নারায়ণগঞ্জ ১২:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

না’গঞ্জে সংবাদিকের বিরুদ্ধে আইসিটি মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে প্রতিবাদ-মানববন্ধন

 অনলাইন ভার্সন
  • ০৭:১৮:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ মার্চ ২০২১
  • / ৫৪৮

"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

আলোকিত শীতলক্ষ্যা রিপোর্ট : নারায়ণগঞ্জে চার সাংবাদিকসহ সারাদেশে সকল গণমাধ্যমকর্মীদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২ মার্চ) দুপরে চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে জেলা’র সর্বস্তরের সাংবাদিকরা এ সভায় অংশ নেন। নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবরে সভাপতি খন্দকার শাহ আলমের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ক্রইম রিপোটার্স এসোসিয়েশন (ক্র্যাব) এর সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন আরিফ। সাংবাদিকদের এই প্রতিবাদে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারন সম্পাদক মশিউর রহমান খান।

প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, শুধুমাত্র গণমাধ্যমের কন্ঠ রোধ করতেই প্রবীন সাংবাদিক হাবিবুর রহমান বাদল, রাজু আহমেদ, মাহামুদ হাসান কচি ও সিফাত আল রহমানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে (সাবেক তথ্য ও প্রযুক্তি আইন) মামলা দেয়া হয়েছে। একই ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মানহানিও মামলা করা হয়েছিল। প্রায় সাড়ে ৩বছর ধরে এসব মামলায় আইনী লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। শুধুমাত্র সত্য তুলে ধরার কারণে হয়রানী করতেই এই ৪ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে এসব মামলা করেছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াত আইভীর ভাই আলী রেজা রিপন। আমরা চাই এসব মামলা প্রত্যাহার করা হোক। সভায় প্রধান অতিথি ক্রাবের সাধারন সম্পাদক আলাউদ্দিন আরিফ বলেন, যাদের বিরুদ্ধে এই মামলাগুলো করা হয়েছে তাদের একজন এই জেলার একজন সর্বজন শ্রদ্ধেয় প্রবীন সাংবাদিক নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ওেৈ দনিক ইত্তেফাকের স্টাফ রিপোর্টার হাবিবুর রহমান বাদল, দৈনিক যুগান্তর ও ডিভিসি নিউজের সাংবাদিক ও নারায়ণগঞ্জ সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক রাজু আহম্মেদ, নারায়ণগঞ্জ সিটি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও আনন্দ টিভি’র জেলা প্রতিনিধি সৈয়দ সিফাত আল রহমান লিংকন এবং নারায়ণগঞ্জ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি মাহমুদ হাসান কচি।

এই গণমাধ্যম কর্মীরা নিজ নিজ কর্ম দিয়ে প্রতিষ্ঠিত। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার নেপথ্য কারণ হতে পারে অন্য গণমাধ্যম কর্মীদের প্রতি একটি মেসেজ, সেটি হলো সত্য লেখা যাবে না। শুধু নারায়ণগঞ্জই নয়, পুরো দেশেই এই অবস্থা বিরাজ করছে। আমরা চাই এই আইনটি ধীরে ধীলে গণমাধ্যমের জন্য কালো আইনে রুপান্তরিত হোক। এই আইন বাতিল করা হোক কিংবা আইনের সংশোধন করা হউক, বিশেষ করে গণমাধ্যম কর্মীদের উপর যেন এই আইন খড়গে পরিণত না হয়।

প্রতিবাদ সভার সভাপতির বক্তব্যে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি খন্দকার শাহ আলম বলেন, ‘পূর্বে তথ্য ও প্রযুক্তি আইন নিয়ে সমালোচনা হয়েছিল। পরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হলো। আমরা আইনের বিরুদ্ধে নয়, আইনের অপপ্রয়োগের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছি। সংবিধানে বাকস্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সেই স্বাধীনতা ক্ষুন্ন করে। সংবিধান ও ৩২ ধারা সাংঘর্ষিক। এই আইন দুর্নীতিবাজদের রক্ষাকবচ হিসেবে দুর্নীতি করার জন্য উৎসাহ জোগাচ্ছে। এই আইন অবিলম্বে প্রত্যাহার অথবা অসঙ্গতিগুলো সংশোধনের দাবি জানাই।’

তিনি বলেন, সবার আগে চাই গণমাধ্যমের প্রকৃত ও পেশাদার সাংবাদিকদের ঐক্য সে যে নীতি বা দলের অনুসারী হোন না কেন। তা না হলে অনৈক্যের বেড়াজালে এমন দমন নিপীড়ন চলবেই। প্রতিবাদ সভায় জেলার বন্দর, সোনারগাঁ, রুপগঞ্জ, আড়াইহাজার, সিদ্ধিরগঞ্জ, ফতুল্লা প্রেস ক্লাব, সিটি প্রেস ক্লাব নেতৃবৃন্দসহ উপস্থিত ছিলেন মানবজমিনের স্টাফ রিপোর্টার বিল্লাল হোসেন রবিন, কালের কন্ঠ এবং নিউজ টোয়েন্টি ফোরের জেলা প্রতিনিধি দিলিপ কুমার মন্ডল, বাংলাদেশ প্রতিদিনের জেলা প্রতিনিধি রোমান চৌধুরী সুমনসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট ও অনলাইন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা।


