নারায়ণগঞ্জ ০৩:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিএনপি নেতার মামুন-কামালসহ ৭ নেতাকর্মীর ১ দিনের রিমান্ড

 অনলাইন ভার্সন
  • ১২:৪০:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর ২০১৯
  • / ৫০৮

"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

স্টাফ রিপোর্টার আলোকিত শীতলক্ষ্যা : পুলিশের উপর হামলার ঘটনার মামলায় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মামুন মাহমুদ ও মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামালসহ ৭ নেতাকর্মীর ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার সকালে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা খাতুনের আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত শুনানি শেষে ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

প্রসঙ্গত, সোমবার ১৭ ডিসেম্বর রাতে বিশেষ ক্ষমতা আইনে সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ছাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে বিএনপির ১৯ নেতাকর্মীর নামোলে¬খ করে অজ্ঞাত আরো ২০০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলা দায়েরের পরপরই জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ (৪৮), মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামালকে (৫৫) নিজবাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়াও মামলায় উলে¬খিত ঘটনাস্থল থেকে আটক ৪ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তারা হলেন, নুর এলাহী সোহাগ ওরফে রাকিব (৩৭), মো.স্বপন মিয়া (২০), মো.কামরুল হাসান (২৯) এবং মামুন (২০)।

এছাড়া অজ্ঞাত আসামি হিসেবে হোসেন কাজলকে নামে এক বিএনপি কর্মীকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। মামলায় নাম থাকা অন্য আসামিরা হলেন, মহানগর যুবদলের সভাপতি মাকছুদুল আলম খোরশেদ (৪০), জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনির (৫০), জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুকুল ইসলাম রাজীব (৪২), সাংগঠনিক সম্পাদক আবু হাসান ইউসুফ টিপু (৪৮), যুগ্ম সম্পাদক মনিরুল ইসলাম সজল (৪৮), মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া (৩৫), সাংগঠনিক সম্পাদক ওহিদুল ইসলাম ছক্কু (৪০), জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মশিউর রহমান রনি (২৮), জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মন্টু মেম্বার (৪৮), মঞ্জু (৪৫), আকরাম প্রধান (৪৮), মাহমুদুল হাসান লিংকন (৩৬)। এছাড়া অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ২০০ থেকে ৩০০ জনকে।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান।মামলা প্রসঙ্গে বাদী এসআই ছাইফুল ইসলাম বলেন, সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শহরের দুই নম্বর রেলগেইট এলাকায় লাঠিসোটা নিয়ে বেআইনিভাবে একদল উচ্ছৃঙ্খল জনতা রাস্তার যানবাহন চলাচলে বাধা দিয়ে ভাংচুর করছে এমন সংবাদে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে আসামিরা পুলিশের সাথে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করেন।

আমাদের উপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপসহ সরকারি অস্ত্র ও গুলি ছিনিয়ে নেওয়া চেষ্টা করে। এসময় আমিসহ (ছাইফুল ইসলাম) পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জয়নাল আবেদীন শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতপ্রাপ্ত হই। পরে পুলিশ সদস্যদের সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। এ ঘটনায় চারজনকে আটকসহ ঘটনাস্থলে থেকে বাঁশের লাঠি, ভাঙা ইটের টুকরো জব্দ করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে আটকদের কাছ থেকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অন্য আসামিদের জড়িত থাকর ব্যাপারে জানতে পেরে মামলা দায়ের করি।


"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

👍ফেসবুকে আলোকিত শীতলক্ষ্যা

বিএনপি নেতার মামুন-কামালসহ ৭ নেতাকর্মীর ১ দিনের রিমান্ড

১২:৪০:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর ২০১৯
"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

স্টাফ রিপোর্টার আলোকিত শীতলক্ষ্যা : পুলিশের উপর হামলার ঘটনার মামলায় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মামুন মাহমুদ ও মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামালসহ ৭ নেতাকর্মীর ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার সকালে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাহমিদা খাতুনের আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত শুনানি শেষে ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

প্রসঙ্গত, সোমবার ১৭ ডিসেম্বর রাতে বিশেষ ক্ষমতা আইনে সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ছাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে বিএনপির ১৯ নেতাকর্মীর নামোলে¬খ করে অজ্ঞাত আরো ২০০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলা দায়েরের পরপরই জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ (৪৮), মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামালকে (৫৫) নিজবাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়াও মামলায় উলে¬খিত ঘটনাস্থল থেকে আটক ৪ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তারা হলেন, নুর এলাহী সোহাগ ওরফে রাকিব (৩৭), মো.স্বপন মিয়া (২০), মো.কামরুল হাসান (২৯) এবং মামুন (২০)।

এছাড়া অজ্ঞাত আসামি হিসেবে হোসেন কাজলকে নামে এক বিএনপি কর্মীকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। মামলায় নাম থাকা অন্য আসামিরা হলেন, মহানগর যুবদলের সভাপতি মাকছুদুল আলম খোরশেদ (৪০), জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনির (৫০), জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুকুল ইসলাম রাজীব (৪২), সাংগঠনিক সম্পাদক আবু হাসান ইউসুফ টিপু (৪৮), যুগ্ম সম্পাদক মনিরুল ইসলাম সজল (৪৮), মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া (৩৫), সাংগঠনিক সম্পাদক ওহিদুল ইসলাম ছক্কু (৪০), জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মশিউর রহমান রনি (২৮), জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মন্টু মেম্বার (৪৮), মঞ্জু (৪৫), আকরাম প্রধান (৪৮), মাহমুদুল হাসান লিংকন (৩৬)। এছাড়া অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ২০০ থেকে ৩০০ জনকে।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান।মামলা প্রসঙ্গে বাদী এসআই ছাইফুল ইসলাম বলেন, সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শহরের দুই নম্বর রেলগেইট এলাকায় লাঠিসোটা নিয়ে বেআইনিভাবে একদল উচ্ছৃঙ্খল জনতা রাস্তার যানবাহন চলাচলে বাধা দিয়ে ভাংচুর করছে এমন সংবাদে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে আসামিরা পুলিশের সাথে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করেন।

আমাদের উপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপসহ সরকারি অস্ত্র ও গুলি ছিনিয়ে নেওয়া চেষ্টা করে। এসময় আমিসহ (ছাইফুল ইসলাম) পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জয়নাল আবেদীন শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতপ্রাপ্ত হই। পরে পুলিশ সদস্যদের সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। এ ঘটনায় চারজনকে আটকসহ ঘটনাস্থলে থেকে বাঁশের লাঠি, ভাঙা ইটের টুকরো জব্দ করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে আটকদের কাছ থেকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অন্য আসামিদের জড়িত থাকর ব্যাপারে জানতে পেরে মামলা দায়ের করি।


"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"