১২:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ফাঁকা গুলি করে পরিস্থিতি নিয়নন্ত্রন

ফতুল্লায় আবারও দুই গ্রুপের সংঘর্ষে টেটাবিদ্ধ; গ্রেপ্তার ৩

  • ১১:৩১:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ মে ২০২৪
  • / ৪০৩

ফতুল্লা প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লায় আবারও দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অলিদ নামের একজন টেটাবিদ্ধ হয়েছে। এসময় বেশকয়েকটি বসত বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট চালানো হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ২০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে পরিস্থিতি নিয়নন্ত্রনে আনে। এসময় রেজাউল, জিল্লুর রহমান ও আসলাম নামে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (৩১ মে) দুপুরে ফতুল্লা থানা সীমান্তের বক্তাবলী ইউনিয়নের আকবরনগর এলাকায় রহিম হাজী ও সামেদ আলী গ্রুপের মধ্যে এঘটনা ঘটে। আহত অলিদ (৪০) আকবরনগর এলাকার মৃত. দুদু মিয়ার ছেলে। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পূর্বশত্রুতার জের ধরে প্রায় সময় রহিম হাজী ও সামেদ আলী গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এবারের সংঘর্ষে শিশু ও কিশোর বয়সী ছেলেদের টেঁটা হাতে দৌড়াতে দেখা গেছে। সকাল থেকেই ভয়ঙ্কর এক পরিস্থিতির সৃস্টি হয়। দুই পক্ষের মধ্যে চলছিলো উত্তেজনা। এতে দুপুরে উভয়পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে টেঁটা, রাম দা হাতে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় সামেদ আলী গ্রুপের অলিদ মিয়ার হাতে পায়ে ও মাথায় টেঁটাবিদ্ধ হয়।

এরআগে গত ২৬ মে দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত দুই গ্রুপ পূর্বশত্রুতার জের ধরে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ওইসময় উভয় গ্রুপের অন্তত ১২জন টেঁটাবিদ্ধ হয়ে আহত হয়। তখন পরিস্থিতি শান্ত করতে পুলিশ ১৭ রাউন্ড শর্টগানের ফাঁকা গুলি করে। এঘটনার ৫দিনের মাথায় ফের সংঘর্ষে জড়ায় রহিম হাজী ও সামেদ আলী গ্রুপ।

এলাকাবাসী জানান, রহিম হাজী ও সামেদ আলী গ্রুপের মধ্যে প্রায় এক যুগ ধরে প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ চলে আসছে। তাদের এ সংঘর্ষে বিভিন্ন সময় উভয় গ্রুপের একাধিক লোক টেঁটাবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়। এতে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখান ও ফতুল্লা থানায় প্রায় শতাধিক মামলা হয়।

এ বিষয়ে বক্তাবলী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (এস.আই) মফিজ উদ্দিন জানান, ২০ রাউন্ড শর্টগানের ফাঁকা গুলি ছুড়ে সন্ত্রাসীদের ধাওয়া করে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়েছে। আকবর নগরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূরে আজম জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আকবরনগর এলাকাকে সন্ত্রাস মুক্ত করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে।

সংবাদটি ▼ শেয়ার করুন

👍ফেসবুকে আলোকিত শীতলক্ষ্যা

ফাঁকা গুলি করে পরিস্থিতি নিয়নন্ত্রন

ফতুল্লায় আবারও দুই গ্রুপের সংঘর্ষে টেটাবিদ্ধ; গ্রেপ্তার ৩

১১:৩১:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ মে ২০২৪

ফতুল্লা প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লায় আবারও দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অলিদ নামের একজন টেটাবিদ্ধ হয়েছে। এসময় বেশকয়েকটি বসত বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট চালানো হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ২০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে পরিস্থিতি নিয়নন্ত্রনে আনে। এসময় রেজাউল, জিল্লুর রহমান ও আসলাম নামে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (৩১ মে) দুপুরে ফতুল্লা থানা সীমান্তের বক্তাবলী ইউনিয়নের আকবরনগর এলাকায় রহিম হাজী ও সামেদ আলী গ্রুপের মধ্যে এঘটনা ঘটে। আহত অলিদ (৪০) আকবরনগর এলাকার মৃত. দুদু মিয়ার ছেলে। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পূর্বশত্রুতার জের ধরে প্রায় সময় রহিম হাজী ও সামেদ আলী গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এবারের সংঘর্ষে শিশু ও কিশোর বয়সী ছেলেদের টেঁটা হাতে দৌড়াতে দেখা গেছে। সকাল থেকেই ভয়ঙ্কর এক পরিস্থিতির সৃস্টি হয়। দুই পক্ষের মধ্যে চলছিলো উত্তেজনা। এতে দুপুরে উভয়পক্ষ মুখোমুখি অবস্থান নিয়ে টেঁটা, রাম দা হাতে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় সামেদ আলী গ্রুপের অলিদ মিয়ার হাতে পায়ে ও মাথায় টেঁটাবিদ্ধ হয়।

এরআগে গত ২৬ মে দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত দুই গ্রুপ পূর্বশত্রুতার জের ধরে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ওইসময় উভয় গ্রুপের অন্তত ১২জন টেঁটাবিদ্ধ হয়ে আহত হয়। তখন পরিস্থিতি শান্ত করতে পুলিশ ১৭ রাউন্ড শর্টগানের ফাঁকা গুলি করে। এঘটনার ৫দিনের মাথায় ফের সংঘর্ষে জড়ায় রহিম হাজী ও সামেদ আলী গ্রুপ।

এলাকাবাসী জানান, রহিম হাজী ও সামেদ আলী গ্রুপের মধ্যে প্রায় এক যুগ ধরে প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ চলে আসছে। তাদের এ সংঘর্ষে বিভিন্ন সময় উভয় গ্রুপের একাধিক লোক টেঁটাবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়। এতে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখান ও ফতুল্লা থানায় প্রায় শতাধিক মামলা হয়।

এ বিষয়ে বক্তাবলী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (এস.আই) মফিজ উদ্দিন জানান, ২০ রাউন্ড শর্টগানের ফাঁকা গুলি ছুড়ে সন্ত্রাসীদের ধাওয়া করে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়েছে। আকবর নগরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূরে আজম জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আকবরনগর এলাকাকে সন্ত্রাস মুক্ত করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে।

সংবাদটি ▼ শেয়ার করুন