নারায়ণগঞ্জ ০১:০৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গ্যাসের বিষ্ফোরনের আগুনে একই পরিবারের শিশুসহ ৮জন দগ্ধ-১জন নিহত

 অনলাইন ভার্সন
  • ০৩:৫৬:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২০
  • / ৪৭৮

"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

স্টাফ রিপোর্টার আলোকিত শীতলক্ষ্যা : ঘরের ভিতরে জমে থাকা গ্যাসের বিষ্ফোরনের আগুনে একই পরিবারের শিশুসহ ৮জন দগ্ধ হয়েছেন। এদের মধ্যে নুরজাহান বেগম (৭০) নামে একজন মারা গেছেন।

আহতরা হলেন- নিহত নুরজাহানের ছেলে কিরন (৫০), কিরনের ছেলে ইমন (২২), আপন (৮), কিরনের ছোট ভাই হিরন (৩০), হিরনের স্ত্রী মুক্তা (২০), তার শিশু কন্যা ইলমা (২) ও ভাগিনা কাউছার (১৪)।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ভোরে সাহেবপাড়া এলাকায় ফারুকের ৫তলা বাড়ির নীচ তলায় এ ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে আদমজী ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে ও আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ বার্ণ ইউনিটে পাঠায়। পরে সেখানে চিকিৎসাধিন অবস্থায় নুর জাহানের মৃত্যু হয়।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ সুত্রে জানা যায়, আহত সাত জনের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তারা হলেন- কিরণ (৭০% শতাংশ), ইমন (৪৫% শতাংশ)ও কাওছার (২৫% শতাংশ)।

এদিকে এ ঘটনার খবর পেয়ে ফতুল্লা থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) শুভ ও তিতাস গ্যাস’র কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

দগ্ধ কিরনের স্ত্রী লিপি আক্তার জানান, শীতের কারণে সারা রাত ঘরের সব দরজা-জানালা বন্ধ ছিল। ধারণা করা হচ্ছে রান্নাঘরের গ্যাসের চুলার চাবি ঠিকমত বন্ধ না করায় সারারাত গ্যাস লিক বন্ধ ঘরে জমে থাকে। ভোরে চুলা ধরাতে দেশলাইয়ের কাঠি জ্বালানোর সঙ্গে সঙ্গে চার রুমে আগুন ছড়িয়ে পড়ে আট জনই দগ্ধ হন।

তিনি আরো জানান, এ এলাকায় প্রায়ই সময়ই চুলায় গ্যাস চাপ থাকেনা। হয়ত গ্যাস সরবাহ না থাকার সময় কেউ চুলার চাবি ঘুরিয়ে গ্যাস না থাকায় তা বন্ধ করতে ভুলে যায়। নিয়মিত গ্যাসের চাপ না থাকায় অসাবধনতা বশত এ ভুলের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।

আদমজী ইপিজেডের ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. শাহজাহান জানান, ওই বাসায় গ্যাসের চুলা সারা রাত চালু থাকায় চারটি রুমে গ্যাস জমে ছিল। সকালে চুলা জ্বালানোর সঙ্গে সঙ্গে চার রুমে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আহতদের আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া নুর জাহানের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অন্য সবার শরীরের বিভিন্ন স্থান আগুনে ঝলসে গেছে। তাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।


"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

👍ফেসবুকে আলোকিত শীতলক্ষ্যা

ফেসবুকে👍আপনার_বিজ্ঞাপন

গ্যাসের বিষ্ফোরনের আগুনে একই পরিবারের শিশুসহ ৮জন দগ্ধ-১জন নিহত

০৩:৫৬:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২০
"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

স্টাফ রিপোর্টার আলোকিত শীতলক্ষ্যা : ঘরের ভিতরে জমে থাকা গ্যাসের বিষ্ফোরনের আগুনে একই পরিবারের শিশুসহ ৮জন দগ্ধ হয়েছেন। এদের মধ্যে নুরজাহান বেগম (৭০) নামে একজন মারা গেছেন।

আহতরা হলেন- নিহত নুরজাহানের ছেলে কিরন (৫০), কিরনের ছেলে ইমন (২২), আপন (৮), কিরনের ছোট ভাই হিরন (৩০), হিরনের স্ত্রী মুক্তা (২০), তার শিশু কন্যা ইলমা (২) ও ভাগিনা কাউছার (১৪)।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ভোরে সাহেবপাড়া এলাকায় ফারুকের ৫তলা বাড়ির নীচ তলায় এ ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে আদমজী ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে ও আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ বার্ণ ইউনিটে পাঠায়। পরে সেখানে চিকিৎসাধিন অবস্থায় নুর জাহানের মৃত্যু হয়।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ সুত্রে জানা যায়, আহত সাত জনের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তারা হলেন- কিরণ (৭০% শতাংশ), ইমন (৪৫% শতাংশ)ও কাওছার (২৫% শতাংশ)।

এদিকে এ ঘটনার খবর পেয়ে ফতুল্লা থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) শুভ ও তিতাস গ্যাস’র কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

দগ্ধ কিরনের স্ত্রী লিপি আক্তার জানান, শীতের কারণে সারা রাত ঘরের সব দরজা-জানালা বন্ধ ছিল। ধারণা করা হচ্ছে রান্নাঘরের গ্যাসের চুলার চাবি ঠিকমত বন্ধ না করায় সারারাত গ্যাস লিক বন্ধ ঘরে জমে থাকে। ভোরে চুলা ধরাতে দেশলাইয়ের কাঠি জ্বালানোর সঙ্গে সঙ্গে চার রুমে আগুন ছড়িয়ে পড়ে আট জনই দগ্ধ হন।

তিনি আরো জানান, এ এলাকায় প্রায়ই সময়ই চুলায় গ্যাস চাপ থাকেনা। হয়ত গ্যাস সরবাহ না থাকার সময় কেউ চুলার চাবি ঘুরিয়ে গ্যাস না থাকায় তা বন্ধ করতে ভুলে যায়। নিয়মিত গ্যাসের চাপ না থাকায় অসাবধনতা বশত এ ভুলের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।

আদমজী ইপিজেডের ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. শাহজাহান জানান, ওই বাসায় গ্যাসের চুলা সারা রাত চালু থাকায় চারটি রুমে গ্যাস জমে ছিল। সকালে চুলা জ্বালানোর সঙ্গে সঙ্গে চার রুমে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আহতদের আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া নুর জাহানের মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অন্য সবার শরীরের বিভিন্ন স্থান আগুনে ঝলসে গেছে। তাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।


"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"