০৬:১২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪

মৃত্যুও ছাড়াতে পারেনি মায়ের বাঁধন

 অনলাইন ভার্সন
  • ০৩:৫৭:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ এপ্রিল ২০২১
  • / ৭৮৭

# লঞ্চে থাকা শিশুর বাবা হাফিজুর রহমানও মারা গেছে #

"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

আলোকিত শীতলক্ষ্যা রিপোর্ট : সান্তনা আর স্নেহ-ভালোবাসা আমাদের সমস্ত বেদনা দূর করে দেয় তিনিই হলেন ‘মা। শত কষ্টেও মা সন্তানকে বুকে আগলে রাখেন। শত বিপদ-ঝঞ্জাও সন্তানের হাত ছেড়ে দেন না। এমনই এক ঘটনার দেখা মিলল। বুকে সন্তানকে আগলে রাখা অবস্থায় এক মাকে শীতলক্ষা নদী থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়।

সোমবার (৫ এপ্রিল) নারায়ণগঞ্জে লঞ্চডুবি উদ্ধার করা লাশের মধ্যে মা-সন্তানের এমন দৃশ্য অনেকের চোখে জল এনে দিয়েছে।

উদ্ধার হওয়া নারীর নাম-তাহমিনা (২০)। কোলে আগলে রেখেছিলেন এক বছর বয়সী পুত্র আব্দুল্লাহকে। তাদের বাড়ি বরিশালের উজির পুরের উটরায়। লঞ্চে থাকা তাহমিনার স্বামী হাফিজুর রহমানও(২৪) মারা গেছেন।

শীতলক্ষায় ডুবে যাওয়া লঞ্চ সাবিদ আল হাসান থেকে ২৯ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার করা লাশের মধ্যে নারী ও শিশুই বেশি। রবিবার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টার দিকে শীতলক্ষ্যা নদীর সৈয়দপুর কয়লাঘাট এলাকায় নির্মিতব্য শীতলক্ষ্যা ব্রিজের কাছে এ ঘটনাটি ঘটে।

সোমবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে বিআইডাব্লিউটিএ’র মহাপরিচালক কমোডর সাদেক উদ্ধার কার্যক্রম সমাপ্ত ঘোষণা করেন। কিন্তু ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দল সন্ধ্যা পর্যন্ত নদীতে লাশের খোঁজ চালিয়ে যায়। রোববার সন্ধ্যা থেকে বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে শীতলক্ষা নদীর পাড়ে স্বজনদের ভীড় বাড়তে থাকে। তাদের কান্নায় আকাশ ভারী হয়ে উঠে।

নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ জানান, লাশ দাফনের জন্য ২৫ হাজার টাকা করে দেয়া হয়েছে নিহত ব্যক্তিদের প্রত্যেকের পরিবারকে। উদ্ধার অভিযান আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ করা হয়েছে। নৌ-চ্যানেল খুলে দেয়া হয়েছে। যাতে করে নদীতে নৌযান চলাচল করতে পারে। তিনি আরও জানান, এসকেএল-৩ নামের ওই লাইটার জাহাজটিকে আটক করতে নৌ-পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।

ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক (ঢাকা) মো. সালেউদ্দিন বলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্ধার অভিযান শেষ করা হলেও ফায়ার সার্ভিস অভিযান চলমান রেখেছে। যতক্ষণ পর্যন্ত নিখোঁজ ব্যক্তিদের তথ্য পাওয়া না যাবে ততক্ষণ পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চলবে।


"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

👍ফেসবুকে আলোকিত শীতলক্ষ্যা

You cannot copy content of this page

মৃত্যুও ছাড়াতে পারেনি মায়ের বাঁধন

০৩:৫৭:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ এপ্রিল ২০২১
"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

আলোকিত শীতলক্ষ্যা রিপোর্ট : সান্তনা আর স্নেহ-ভালোবাসা আমাদের সমস্ত বেদনা দূর করে দেয় তিনিই হলেন ‘মা। শত কষ্টেও মা সন্তানকে বুকে আগলে রাখেন। শত বিপদ-ঝঞ্জাও সন্তানের হাত ছেড়ে দেন না। এমনই এক ঘটনার দেখা মিলল। বুকে সন্তানকে আগলে রাখা অবস্থায় এক মাকে শীতলক্ষা নদী থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়।

সোমবার (৫ এপ্রিল) নারায়ণগঞ্জে লঞ্চডুবি উদ্ধার করা লাশের মধ্যে মা-সন্তানের এমন দৃশ্য অনেকের চোখে জল এনে দিয়েছে।

উদ্ধার হওয়া নারীর নাম-তাহমিনা (২০)। কোলে আগলে রেখেছিলেন এক বছর বয়সী পুত্র আব্দুল্লাহকে। তাদের বাড়ি বরিশালের উজির পুরের উটরায়। লঞ্চে থাকা তাহমিনার স্বামী হাফিজুর রহমানও(২৪) মারা গেছেন।

শীতলক্ষায় ডুবে যাওয়া লঞ্চ সাবিদ আল হাসান থেকে ২৯ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার করা লাশের মধ্যে নারী ও শিশুই বেশি। রবিবার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টার দিকে শীতলক্ষ্যা নদীর সৈয়দপুর কয়লাঘাট এলাকায় নির্মিতব্য শীতলক্ষ্যা ব্রিজের কাছে এ ঘটনাটি ঘটে।

সোমবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে বিআইডাব্লিউটিএ’র মহাপরিচালক কমোডর সাদেক উদ্ধার কার্যক্রম সমাপ্ত ঘোষণা করেন। কিন্তু ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দল সন্ধ্যা পর্যন্ত নদীতে লাশের খোঁজ চালিয়ে যায়। রোববার সন্ধ্যা থেকে বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে শীতলক্ষা নদীর পাড়ে স্বজনদের ভীড় বাড়তে থাকে। তাদের কান্নায় আকাশ ভারী হয়ে উঠে।

নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ জানান, লাশ দাফনের জন্য ২৫ হাজার টাকা করে দেয়া হয়েছে নিহত ব্যক্তিদের প্রত্যেকের পরিবারকে। উদ্ধার অভিযান আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ করা হয়েছে। নৌ-চ্যানেল খুলে দেয়া হয়েছে। যাতে করে নদীতে নৌযান চলাচল করতে পারে। তিনি আরও জানান, এসকেএল-৩ নামের ওই লাইটার জাহাজটিকে আটক করতে নৌ-পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।

ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক (ঢাকা) মো. সালেউদ্দিন বলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্ধার অভিযান শেষ করা হলেও ফায়ার সার্ভিস অভিযান চলমান রেখেছে। যতক্ষণ পর্যন্ত নিখোঁজ ব্যক্তিদের তথ্য পাওয়া না যাবে ততক্ষণ পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চলবে।


"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"