নারায়ণগঞ্জ ০৪:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভাষা সৈনিক ও রত্নগর্ভা ‘মা‌‘ নাগিনা জোহার ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠানসূচী

 অনলাইন ভার্সন
  • ১০:২৮:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ মার্চ ২০২০
  • / ৫০০

"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

স্টাফ রিপোর্টার আলোকিত শীতলক্ষ্যা ডটকম : ভাষা সৈনিক ও রত্মগর্ভা ‘মা‌‘ নাগিনা জোহার ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকী ৭ মার্চ শনিবার। মরহুমার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে বিদেহী আত্নার মাগফেরাত কামনায় মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানসূচীর মধ্যে রয়েছে শনিবার চাষাঢ়া হীরা মহলে সকাল থেকে কোরান খতম, বেলা ১১টায় মদনপুর বাগদোবাড়িয়া এলাকায় অবস্থিত নাগিনা জোহা উচ্চ বিদ্যালয় মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া এবং বাদ জোহর চাষাঢ়া মসজিদের দোয়া ও এতিমদের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরন।

ভাষা সৈনিক নাগিনা জোহার পরিবারের পক্ষ থেকে উক্ত দোয়ায় অংশগ্রহণ করে মরহুমার আত্মার মাগফেরাত কামনা করতে সকলের প্রতি আহবান জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য নাগিনা জোহা ছিলেন একজন রত্নগর্ভা মা। তিনি ভাষা সৈনিক ও স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা এ.কে.এম সামসুজ্জোহার সহধর্মিনী। তিনি ১৯৩৫ সালে অবিভক্ত বাংলার বর্ধমান জেলার কাশেম নগরের জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাদের পরিবারের পূর্বপুরুষদের নামানুসারেই গ্রামটির নাম কাশেম নগর রাখা হয়। তার বাবা আবুল হাসনাত ছিলেন সমাজ হিতৈষী ও কাশেম নগরের জমিদার। শিল্প-সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষকতায় তার বিশেষ সুনাম ছিল।

মরহুম নাগিনা জোহার বড় চাচা আবুল কাশেমের ছেলে আবুল হাশিম ছিলেন অবিভক্ত ভারতবর্ষের মুসলীম লীগের সেক্রেটারি ও এম.এল.এ। চাচাতো ভাই মাহবুব জাহেদী ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পরিষদের সদস্য ছিলেন। ভাগ্নে পশ্চিমবঙ্গের কমিউনিস্ট নেতা সৈয়দ মনসুর হাবিবুল্লাহ রাজ্যসভার স্পিকার ছিলেন। ১৯৫১ সালে এ কে এম সামসুজ্জোহার সাথে তার বিয়ে হয়। স্বামীর বাড়িতে এসেই ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে অংশ নেন।


"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

ফেসবুকে👍আপনার_বিজ্ঞাপন

ভাষা সৈনিক ও রত্নগর্ভা ‘মা‌‘ নাগিনা জোহার ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠানসূচী

১০:২৮:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ মার্চ ২০২০
"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

স্টাফ রিপোর্টার আলোকিত শীতলক্ষ্যা ডটকম : ভাষা সৈনিক ও রত্মগর্ভা ‘মা‌‘ নাগিনা জোহার ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকী ৭ মার্চ শনিবার। মরহুমার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে বিদেহী আত্নার মাগফেরাত কামনায় মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানসূচীর মধ্যে রয়েছে শনিবার চাষাঢ়া হীরা মহলে সকাল থেকে কোরান খতম, বেলা ১১টায় মদনপুর বাগদোবাড়িয়া এলাকায় অবস্থিত নাগিনা জোহা উচ্চ বিদ্যালয় মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া এবং বাদ জোহর চাষাঢ়া মসজিদের দোয়া ও এতিমদের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরন।

ভাষা সৈনিক নাগিনা জোহার পরিবারের পক্ষ থেকে উক্ত দোয়ায় অংশগ্রহণ করে মরহুমার আত্মার মাগফেরাত কামনা করতে সকলের প্রতি আহবান জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য নাগিনা জোহা ছিলেন একজন রত্নগর্ভা মা। তিনি ভাষা সৈনিক ও স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা এ.কে.এম সামসুজ্জোহার সহধর্মিনী। তিনি ১৯৩৫ সালে অবিভক্ত বাংলার বর্ধমান জেলার কাশেম নগরের জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাদের পরিবারের পূর্বপুরুষদের নামানুসারেই গ্রামটির নাম কাশেম নগর রাখা হয়। তার বাবা আবুল হাসনাত ছিলেন সমাজ হিতৈষী ও কাশেম নগরের জমিদার। শিল্প-সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষকতায় তার বিশেষ সুনাম ছিল।

মরহুম নাগিনা জোহার বড় চাচা আবুল কাশেমের ছেলে আবুল হাশিম ছিলেন অবিভক্ত ভারতবর্ষের মুসলীম লীগের সেক্রেটারি ও এম.এল.এ। চাচাতো ভাই মাহবুব জাহেদী ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পরিষদের সদস্য ছিলেন। ভাগ্নে পশ্চিমবঙ্গের কমিউনিস্ট নেতা সৈয়দ মনসুর হাবিবুল্লাহ রাজ্যসভার স্পিকার ছিলেন। ১৯৫১ সালে এ কে এম সামসুজ্জোহার সাথে তার বিয়ে হয়। স্বামীর বাড়িতে এসেই ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে অংশ নেন।


"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"