নারায়ণগঞ্জ ১২:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিদ্ধিরগঞ্জে গ্রেফতারকৃত সেই ভুয়া ডাক্তার কামালের অনুমোদনহীন নতুন হাসপাতাল

 অনলাইন ভার্সন
  • ০৯:১৩:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ নভেম্বর ২০২০
  • / ৪৫২

"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

আলোকিত শীতলক্ষ্যা : সিদ্ধিরগঞ্জে অনুমোদন ছাড়াই ৩০ শয্যা বিশিষ্ট বেসরকারি ‘দি-পপুলার হসপিটাল’ উদ্বোধন করেছে পূর্বে র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার হওয়া ভুয়া ডাক্তার মোঃ কামাল হোসেন। সোমবার (২৩ নভেম্বর) বেলা ৩টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দক্ষিণ পাশে পাইনাদী এলাকায় শাহ আলম মালিকানাধীন ভবনের দ্বিতীয় ও পঞ্চম তলায় হাসপিটালটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়। তবে গত এক সপ্তাহ আগে থেকে শুরু হয়েছে এর কার্যক্রম। চলছে সিজার ও অপারেশন। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ সরকারি বিভিন্ন হাসপাতালের নামি দামি এমবিবিএস ডাক্তাররা এ হসপিটালে বসে রোগী দেখার সময় সূচি দিয়ে এমন সাইনবোর্ড ও হেন্ডবিল বিলি করা হচ্ছে।

অনুমোদনহীন এ হসপিটালটি গড়ে তুলেছেন মিজমিজি পূর্বপাড়া এলাকার আব্দুস সালামের ছেলে কামাল হোসেন। তিনি এম.কে. হোসেন নামে নিজেকে এমবিবিএস ডাক্তার পরিচয় দিয়ে চিটাগাংরোড হীরাঝিল এলাকায় রজ্জব আলী সুপার মার্কেটের তৃতীয় তলায় অনুমোদনহীন পপুলার হসপিটাল এন্ড ডিজিটাল ল্যাব গড়ে তুলে রোগী দেখতেন। গত বছরের ৮ জুলাই রাত ১০ টায় র‌্যাব-১১’র একটি দল অভিযান চালিয়ে তাকে ভুয়া ডাক্তার হিসেবে গ্রেফতার করে হসপিটাল সিলগালা করে দেয়। তার বিরুদ্ধে মামলা হলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ ১১ জুলাই ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠায়। শুনানি শেষে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নূরুন্নাহার ইয়াসমিন একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে ফের আদালতে পাঠালে আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠায়। কিছুদিন জেল হাজত বাস করে জামিনে বের হয় ভুয়া ডাক্তার কামাল। বহু দৌড়ঝাপ করেও পপুলার হসপিটাল এন্ড ডিজিটাল ল্যাব চালু করতে না পেরে কামাল হোসেন লাইসেন্সসহ প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র এমনকি ট্রেড লাইসেন্স ছাড়াই ‘দি-পপুলার হসপিটাল’ গড়ে তুলেছেন।

অনুমোদন ছাড়া কীভাবে হসপিটাল উদ্বোধন করা হয়েছে জানতে চাইলে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে এ বিষয়ে কথা বলতে বাধ্য নন বলে জানান কামাল হোসেন।

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেডিক্যাল অফিসার (স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং প্রোগ্রাম অফিসার) ডা. শেখ মোস্তফা আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ হসপিটালের বিষয়ে আমি অবগত নই। লাইসেন্স শাখার মোজাম্মেল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন তিনি। এদিকে মোজাম্মেল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আবেদন করেছে। এখনো লাইসেন্স হয়নি। যাচাই বাছাই চলছে।

জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোঃ ইমতিয়াজ হোসেনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। তবে অনুমোদন আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। ##


"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

ফেসবুকে👍আপনার_বিজ্ঞাপন

সিদ্ধিরগঞ্জে গ্রেফতারকৃত সেই ভুয়া ডাক্তার কামালের অনুমোদনহীন নতুন হাসপাতাল

০৯:১৩:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ নভেম্বর ২০২০
"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

আলোকিত শীতলক্ষ্যা : সিদ্ধিরগঞ্জে অনুমোদন ছাড়াই ৩০ শয্যা বিশিষ্ট বেসরকারি ‘দি-পপুলার হসপিটাল’ উদ্বোধন করেছে পূর্বে র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার হওয়া ভুয়া ডাক্তার মোঃ কামাল হোসেন। সোমবার (২৩ নভেম্বর) বেলা ৩টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দক্ষিণ পাশে পাইনাদী এলাকায় শাহ আলম মালিকানাধীন ভবনের দ্বিতীয় ও পঞ্চম তলায় হাসপিটালটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়। তবে গত এক সপ্তাহ আগে থেকে শুরু হয়েছে এর কার্যক্রম। চলছে সিজার ও অপারেশন। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ সরকারি বিভিন্ন হাসপাতালের নামি দামি এমবিবিএস ডাক্তাররা এ হসপিটালে বসে রোগী দেখার সময় সূচি দিয়ে এমন সাইনবোর্ড ও হেন্ডবিল বিলি করা হচ্ছে।

অনুমোদনহীন এ হসপিটালটি গড়ে তুলেছেন মিজমিজি পূর্বপাড়া এলাকার আব্দুস সালামের ছেলে কামাল হোসেন। তিনি এম.কে. হোসেন নামে নিজেকে এমবিবিএস ডাক্তার পরিচয় দিয়ে চিটাগাংরোড হীরাঝিল এলাকায় রজ্জব আলী সুপার মার্কেটের তৃতীয় তলায় অনুমোদনহীন পপুলার হসপিটাল এন্ড ডিজিটাল ল্যাব গড়ে তুলে রোগী দেখতেন। গত বছরের ৮ জুলাই রাত ১০ টায় র‌্যাব-১১’র একটি দল অভিযান চালিয়ে তাকে ভুয়া ডাক্তার হিসেবে গ্রেফতার করে হসপিটাল সিলগালা করে দেয়। তার বিরুদ্ধে মামলা হলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ ১১ জুলাই ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠায়। শুনানি শেষে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নূরুন্নাহার ইয়াসমিন একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে ফের আদালতে পাঠালে আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠায়। কিছুদিন জেল হাজত বাস করে জামিনে বের হয় ভুয়া ডাক্তার কামাল। বহু দৌড়ঝাপ করেও পপুলার হসপিটাল এন্ড ডিজিটাল ল্যাব চালু করতে না পেরে কামাল হোসেন লাইসেন্সসহ প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র এমনকি ট্রেড লাইসেন্স ছাড়াই ‘দি-পপুলার হসপিটাল’ গড়ে তুলেছেন।

অনুমোদন ছাড়া কীভাবে হসপিটাল উদ্বোধন করা হয়েছে জানতে চাইলে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে এ বিষয়ে কথা বলতে বাধ্য নন বলে জানান কামাল হোসেন।

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেডিক্যাল অফিসার (স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং প্রোগ্রাম অফিসার) ডা. শেখ মোস্তফা আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ হসপিটালের বিষয়ে আমি অবগত নই। লাইসেন্স শাখার মোজাম্মেল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন তিনি। এদিকে মোজাম্মেল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আবেদন করেছে। এখনো লাইসেন্স হয়নি। যাচাই বাছাই চলছে।

জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোঃ ইমতিয়াজ হোসেনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। তবে অনুমোদন আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। ##


"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"