্চ) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওয়াহিদ হোসেনের উপস্থিতিতে রূপগঞ্জের বরপা শান্তিনগর এলাকার কবরস্থান থেকে ময়নাতদন্তের জন্য এ লাশ তোলা হয়।

এ দিকে এ ঘটনায় মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষকসহ সাতজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা বর্তমানে জেলহাজতে রয়েছেন।

নিহতের পিতা জামাল হোসেন জানান, তিনি রূপগঞ্জ উপজেলার বরপা শান্তিনগর এলাকার বাসিন্দা। ২০২০সালের নভেম্বর মাসে তার ছেলে সাব্বির হোসেনকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন চৌধুরীপাড়ার রসুলবাগ রওজাতুল উলুম মাদরাসার হেফজখানায় ভর্তি করেন।

চলতি মাসের ১০ তারিখ তার ছেলে মাদরাসার ছাদে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে মাদরাসার শ্রেণি শিক্ষক মোহাম্মদ জোবায়ের হোসেন তাকে জানান।

শিক্ষকের কথা বিশ্বাস করে ছেলের লাশ মাদরাসা থেকে বাড়িতে নিয়ে আসেন বাবা। এদিকে মরদেহ গোসল করানোর সময় মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান লোকজন।

এ অবস্থায় লাশ দাফন করে ১১ মার্চ রসুলবাগ রওজাতুল উলুম মাদরাসায় যান জামাল হোসেন। মাদরাসার শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের কথাবার্তার অমিল থাকায় সাব্বির হোসেনকে হত্যা করা হয়েছে বলে তার পিতার সন্দেহ হয়।

এরপর ১২ মার্চ জামাল হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ ওইদিন রাতে অভিযান চালিয়ে মাদরাসার হেফজ বিভাগের শ্রেণি শিক্ষক মোহাম্মদ জোবায়ের হোসেন, শিক্ষক আজিজুল হক, সাখাওয়াত হোসেন, মাদরাসার ছাত্র ও সাব্বিরের সহপাঠী শামীম আহম্মেদ, মাহমুদুল হাসান, আবু তালহা ও আবু বক্করকে গ্রেফতার করে।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এসআই ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আবু শাহাদাৎ মোহাম্মদ শাহীন বলেন, সাব্বিরের লাশ কবর থেকে উঠানোর পর মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"