০১:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নারায়ণগঞ্জে ভারতের রাষ্ট্রদূত

যেকোনো সংকটে বাংলাদেশের পাশে থাকবে ভারত

  • ১০:৫১:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মে ২০২৪
  • / ৩৮৪

স্টাফ রিপোর্টার : যেকোনো সংকটে ভারত বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত প্রণয় কুমার ভার্মা। তিনি বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন সময়ের মতো আগামীতেও বাংলাদেশকে সবরকম সহযোগিতা করা হবে। করোনাকালীন সময়ে টীকা এবং অক্সিজেন দিয়ে বাংলাদেশের পাশে ছিলো ভারত, আগামীতেও ঔষধসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশের পাশে থাকবে ভারত।

শনিবার (২৫ মে) নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের টিপরদী এলাকায় অবস্থিত মেঘনা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকোনমিক জোনে ভারতীয় বিনিয়োগে সান ফার্মার ওষুধ কারখানার উদ্বোধন কালে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় তিনি বাংলাদেশের ওষুধ শিল্পের উন্নয়নে ভারতের ফার্মাকোপিয়া ব্যবহারেও বাংলাদেশকে অনুরোধ করেন।

কারাখানার উদ্বোধক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এমপি বলেন, ওষুধ শিল্প বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গেছে। দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিশ্বের বহু দেশে রপ্তানি করছে। নতুন প্রযুক্তিতে কারখানা ও নতুন ওষুধ তৈরিতে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান মতো বাংলাদেশ কাজ করছে।

ওষুধ ব্যবসা একটি সফল উদ্যোগ উল্লেখ করে দেশের স্বাস্থ্য খাতে নতুনত্ব নিয়ে আসা ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদানের জন্য সান ফার্মা লিমিটেডের প্রশংসা করেন সালমান এফ রহমান।

তিনি আরও বলেন, বিগত দুই দশক ধরে সান ফার্মা বাংলাদেশের মানুষের জন্য সুলভ মূল্যে উচ্চমান সম্পন্ন ওষুধ সুনিশ্চিত করতে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি দেশে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।

সর্বাধুনিক প্রযুক্তির পাশাপাশি বছরে প্রায় এক বিলিয়ন ট্যাবলেট ও ক্যাপসুল উৎপাদন ক্ষমতা রয়েছে। দেশের স্বাস্থ্য খাতকে এগিয়ে নিতে এ ওষুধ কারখানা চালু করেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন, বাংলাদেশ ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ, মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি এবং ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডে চেয়ারম্যান ড. আব্দুল মুক্তাদির, বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজের সাধারণ সম্পাদক এস এম শফিউজ্জামান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফার্মেসি অনুষদের ডিন (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. ফিরোজ আহমেদ।

সান ফার্মা সূত্রে জানা যায়, বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম স্পেশালিটি জেনেরিক কোম্পানি সান ফার্মা। এ কোম্পানি স্পেশালিটি, জেনেরিক এবং কনজ্যুমার হেলথকেয়ারের জন্য সমাদৃত। সান ফার্মা ভারতের বৃহত্তম ওষুধ উৎপাদনকারী এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় জেনেরিক কোম্পানি হিসেবে প্রসিদ্ধ।

বিশ্বব্যাপী দ্রুত বর্ধনশীল কোম্পানি গুলোর মধ্যে সান ফার্মা অন্যতম। বিশ্বব্যাপী সান ফার্মার স্পেশালিটি পোর্টফোলিওতে রয়েছে ডার্মাটোলজি, অপথালমোলজি ও অনকো ডার্মাটোলজির বিভিন্ন ধরনের উদ্ভাবনী পণ্য, যা কোম্পানি সেলসের ১৬ শতাংশ দখল করেছে। বিশ্বের একশোর বেশি দেশে চিকিৎসক ও ভোক্তাদের আস্থা অর্জন করায় ৬টি মহাদেশে এ প্রতিষ্ঠানের ওষুধ উৎপাদনে কারখানা করেছে।

