০৮:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সোনারগাঁয়ে বিলুপ্তির পথে গ্রাম-বাংলার শোভা বর্ধনকারী শিমুল গাছ

  • ০৪:০৩:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২১
  • / ৬৫৫

মাজহারুল রাসেল (আলোকিত শীতলক্ষ্যা) : কালের বিবর্তনে সারা দেশের ন্যায় সোনারগাঁ উপজেলা থেকে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার শোভা বর্ধনকারী শিমুল গাছ। মনোমুগ্ধকর শিমুল ফুল নিয়ে রচিত হয়েছে গান, কবিতা ও গল্প।

বর্তমান সময়ের অনেক শিশুই চেনেনা শিমুল ফুল। নিকট অতীতে গ্রামের মানুষ প্রাকৃতিকভাবে গজিয়ে উঠা শিমুলের তুলা দিয়ে লেপ, তোষক, বালিশ ইত্যাদি তৈরি করত। যা ছিল খুবই আরামদায়ক এবং স্বাস্থ্যসম্মত। শিমুল গাছ কমে যাওয়ার ফলে স্বাস্থ্যসম্মত তুলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে মানুষ।

অপরদিকে শিমুল তুলা বাজারে বিক্রি করে বাড়তি আয় করতে পারতো কৃষক। এ ছাড়াও শিমুল গাছ গ্রামাঞ্চলে ঔষধি গাছ হিসাবে সুপরিচিত। শিমুলের মূল বিভিন্ন রোগের ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু উপকারী এই গাছটি বিলুপ্তির পথে। শিমুল গাছের চারা রোপণে কৃষকের উদাসীনতার পাশাপাশি সরকারি ও বেসরকারি কোনো উদ্যোগ না থাকাকে বিলুপ্তির কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন স্থানীয় সচেতন মহল।

এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় ১৫ বছর আগেও উপজেলায় বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার পাশে বাড়ির আনাচে কানাচে চোখে পড়ত অসংখ্য শিমুল গাছ। আর এসব গাছে ফুটন্ত শিমুল ফুলের সমারোহই জানান দিত প্রাকৃতিতে বসন্ত এসেছে। প্রস্ফুটিত ফুলে পুরো এলাকা এক অপরূপ রূপে সজ্জিত হয়ে উঠতো।

বারদী ইউনিয়নের ইউসুফ আলীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দিন দিন শিমুল গাছ কমে যাওয়ায় দেশি তুলা খুজে পাওয়া যায় না। ১৫ বছর পূর্বে প্রতি কেজি শিমুল তুলা বিক্রি হতো ১০০ থেকে ১৫০ টাকায়। এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায়।
তিনি আরো বলেন, প্রযুক্তির সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত বর্ধনশীল গাছের প্রতি মানুষ ঝুকে পড়ায় শিমুল গাছসহ বিভিন্ন গাছ পর্যায়ক্রমে উপজেলা থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।

সংবাদটি ▼ শেয়ার করুন

👍ফেসবুকে আলোকিত শীতলক্ষ্যা

সোনারগাঁয়ে বিলুপ্তির পথে গ্রাম-বাংলার শোভা বর্ধনকারী শিমুল গাছ

০৪:০৩:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২১

মাজহারুল রাসেল (আলোকিত শীতলক্ষ্যা) : কালের বিবর্তনে সারা দেশের ন্যায় সোনারগাঁ উপজেলা থেকে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার শোভা বর্ধনকারী শিমুল গাছ। মনোমুগ্ধকর শিমুল ফুল নিয়ে রচিত হয়েছে গান, কবিতা ও গল্প।

বর্তমান সময়ের অনেক শিশুই চেনেনা শিমুল ফুল। নিকট অতীতে গ্রামের মানুষ প্রাকৃতিকভাবে গজিয়ে উঠা শিমুলের তুলা দিয়ে লেপ, তোষক, বালিশ ইত্যাদি তৈরি করত। যা ছিল খুবই আরামদায়ক এবং স্বাস্থ্যসম্মত। শিমুল গাছ কমে যাওয়ার ফলে স্বাস্থ্যসম্মত তুলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে মানুষ।

অপরদিকে শিমুল তুলা বাজারে বিক্রি করে বাড়তি আয় করতে পারতো কৃষক। এ ছাড়াও শিমুল গাছ গ্রামাঞ্চলে ঔষধি গাছ হিসাবে সুপরিচিত। শিমুলের মূল বিভিন্ন রোগের ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। কিন্তু উপকারী এই গাছটি বিলুপ্তির পথে। শিমুল গাছের চারা রোপণে কৃষকের উদাসীনতার পাশাপাশি সরকারি ও বেসরকারি কোনো উদ্যোগ না থাকাকে বিলুপ্তির কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন স্থানীয় সচেতন মহল।

এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় ১৫ বছর আগেও উপজেলায় বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার পাশে বাড়ির আনাচে কানাচে চোখে পড়ত অসংখ্য শিমুল গাছ। আর এসব গাছে ফুটন্ত শিমুল ফুলের সমারোহই জানান দিত প্রাকৃতিতে বসন্ত এসেছে। প্রস্ফুটিত ফুলে পুরো এলাকা এক অপরূপ রূপে সজ্জিত হয়ে উঠতো।

বারদী ইউনিয়নের ইউসুফ আলীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দিন দিন শিমুল গাছ কমে যাওয়ায় দেশি তুলা খুজে পাওয়া যায় না। ১৫ বছর পূর্বে প্রতি কেজি শিমুল তুলা বিক্রি হতো ১০০ থেকে ১৫০ টাকায়। এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায়।
তিনি আরো বলেন, প্রযুক্তির সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত বর্ধনশীল গাছের প্রতি মানুষ ঝুকে পড়ায় শিমুল গাছসহ বিভিন্ন গাছ পর্যায়ক্রমে উপজেলা থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।

সংবাদটি ▼ শেয়ার করুন