০২:৩২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বিকল্প পরিবহনে নারায়ণগঞ্জে ফিরছে পোষাক শ্রমিকরা

  • ১১:৫৮:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ জুলাই ২০২১
  • / ৪৯০

আলোকিত শীতলক্ষ্যা : আজ রবিবার (১ আগস্ট) থেকে খুলে দেয়া হয়েছে শিল্পকারখানা। এদিকে এ ঘোষণা জানার পর থেকেই শিল্পাঞ্চলখ্যাত নারায়ণগঞ্জে ফিরতে শুরু করেছে বিভিন্ন কলকারখানায় নিয়োজিত শ্রমিক কমচারীরা। বাস চালু না থাকলেও বিকল্প পরিবহনে পরিবারপরিজন নারায়ণগঞ্জে প্রবেশ করছেন। সড়ক-মহাসড়কে বিভিন্ন চেকপোস্টে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হয়েছে তাদের। এতে করে ফেরার পথে তারা ভোগান্তির সম্মুখীন হচ্ছেন। তবুও চাকরি হারানোর ভয়ে কর্মস্থলে ফিরছেন।

শনিবার (৩১ জুলাই) দিনভর সড়ক ও মহাসড়কে দেখা গেছে, নারায়ণগঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড, শিমরাইল ও মদনপুর পর্যন্ত বিভিন্ন ছোট যানবাহনে করে কর্মস্থলে ফিরছেন পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। সেখানে থেকে ইজিবাইক, সিএনজি ও রিকশা নিয়ে ছোট পথ ধরে বিভিন্ন পাড়া মহল্লার দিতে ছুটছেন তারা।

বাহন না পেয়ে অনেকে পায়ে হেঁটে পার হয়েছেন দীর্ঘ পথ। একই পরিস্থিতি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কাঁচপুর, ভুলতা, বরপা, তারাব এলাকাতেও। উত্তরাঞ্চল থেকে আসা অনেকেই ব্যবহার করছেন নারায়ণগঞ্জ-গাজীপুর-এশিয়ান হাইওয়ে সড়ক। সেখান থেকে মদনপুর হয়ে যাচ্ছেন কর্মস্থলে। এছাড়াও রাজধানীর জুরাইন হয়ে ইজিবাইকযোগে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পুরাতন সড়ক দিয়েও অনেকে ফিরেছে।

সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড়ে গার্মেন্টসকর্মী তসলিমা জানান, তিনি কুমিল্লা থেকে ফিরছেন। যাবেন ফতুল্লা। ছোট যানবাহনে ভেঙ্গে ভেঙ্গে এসেছেন। আবার মাঝে মাঝে অনেকটা পথ হেটে আসতে হয়েছে। এতে খরচের পরিমান অনেক বেড়েছে। পাশাপাশি ভোগান্তির শেষ নেই।

বগুড়া থেকে ফিরছেন সাইদুল নামে এক শ্রমিক। তিনি জানান, গণ পরিবহন বন্ধ তবুও চাকরির খাতিরে বিকল্পভাবে আসতে হয়েছে। এতে স্বাভাবিক ভাড়ার চেয়ে কয়েকগুন বেশি ভাড়া গুণতে হয়েছে।আর ভোগান্তি পোহাতে আরও কয়েকগুণ। ট্রাক, প্রাইভেট কার, সিএনজি, অটোরিকশাযোগে ভেঙে ভেঙে ছোট যানবাহনে এসে পৌঁছেছেন সাইনবোর্ডে। যাবেন আদমজী ইপিজেড এলাকায়। তার মতো অনেকেই চাকরি হারানোর ভয়ে ভোগান্তি মাথায় নিয়েই ফিরছেন কর্মস্থলে।

এদিকে কঠোর বিধিনিষেধ ঘোষণার দিন যতই যাচ্ছে বাস্তবায়ন যেন ততই শিথিল হয়ে পড়ছে। লকডাউন শুরুর দিকে নারায়ণগঞ্জের সড়কে যানবাহনের সংখ্যা কম থাকলেও শিল্পকারখানা খোলার সংবাদে এখন বাস ছাড়া সব ধরনের পরিবহনই দেখা যাচ্ছে। একইসঙ্গে সড়কে বেড়েছে সাধারণ মানুষের চলাচল।

৫ আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ শেষ হওয়ার আগেই যেন সবকিছু স্বাভাবিক হচ্ছে নারায়ণগঞ্জে। সড়ক মহাসড়কে ব্যক্তিগত গাড়ি, রিকশা, সিএনজি, মোটরসাইকেল সবই চলছে। পুলিশের চেক পোস্টে কড়াকড়িও কমে গেছে। মানুষজন অপ্রয়োজনেও বাসা থেকে বের হচ্ছেন।

কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান জানান, কারখানা খোলার খবরে গার্মেন্টস কর্মীরা ঢাকার দিকে আসতে শুরু করেছেন। মহাসড়কে শ্রমিকদের উপস্থিতি ছিল ব্যাপক। ছোট ছোট যানবাহনে করে ফিরছেন তারা। দিচ্ছেন চেকপোস্টগুলোতে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। শ্রমিক নিশ্চিত হয়ে তাদের যেতে দেয়া হচ্ছে।

