১১:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সোনারগাঁয়ে পাইকারী কমেছে ব্রয়লার মুরগির দাম; হতাশ প্রান্তিক খামারিরা!

  • ০৩:৫২:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ জুলাই ২০২১
  • / ৪৮২

মাজহারুল রাসেল (আলোকিত শীতলক্ষ্যা) : সোনারগাঁ উপজেলায় পাইকারী পর্যায়ে ব্রয়লার মুরগির দামে সন্তুষ্ট নয় প্রান্তিক খামারিরা। বর্তমান পরিস্থিতিতে ব্রয়লার মুরগির উৎপাদনে যে পরিমাণ খরচ হচ্ছে সেই খরচও উঠছেনা। খামারি পর্যায়ে উপজেলায় প্রতি ১ কেজি ওজনের ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে গড়ে ১০০ টাকায়। যার ফলে প্রতিনিয়ত লোকসানে হতাশ হয়ে পড়ছেন খামারিরা।

উপজেলার পোল্ট্রি শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রান্তিক খামারিদের তথ্যমতে, একটি ডিমের উৎপাদন ব্যয় প্রায় ৬ টাকার অধিক। এছাড়াও এক কেজি ওজনের একটি ব্রয়লার মুরগির উৎপাদন ব্যয় হয় ১১৫-১২০ টাকার মধ্যে। কিন্তু বর্তমানে খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে বস্তা প্রতি প্রায় ২৫০ টাকা। পাশাপাশি বাচ্চার দাম বৃদ্ধি সহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক ব্যয় যোগ হওয়ায় এক কেজি ওজনের একটি ব্রয়লারের উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে। সেক্ষেত্রে ১২০ টাকার নিচে কোনাভবেই বিক্রি করা সম্ভব নয়বলে জানিয়েছেন খামারিরা।

খামারিরা জানিয়েছেন যে হারে খাদ্য ও বাচ্চার দাম বেড়েছে সেই তুলনায় বাজারে ডিম ও মুরগির দাম পাওয়া যাচ্ছেনা। যার ফলে প্রতিদিনই লোকসান গুনতে হচ্ছে। এতে করে খামার চালিয়ে যাওয়া কষ্টসাধ্য। এসময় অবিলম্বে খাদ্য ও বাচ্চার দাম কমানোর দাবিও জানান খামারিরা।

পৌরসভার ব্রয়লার খামারি মাসুদ বলেন, বর্তমানে শেডে মুরগি রেডি হচ্ছে ১৬০০ পিস। প্রতিটি বাচ্চা কেনা আছে ৪২ টাকা দরে। এছাড়াও খাদ্যের দাম বাড়তি। বর্তমানে পাইকারী বিক্রি হচ্ছে ১০০-১১০ টাকা। ২২-২৪ দিন পর্যন্ত মুরগি পালনে খরচ হবে গড়ে ১২০ টাকা। ১০০-১১০ টাকায় মুরগি বিক্রি করলে লাভ হবে নাকি লোকসান হবে হিসাব করুন এমন একটি প্রশ্ন ছুড়ে পালটা জবাব চান তিনি।

বারদী ইউনিয়নের খামারি সেলিম বলেন, বাচ্চার দাম ১০-১৫ টাকা হওয়া উচিৎ। তাহলে ব্রয়লার মুরগি পালন করে বর্তমান দামে বিক্রি করলে কিছু লাভ করা সম্ভব হবে। তাছাড়া ফার্ম করে লাভ তো দূরে থাক চালানও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা বলে হতাশা প্রকাশ করেন।

সোনারগাঁও উপজেলা পোল্ট্রি ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জহিরুল ইসলাম খোকন বলেন, বর্তমান বাজারে মুরগির বাচ্চা,খাবার ও প্রয়োজনীয় ওষুধের দাম প্রচুর তাই বর্তমান দামে ডিম ও ব্রয়লার বিক্রি করে কোন খামারিই সন্তুষ্ট নয়। কেননা লোকসান দিয়ে ব্যবসা করে কখনও সন্তুষ্ট থাকা যায়না। গত বছরও করোনায় অনেক টাকা লোকসান গুনেছি এ বছরও গুনছি। মুরগির ফার্মের ব্যবসা আর করা যাবেনা বলেও তিনি হতাশা ব্যক্ত করেন।

সংবাদটি ▼ শেয়ার করুন

👍ফেসবুকে আলোকিত শীতলক্ষ্যা

সোনারগাঁয়ে পাইকারী কমেছে ব্রয়লার মুরগির দাম; হতাশ প্রান্তিক খামারিরা!