"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

ফেসবুকে👍আপনার_বিজ্ঞাপন

না’গঞ্জে সংবাদিকের বিরুদ্ধে আইসিটি মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে প্রতিবাদ-মানববন্ধন

০৭:১৮:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ মার্চ ২০২১
"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

আলোকিত শীতলক্ষ্যা রিপোর্ট : নারায়ণগঞ্জে চার সাংবাদিকসহ সারাদেশে সকল গণমাধ্যমকর্মীদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২ মার্চ) দুপরে চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে জেলা’র সর্বস্তরের সাংবাদিকরা এ সভায় অংশ নেন। নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবরে সভাপতি খন্দকার শাহ আলমের সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ক্রইম রিপোটার্স এসোসিয়েশন (ক্র্যাব) এর সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন আরিফ। সাংবাদিকদের এই প্রতিবাদে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারন সম্পাদক মশিউর রহমান খান।

প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, শুধুমাত্র গণমাধ্যমের কন্ঠ রোধ করতেই প্রবীন সাংবাদিক হাবিবুর রহমান বাদল, রাজু আহমেদ, মাহামুদ হাসান কচি ও সিফাত আল রহমানের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে (সাবেক তথ্য ও প্রযুক্তি আইন) মামলা দেয়া হয়েছে। একই ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মানহানিও মামলা করা হয়েছিল। প্রায় সাড়ে ৩বছর ধরে এসব মামলায় আইনী লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। শুধুমাত্র সত্য তুলে ধরার কারণে হয়রানী করতেই এই ৪ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে এসব মামলা করেছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াত আইভীর ভাই আলী রেজা রিপন। আমরা চাই এসব মামলা প্রত্যাহার করা হোক। সভায় প্রধান অতিথি ক্রাবের সাধারন সম্পাদক আলাউদ্দিন আরিফ বলেন, যাদের বিরুদ্ধে এই মামলাগুলো করা হয়েছে তাদের একজন এই জেলার একজন সর্বজন শ্রদ্ধেয় প্রবীন সাংবাদিক নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ওেৈ দনিক ইত্তেফাকের স্টাফ রিপোর্টার হাবিবুর রহমান বাদল, দৈনিক যুগান্তর ও ডিভিসি নিউজের সাংবাদিক ও নারায়ণগঞ্জ সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক রাজু আহম্মেদ, নারায়ণগঞ্জ সিটি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও আনন্দ টিভি’র জেলা প্রতিনিধি সৈয়দ সিফাত আল রহমান লিংকন এবং নারায়ণগঞ্জ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি মাহমুদ হাসান কচি।

এই গণমাধ্যম কর্মীরা নিজ নিজ কর্ম দিয়ে প্রতিষ্ঠিত। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার নেপথ্য কারণ হতে পারে অন্য গণমাধ্যম কর্মীদের প্রতি একটি মেসেজ, সেটি হলো সত্য লেখা যাবে না। শুধু নারায়ণগঞ্জই নয়, পুরো দেশেই এই অবস্থা বিরাজ করছে। আমরা চাই এই আইনটি ধীরে ধীলে গণমাধ্যমের জন্য কালো আইনে রুপান্তরিত হোক। এই আইন বাতিল করা হোক কিংবা আইনের সংশোধন করা হউক, বিশেষ করে গণমাধ্যম কর্মীদের উপর যেন এই আইন খড়গে পরিণত না হয়।

প্রতিবাদ সভার সভাপতির বক্তব্যে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি খন্দকার শাহ আলম বলেন, ‘পূর্বে তথ্য ও প্রযুক্তি আইন নিয়ে সমালোচনা হয়েছিল। পরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হলো। আমরা আইনের বিরুদ্ধে নয়, আইনের অপপ্রয়োগের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছি। সংবিধানে বাকস্বাধীনতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সেই স্বাধীনতা ক্ষুন্ন করে। সংবিধান ও ৩২ ধারা সাংঘর্ষিক। এই আইন দুর্নীতিবাজদের রক্ষাকবচ হিসেবে দুর্নীতি করার জন্য উৎসাহ জোগাচ্ছে। এই আইন অবিলম্বে প্রত্যাহার অথবা অসঙ্গতিগুলো সংশোধনের দাবি জানাই।’

তিনি বলেন, সবার আগে চাই গণমাধ্যমের প্রকৃত ও পেশাদার সাংবাদিকদের ঐক্য সে যে নীতি বা দলের অনুসারী হোন না কেন। তা না হলে অনৈক্যের বেড়াজালে এমন দমন নিপীড়ন চলবেই। প্রতিবাদ সভায় জেলার বন্দর, সোনারগাঁ, রুপগঞ্জ, আড়াইহাজার, সিদ্ধিরগঞ্জ, ফতুল্লা প্রেস ক্লাব, সিটি প্রেস ক্লাব নেতৃবৃন্দসহ উপস্থিত ছিলেন মানবজমিনের স্টাফ রিপোর্টার বিল্লাল হোসেন রবিন, কালের কন্ঠ এবং নিউজ টোয়েন্টি ফোরের জেলা প্রতিনিধি দিলিপ কুমার মন্ডল, বাংলাদেশ প্রতিদিনের জেলা প্রতিনিধি রোমান চৌধুরী সুমনসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট ও অনলাইন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা।


"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"