০৩:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

কড়া নিরাপত্তায় আদালতে জাকির খান; দুই জনের সাক্ষ্যগ্রহণ

অনলাইন-সংস্করণ
  • ১১:৫৩:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪
  • / ৪৭৪
সংবাদটি-শেয়ার-করুন

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : কড়া নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে আলোচিত ব্যবসায়ী সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলার আসামি জাকির খানকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। সোমবার (২৪ জুন) দুপুর দেড়টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (প্রথম আদালত) উম্মে সারবান তাহুরার আদালতে তাকে হাজির করা হয়। এদিন আদালতে দুই জন সাক্ষী তাদের সাক্ষ্য প্রদান করেন।

সাক্ষীরা হলেন, মামলার ৭ নম্বর সাক্ষী নজরুল ইসলাম ও ৮ নম্বর সাক্ষী সাব্বির আলম খন্দকারের বিয়াই শফীক খন্দকার। এ সময় আসামি পক্ষের আইনজীবীরা সাক্ষীদের প্রায় ঘন্টা খানেক সময় ধরে জেরা করেন। আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে পুনরায় নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে আসামি জাকির খানকে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। এসময় জাকির খানের কর্মীসমর্থকরা ভীড় জমালে এবং জাকির খানের মুক্তির দাবিতে স্লোগান দিলে পুলিশ তাদের থামিয়ে দেন।

আসামি পক্ষের আইনজীবী রবিউল হোসেন বলেন, আজ সাব্বির হত্যা মামলায় দুই জন সাক্ষী তাদের সাক্ষ্য প্রদান করেছে। তারা হলো একজন সাব্বির আলম খন্দকারের বিয়াই শফীক খন্দকার ও আরেকজন নজরুল ইসলাম। আমরা আশা করছি, খুব শীঘ্রই আমাদের ক্লায়েন্ট বেকসুর খালাস পাবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আসামী পক্ষের আইনজীবী আরও বলেন, এ মামলার পরবর্তি তারিখ ৩রা জুলাই । সেদিন আরও অনেক সাক্ষী আসবে, আমরা তাদেরও জেরা করবো।

একই বিষয়ে জানতে চাইলে আসামী পক্ষের সহকারি আইনজীবী রাজীব মন্ডল বলেন, আজ সাব্বির হত্যা মামলার ৭ নম্বর সাক্ষী নজরুল ইসলাম ও ৮ নম্বর সাক্ষী সাব্বির আলম খন্দকারের বিয়াই শফীক খন্দকার আদালতে সাক্ষী দিয়েছেন।

এর আগে জাকির খানকে আদালতে হাজির করাকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নেয় হয় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এসময় পুরো আদালতপাড়া থেকে বহিরাগতদের বাহির করে দেয়া হয়। প্রয়োজন ছাড়া আদালতপাড়ায় প্রবেশও করতে দেয়া হয়নি অনেককে। ফলে আদালতপাড়া অনেকটা ফাঁকা হয়ে যায়। পরে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর কঠোর প্রহরায় জাকির খানকে আদালতে হাজির করা হয়।

প্রসঙ্গত, ২০০৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারী আততায়ীদের গুলিতে নিহত হন ব্যবসায়ী নেতা সাব্বির আলম খন্দকার। এ হত্যাকান্ডের পর তার বড় ভাই তৈমূর আলম বাদি হয়ে ১৭ জনকে আসামী করে ফতল্লা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর মোট ৯ জন তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিবর্তন করা হয়। পরবর্তিতে মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) স্থানান্তর করা হয়।

সিআইডির এএসপি মসিহউদ্দিন দশম তদন্তকারী কর্মকর্তা দীর্ঘ প্রায় ৩৪ মাস তদন্ত শেষে তিনি ২০০৬ সালের ৮ জানুয়ারী আদালতে ৮ জনকে আসামী করে চার্জশীট দাখিল করেন। এতে মামলা থেকে গিয়াসউদ্দিন, তার শ্যালক জুয়েল, শাহীনকে অব্যাহতি দিয়ে সাবেক ছাত্রদল সভাপতি জাকির খান, তার দুই ভাই জিকু খান, মামুন খানসহ মোট ৮ জনকে আসামী উল্লেখ করা হয়।

