০৪:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কম খরচে অধিক লাভবান-সোনারগাঁয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে বরবটি চাষ

  • ০৩:১৬:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ অক্টোবর ২০২১
  • / ৪৭৫

মাজহারুল রাসেল (আলোকিত শীতলক্ষ্যা) : কম খরচে অধিক লাভবান হওয়ায় সোনারগাঁয়ে বরবটি চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। সবজি হিসেবে বরবটির ব্যাপক চাহিদা থাকায় বাজারে ভালো দাম পাওয়া যায় । আধুনিক পদ্ধতি ও উন্নত মানের বীজ বপনের মাত্র ৩৫ থেকে ৪০ দিনের মধ্যে ফলন আসে। কম সময়ে ফলন পাওয়া ও বাজারে এর চাহিদা থাকায় উপজেলার প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে বাড়ছে বরবটির চাষ।

সরেজমিনে উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের এলাকা ঘুরে দেখা গেছে বেশ কয়েকটি বড়বড় বরবটি চাষকৃত জমি। সঠিক পরিচর্যা ও সময় মতো বীজ বপন করলে প্রতি একর জমি থেকে সাত থেকে আট টন বরবটি পাওয়া যায়। বরবটি চাষে সার, বীজ, অন্যান্য ব্যবস্থাপনা সহ ধাপেধাপে একর প্রতি খরচ পরে ৫০ /৬০ হাজার টাকা। বিক্রি আসে প্রায় তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা।

সোনারগাঁ পৌরসভার বালুয়া দিঘীরপাড় এলাকার কৃষক সেন্টু জানান, গতবছর তিনি চল্লিশ শতক জমিতে বরবটি চাষ করেছিলেন। সমস্ত ব্যয় শেষে এক লাখ টাকা লাভ হয়েছে। এবারো তিনি একই জায়গায় বরবটি চাষ করছেন।

নয়াপুর বাজারের সার ও বীজ ব্যবসায়ী মো.পারভেজ মিয়া জানান, গত বছরের তুলনায় এবার বরবটি বীজ বিক্রি হয়েছে অনেক বেশি। প্রতি একর জমিতে বরবটি বীজ লাগে ৫ কেজি। এবছর তিনি প্রায় ২০০ কেজি বীজ বিক্রি করেছেন।

মোজাইক ভাইরাস বরবটির প্রধান রোগ। জাপ পোকা এ রোগের বাহন। এছাড়াও বরবটির পাতা খেকে পোকা ও ফল ছিদ্রকারী পোকার আক্রমন দেখা যায়। পোকার আক্রমনের সাথে সাথেই ব্যবস্থা নিলে ভালো ফসল পাওয়া যাবে।

সোনারগাঁ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরা আক্তার জানান আমরা বরবটি চাষে এই উপজেলার কৃষকদের উৎসাহিত করছি। এবং শতাধিক কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ করেছি। মাঠ পর্যায়ে আমাদের কৃষি কর্মকর্তারা সব সময় কৃষকদের সু-পরামর্শ দিয়ে থাকে,যাতে করে কৃষকরা চাষাবাদ করে লাভবান হতে পারে।

সংবাদটি ▼ শেয়ার করুন

👍ফেসবুকে আলোকিত শীতলক্ষ্যা

কম খরচে অধিক লাভবান-সোনারগাঁয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে বরবটি চাষ

০৩:১৬:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ অক্টোবর ২০২১

মাজহারুল রাসেল (আলোকিত শীতলক্ষ্যা) : কম খরচে অধিক লাভবান হওয়ায় সোনারগাঁয়ে বরবটি চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। সবজি হিসেবে বরবটির ব্যাপক চাহিদা থাকায় বাজারে ভালো দাম পাওয়া যায় । আধুনিক পদ্ধতি ও উন্নত মানের বীজ বপনের মাত্র ৩৫ থেকে ৪০ দিনের মধ্যে ফলন আসে। কম সময়ে ফলন পাওয়া ও বাজারে এর চাহিদা থাকায় উপজেলার প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে বাড়ছে বরবটির চাষ।

সরেজমিনে উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের এলাকা ঘুরে দেখা গেছে বেশ কয়েকটি বড়বড় বরবটি চাষকৃত জমি। সঠিক পরিচর্যা ও সময় মতো বীজ বপন করলে প্রতি একর জমি থেকে সাত থেকে আট টন বরবটি পাওয়া যায়। বরবটি চাষে সার, বীজ, অন্যান্য ব্যবস্থাপনা সহ ধাপেধাপে একর প্রতি খরচ পরে ৫০ /৬০ হাজার টাকা। বিক্রি আসে প্রায় তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা।

সোনারগাঁ পৌরসভার বালুয়া দিঘীরপাড় এলাকার কৃষক সেন্টু জানান, গতবছর তিনি চল্লিশ শতক জমিতে বরবটি চাষ করেছিলেন। সমস্ত ব্যয় শেষে এক লাখ টাকা লাভ হয়েছে। এবারো তিনি একই জায়গায় বরবটি চাষ করছেন।

নয়াপুর বাজারের সার ও বীজ ব্যবসায়ী মো.পারভেজ মিয়া জানান, গত বছরের তুলনায় এবার বরবটি বীজ বিক্রি হয়েছে অনেক বেশি। প্রতি একর জমিতে বরবটি বীজ লাগে ৫ কেজি। এবছর তিনি প্রায় ২০০ কেজি বীজ বিক্রি করেছেন।

মোজাইক ভাইরাস বরবটির প্রধান রোগ। জাপ পোকা এ রোগের বাহন। এছাড়াও বরবটির পাতা খেকে পোকা ও ফল ছিদ্রকারী পোকার আক্রমন দেখা যায়। পোকার আক্রমনের সাথে সাথেই ব্যবস্থা নিলে ভালো ফসল পাওয়া যাবে।

সোনারগাঁ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরা আক্তার জানান আমরা বরবটি চাষে এই উপজেলার কৃষকদের উৎসাহিত করছি। এবং শতাধিক কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ করেছি। মাঠ পর্যায়ে আমাদের কৃষি কর্মকর্তারা সব সময় কৃষকদের সু-পরামর্শ দিয়ে থাকে,যাতে করে কৃষকরা চাষাবাদ করে লাভবান হতে পারে।

সংবাদটি ▼ শেয়ার করুন