নারায়ণগঞ্জ ০৬:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় অক্ষত রয়েছে কোরআন শরীফ

 অনলাইন ভার্সন
  • ১০:৫০:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • / ৫০০

"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

আলোকিত শীতলক্ষ্যা রিপোর্ট : নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা বাইতুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় মসজিদের ভেতরের সবকিছু পুড়ে ও ভেঙে চুরমার হয়ে গেলেও অক্ষত রয়েছে সেখানে থাকা কোরআন শরীফ ও অন্যান্য কিতাবগুলো।

শনিবার ৫ সেপ্টেম্বর সরেজমিনে গিয়ে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া যায়।

শুক্রবার ৪ সেপ্টেম্বর রাত পৌনে ৯টায় বিস্ফোরণে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানান, মসজিদের ভিতরে থাকা ৬টি এসির ফিল্টার ও বিদ্যুতের সংযোগ তার, নামাজ পড়ার জায়নামাজ, তসবিহ, প্লাস্টিকের চেয়ার পুড়ে গেছে। কিন্তু কোরআন শরীফ ও হাদিসের বইগুলোর কিছুই হয়নি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকট শব্দে বিস্ফোরণের পর বিদ্যুৎ চলে যায়। তখন মসজিদ থেকে একে একে মুসল্লীরা খালি গায়ে দগ্ধ হয়ে বের হতে থাকে। ‘বাঁচাও বাঁচাও’ চিৎকার করে একে একে বেরিয়ে আসতে থাকে। তাদের চিৎকারে সেখানে হৃদয়বিদারক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। একে একে মুসল্লীদের রিকশায় করে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়। আগুনে সবার পোশাক পুড়ে গেছে। রক্তাক্ত বের হয়েছেন অনেকেই। শরীরের চামড়া বেশীরভাগজনেরই সাদা হয়ে গেছে।

পৌনে ৯টায় বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে মসজিদের ভেতরে থাকা ৩০ থেকে ৪০ জনের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। হুড়োহুড়ি করে বের হয় লোকজন। তাদের অনেকেই দগ্ধ ও আহত ছিল। মসজিদের ভেতরে থাকা দেড় ও ২ টনের ৬টি এসির সবগুলো বিস্ফোরণ ঘটে ভেতরের যন্ত্রাংশ বেরিয়ে গেছে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিন, পুলিশ সুপার মো. জায়েদুল আলমসহ আইনশৃংখলাবাহিনী ও প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তরা।এছাড়াও রাজনৈতিক, সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরাও ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, তল্লা বাইতুস সালাম জামে মসজিদের নিচ দিয়ে গ্যাসের লাইন গিয়েছে। আমরা আগুন নিবানোর জন্য পানি দিলে সেখানে পানির বুদবুদ দেখতে পাই। মূলত গ্যাস বের হচ্ছে। এসি চলাকালীন সময়ে মসজিদের আবদ্ধ থাকায় পুরো মসজিদ গ্যাসে ভর্তি হয়ে যায়। গ্যাসের সাথে বিদ্যুতের সংস্পর্শে এসে এ বিষ্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে আমি মনে করছি।

ঘটনাস্থলে নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি), সিআইডি, র‌্যাব ও পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছেন।


"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

ফেসবুকে👍আপনার_বিজ্ঞাপন

মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় অক্ষত রয়েছে কোরআন শরীফ

১০:৫০:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২০
"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

আলোকিত শীতলক্ষ্যা রিপোর্ট : নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার পশ্চিম তল্লা বাইতুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় মসজিদের ভেতরের সবকিছু পুড়ে ও ভেঙে চুরমার হয়ে গেলেও অক্ষত রয়েছে সেখানে থাকা কোরআন শরীফ ও অন্যান্য কিতাবগুলো।

শনিবার ৫ সেপ্টেম্বর সরেজমিনে গিয়ে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া যায়।

শুক্রবার ৪ সেপ্টেম্বর রাত পৌনে ৯টায় বিস্ফোরণে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানান, মসজিদের ভিতরে থাকা ৬টি এসির ফিল্টার ও বিদ্যুতের সংযোগ তার, নামাজ পড়ার জায়নামাজ, তসবিহ, প্লাস্টিকের চেয়ার পুড়ে গেছে। কিন্তু কোরআন শরীফ ও হাদিসের বইগুলোর কিছুই হয়নি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকট শব্দে বিস্ফোরণের পর বিদ্যুৎ চলে যায়। তখন মসজিদ থেকে একে একে মুসল্লীরা খালি গায়ে দগ্ধ হয়ে বের হতে থাকে। ‘বাঁচাও বাঁচাও’ চিৎকার করে একে একে বেরিয়ে আসতে থাকে। তাদের চিৎকারে সেখানে হৃদয়বিদারক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। একে একে মুসল্লীদের রিকশায় করে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়। আগুনে সবার পোশাক পুড়ে গেছে। রক্তাক্ত বের হয়েছেন অনেকেই। শরীরের চামড়া বেশীরভাগজনেরই সাদা হয়ে গেছে।

পৌনে ৯টায় বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে মসজিদের ভেতরে থাকা ৩০ থেকে ৪০ জনের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। হুড়োহুড়ি করে বের হয় লোকজন। তাদের অনেকেই দগ্ধ ও আহত ছিল। মসজিদের ভেতরে থাকা দেড় ও ২ টনের ৬টি এসির সবগুলো বিস্ফোরণ ঘটে ভেতরের যন্ত্রাংশ বেরিয়ে গেছে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিন, পুলিশ সুপার মো. জায়েদুল আলমসহ আইনশৃংখলাবাহিনী ও প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তরা।এছাড়াও রাজনৈতিক, সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরাও ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, তল্লা বাইতুস সালাম জামে মসজিদের নিচ দিয়ে গ্যাসের লাইন গিয়েছে। আমরা আগুন নিবানোর জন্য পানি দিলে সেখানে পানির বুদবুদ দেখতে পাই। মূলত গ্যাস বের হচ্ছে। এসি চলাকালীন সময়ে মসজিদের আবদ্ধ থাকায় পুরো মসজিদ গ্যাসে ভর্তি হয়ে যায়। গ্যাসের সাথে বিদ্যুতের সংস্পর্শে এসে এ বিষ্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে আমি মনে করছি।

ঘটনাস্থলে নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি), সিআইডি, র‌্যাব ও পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছেন।


"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"