সংবাদটি ▼ শেয়ার করুন

👍ফেসবুকে আলোকিত শীতলক্ষ্যা

বিকল্প পরিবহনে নারায়ণগঞ্জে ফিরছে পোষাক শ্রমিকরা

১১:৫৮:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ জুলাই ২০২১

আলোকিত শীতলক্ষ্যা : আজ রবিবার (১ আগস্ট) থেকে খুলে দেয়া হয়েছে শিল্পকারখানা। এদিকে এ ঘোষণা জানার পর থেকেই শিল্পাঞ্চলখ্যাত নারায়ণগঞ্জে ফিরতে শুরু করেছে বিভিন্ন কলকারখানায় নিয়োজিত শ্রমিক কমচারীরা। বাস চালু না থাকলেও বিকল্প পরিবহনে পরিবারপরিজন নারায়ণগঞ্জে প্রবেশ করছেন। সড়ক-মহাসড়কে বিভিন্ন চেকপোস্টে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হয়েছে তাদের। এতে করে ফেরার পথে তারা ভোগান্তির সম্মুখীন হচ্ছেন। তবুও চাকরি হারানোর ভয়ে কর্মস্থলে ফিরছেন।

শনিবার (৩১ জুলাই) দিনভর সড়ক ও মহাসড়কে দেখা গেছে, নারায়ণগঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড, শিমরাইল ও মদনপুর পর্যন্ত বিভিন্ন ছোট যানবাহনে করে কর্মস্থলে ফিরছেন পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। সেখানে থেকে ইজিবাইক, সিএনজি ও রিকশা নিয়ে ছোট পথ ধরে বিভিন্ন পাড়া মহল্লার দিতে ছুটছেন তারা।

বাহন না পেয়ে অনেকে পায়ে হেঁটে পার হয়েছেন দীর্ঘ পথ। একই পরিস্থিতি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কাঁচপুর, ভুলতা, বরপা, তারাব এলাকাতেও। উত্তরাঞ্চল থেকে আসা অনেকেই ব্যবহার করছেন নারায়ণগঞ্জ-গাজীপুর-এশিয়ান হাইওয়ে সড়ক। সেখান থেকে মদনপুর হয়ে যাচ্ছেন কর্মস্থলে। এছাড়াও রাজধানীর জুরাইন হয়ে ইজিবাইকযোগে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পুরাতন সড়ক দিয়েও অনেকে ফিরেছে।

সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড়ে গার্মেন্টসকর্মী তসলিমা জানান, তিনি কুমিল্লা থেকে ফিরছেন। যাবেন ফতুল্লা। ছোট যানবাহনে ভেঙ্গে ভেঙ্গে এসেছেন। আবার মাঝে মাঝে অনেকটা পথ হেটে আসতে হয়েছে। এতে খরচের পরিমান অনেক বেড়েছে। পাশাপাশি ভোগান্তির শেষ নেই।

বগুড়া থেকে ফিরছেন সাইদুল নামে এক শ্রমিক। তিনি জানান, গণ পরিবহন বন্ধ তবুও চাকরির খাতিরে বিকল্পভাবে আসতে হয়েছে। এতে স্বাভাবিক ভাড়ার চেয়ে কয়েকগুন বেশি ভাড়া গুণতে হয়েছে।আর ভোগান্তি পোহাতে আরও কয়েকগুণ। ট্রাক, প্রাইভেট কার, সিএনজি, অটোরিকশাযোগে ভেঙে ভেঙে ছোট যানবাহনে এসে পৌঁছেছেন সাইনবোর্ডে। যাবেন আদমজী ইপিজেড এলাকায়। তার মতো অনেকেই চাকরি হারানোর ভয়ে ভোগান্তি মাথায় নিয়েই ফিরছেন কর্মস্থলে।

এদিকে কঠোর বিধিনিষেধ ঘোষণার দিন যতই যাচ্ছে বাস্তবায়ন যেন ততই শিথিল হয়ে পড়ছে। লকডাউন শুরুর দিকে নারায়ণগঞ্জের সড়কে যানবাহনের সংখ্যা কম থাকলেও শিল্পকারখানা খোলার সংবাদে এখন বাস ছাড়া সব ধরনের পরিবহনই দেখা যাচ্ছে। একইসঙ্গে সড়কে বেড়েছে সাধারণ মানুষের চলাচল।

৫ আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ শেষ হওয়ার আগেই যেন সবকিছু স্বাভাবিক হচ্ছে নারায়ণগঞ্জে। সড়ক মহাসড়কে ব্যক্তিগত গাড়ি, রিকশা, সিএনজি, মোটরসাইকেল সবই চলছে। পুলিশের চেক পোস্টে কড়াকড়িও কমে গেছে। মানুষজন অপ্রয়োজনেও বাসা থেকে বের হচ্ছেন।

কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান জানান, কারখানা খোলার খবরে গার্মেন্টস কর্মীরা ঢাকার দিকে আসতে শুরু করেছেন। মহাসড়কে শ্রমিকদের উপস্থিতি ছিল ব্যাপক। ছোট ছোট যানবাহনে করে ফিরছেন তারা। দিচ্ছেন চেকপোস্টগুলোতে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। শ্রমিক নিশ্চিত হয়ে তাদের যেতে দেয়া হচ্ছে।

সংবাদটি ▼ শেয়ার করুন