সংবাদটি ▼ শেয়ার করুন

👍ফেসবুকে আলোকিত শীতলক্ষ্যা

নারায়ণগঞ্জে ভারতের রাষ্ট্রদূত

যেকোনো সংকটে বাংলাদেশের পাশে থাকবে ভারত

১০:৫১:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মে ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার : যেকোনো সংকটে ভারত বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত প্রণয় কুমার ভার্মা। তিনি বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন সময়ের মতো আগামীতেও বাংলাদেশকে সবরকম সহযোগিতা করা হবে। করোনাকালীন সময়ে টীকা এবং অক্সিজেন দিয়ে বাংলাদেশের পাশে ছিলো ভারত, আগামীতেও ঔষধসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশের পাশে থাকবে ভারত।

শনিবার (২৫ মে) নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের টিপরদী এলাকায় অবস্থিত মেঘনা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকোনমিক জোনে ভারতীয় বিনিয়োগে সান ফার্মার ওষুধ কারখানার উদ্বোধন কালে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় তিনি বাংলাদেশের ওষুধ শিল্পের উন্নয়নে ভারতের ফার্মাকোপিয়া ব্যবহারেও বাংলাদেশকে অনুরোধ করেন।

কারাখানার উদ্বোধক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এমপি বলেন, ওষুধ শিল্প বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গেছে। দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিশ্বের বহু দেশে রপ্তানি করছে। নতুন প্রযুক্তিতে কারখানা ও নতুন ওষুধ তৈরিতে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান মতো বাংলাদেশ কাজ করছে।

ওষুধ ব্যবসা একটি সফল উদ্যোগ উল্লেখ করে দেশের স্বাস্থ্য খাতে নতুনত্ব নিয়ে আসা ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদানের জন্য সান ফার্মা লিমিটেডের প্রশংসা করেন সালমান এফ রহমান।

তিনি আরও বলেন, বিগত দুই দশক ধরে সান ফার্মা বাংলাদেশের মানুষের জন্য সুলভ মূল্যে উচ্চমান সম্পন্ন ওষুধ সুনিশ্চিত করতে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি দেশে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।

সর্বাধুনিক প্রযুক্তির পাশাপাশি বছরে প্রায় এক বিলিয়ন ট্যাবলেট ও ক্যাপসুল উৎপাদন ক্ষমতা রয়েছে। দেশের স্বাস্থ্য খাতকে এগিয়ে নিতে এ ওষুধ কারখানা চালু করেছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন, বাংলাদেশ ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ, মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি এবং ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডে চেয়ারম্যান ড. আব্দুল মুক্তাদির, বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজের সাধারণ সম্পাদক এস এম শফিউজ্জামান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফার্মেসি অনুষদের ডিন (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. ফিরোজ আহমেদ।

সান ফার্মা সূত্রে জানা যায়, বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম স্পেশালিটি জেনেরিক কোম্পানি সান ফার্মা। এ কোম্পানি স্পেশালিটি, জেনেরিক এবং কনজ্যুমার হেলথকেয়ারের জন্য সমাদৃত। সান ফার্মা ভারতের বৃহত্তম ওষুধ উৎপাদনকারী এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় জেনেরিক কোম্পানি হিসেবে প্রসিদ্ধ।

বিশ্বব্যাপী দ্রুত বর্ধনশীল কোম্পানি গুলোর মধ্যে সান ফার্মা অন্যতম। বিশ্বব্যাপী সান ফার্মার স্পেশালিটি পোর্টফোলিওতে রয়েছে ডার্মাটোলজি, অপথালমোলজি ও অনকো ডার্মাটোলজির বিভিন্ন ধরনের উদ্ভাবনী পণ্য, যা কোম্পানি সেলসের ১৬ শতাংশ দখল করেছে। বিশ্বের একশোর বেশি দেশে চিকিৎসক ও ভোক্তাদের আস্থা অর্জন করায় ৬টি মহাদেশে এ প্রতিষ্ঠানের ওষুধ উৎপাদনে কারখানা করেছে।

সংবাদটি ▼ শেয়ার করুন