০৩:৫২:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ জুলাই ২০২১

মাজহারুল রাসেল (আলোকিত শীতলক্ষ্যা) : সোনারগাঁ উপজেলায় পাইকারী পর্যায়ে ব্রয়লার মুরগির দামে সন্তুষ্ট নয় প্রান্তিক খামারিরা। বর্তমান পরিস্থিতিতে ব্রয়লার মুরগির উৎপাদনে যে পরিমাণ খরচ হচ্ছে সেই খরচও উঠছেনা। খামারি পর্যায়ে উপজেলায় প্রতি ১ কেজি ওজনের ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে গড়ে ১০০ টাকায়। যার ফলে প্রতিনিয়ত লোকসানে হতাশ হয়ে পড়ছেন খামারিরা।

উপজেলার পোল্ট্রি শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রান্তিক খামারিদের তথ্যমতে, একটি ডিমের উৎপাদন ব্যয় প্রায় ৬ টাকার অধিক। এছাড়াও এক কেজি ওজনের একটি ব্রয়লার মুরগির উৎপাদন ব্যয় হয় ১১৫-১২০ টাকার মধ্যে। কিন্তু বর্তমানে খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে বস্তা প্রতি প্রায় ২৫০ টাকা। পাশাপাশি বাচ্চার দাম বৃদ্ধি সহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক ব্যয় যোগ হওয়ায় এক কেজি ওজনের একটি ব্রয়লারের উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে। সেক্ষেত্রে ১২০ টাকার নিচে কোনাভবেই বিক্রি করা সম্ভব নয়বলে জানিয়েছেন খামারিরা।

খামারিরা জানিয়েছেন যে হারে খাদ্য ও বাচ্চার দাম বেড়েছে সেই তুলনায় বাজারে ডিম ও মুরগির দাম পাওয়া যাচ্ছেনা। যার ফলে প্রতিদিনই লোকসান গুনতে হচ্ছে। এতে করে খামার চালিয়ে যাওয়া কষ্টসাধ্য। এসময় অবিলম্বে খাদ্য ও বাচ্চার দাম কমানোর দাবিও জানান খামারিরা।

পৌরসভার ব্রয়লার খামারি মাসুদ বলেন, বর্তমানে শেডে মুরগি রেডি হচ্ছে ১৬০০ পিস। প্রতিটি বাচ্চা কেনা আছে ৪২ টাকা দরে। এছাড়াও খাদ্যের দাম বাড়তি। বর্তমানে পাইকারী বিক্রি হচ্ছে ১০০-১১০ টাকা। ২২-২৪ দিন পর্যন্ত মুরগি পালনে খরচ হবে গড়ে ১২০ টাকা। ১০০-১১০ টাকায় মুরগি বিক্রি করলে লাভ হবে নাকি লোকসান হবে হিসাব করুন এমন একটি প্রশ্ন ছুড়ে পালটা জবাব চান তিনি।

বারদী ইউনিয়নের খামারি সেলিম বলেন, বাচ্চার দাম ১০-১৫ টাকা হওয়া উচিৎ। তাহলে ব্রয়লার মুরগি পালন করে বর্তমান দামে বিক্রি করলে কিছু লাভ করা সম্ভব হবে। তাছাড়া ফার্ম করে লাভ তো দূরে থাক চালানও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা বলে হতাশা প্রকাশ করেন।

সোনারগাঁও উপজেলা পোল্ট্রি ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জহিরুল ইসলাম খোকন বলেন, বর্তমান বাজারে মুরগির বাচ্চা,খাবার ও প্রয়োজনীয় ওষুধের দাম প্রচুর তাই বর্তমান দামে ডিম ও ব্রয়লার বিক্রি করে কোন খামারিই সন্তুষ্ট নয়। কেননা লোকসান দিয়ে ব্যবসা করে কখনও সন্তুষ্ট থাকা যায়না। গত বছরও করোনায় অনেক টাকা লোকসান গুনেছি এ বছরও গুনছি। মুরগির ফার্মের ব্যবসা আর করা যাবেনা বলেও তিনি হতাশা ব্যক্ত করেন।

সংবাদটি ▼ শেয়ার করুন