মামলার প্রধান আসামী গিয়াস উদ্দিনকে মামলা থেকে বাদ দেয়ায় মামলার বাদি তৈমূর আলম খন্দকার সিআইডির দেয়া চার্জশীটের বিরুদ্ধে ২০০৬ সালের ২৪ জানুয়ারী আদালতে নারাজি পিটিশন দাখিল করেন।

নারাজি পিটিশনে তৈমুর আলম বলেন, গিয়াসউদ্দিনই সাব্বির আলম হত্যাকান্ডের মূল নায়ক। গিয়াসউদ্দিন ও তার সহযোগীদের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা একটি গোজাঁমিলের চার্জশীট দাখিল করেছেন। পরবর্তীতে আদালত মামলাটি পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দেন।


সংবাদটি-শেয়ার-করুন

আমাদের সাথে সংযুক্ত থাকুন

কড়া নিরাপত্তায় আদালতে জাকির খান; দুই জনের সাক্ষ্যগ্রহণ

১১:৫৩:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪
সংবাদটি-শেয়ার-করুন

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : কড়া নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে আলোচিত ব্যবসায়ী সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলার আসামি জাকির খানকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। সোমবার (২৪ জুন) দুপুর দেড়টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (প্রথম আদালত) উম্মে সারবান তাহুরার আদালতে তাকে হাজির করা হয়। এদিন আদালতে দুই জন সাক্ষী তাদের সাক্ষ্য প্রদান করেন।

সাক্ষীরা হলেন, মামলার ৭ নম্বর সাক্ষী নজরুল ইসলাম ও ৮ নম্বর সাক্ষী সাব্বির আলম খন্দকারের বিয়াই শফীক খন্দকার। এ সময় আসামি পক্ষের আইনজীবীরা সাক্ষীদের প্রায় ঘন্টা খানেক সময় ধরে জেরা করেন। আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে পুনরায় নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে আসামি জাকির খানকে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। এসময় জাকির খানের কর্মীসমর্থকরা ভীড় জমালে এবং জাকির খানের মুক্তির দাবিতে স্লোগান দিলে পুলিশ তাদের থামিয়ে দেন।

আসামি পক্ষের আইনজীবী রবিউল হোসেন বলেন, আজ সাব্বির হত্যা মামলায় দুই জন সাক্ষী তাদের সাক্ষ্য প্রদান করেছে। তারা হলো একজন সাব্বির আলম খন্দকারের বিয়াই শফীক খন্দকার ও আরেকজন নজরুল ইসলাম। আমরা আশা করছি, খুব শীঘ্রই আমাদের ক্লায়েন্ট বেকসুর খালাস পাবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আসামী পক্ষের আইনজীবী আরও বলেন, এ মামলার পরবর্তি তারিখ ৩রা জুলাই । সেদিন আরও অনেক সাক্ষী আসবে, আমরা তাদেরও জেরা করবো।

একই বিষয়ে জানতে চাইলে আসামী পক্ষের সহকারি আইনজীবী রাজীব মন্ডল বলেন, আজ সাব্বির হত্যা মামলার ৭ নম্বর সাক্ষী নজরুল ইসলাম ও ৮ নম্বর সাক্ষী সাব্বির আলম খন্দকারের বিয়াই শফীক খন্দকার আদালতে সাক্ষী দিয়েছেন।

এর আগে জাকির খানকে আদালতে হাজির করাকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নেয় হয় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এসময় পুরো আদালতপাড়া থেকে বহিরাগতদের বাহির করে দেয়া হয়। প্রয়োজন ছাড়া আদালতপাড়ায় প্রবেশও করতে দেয়া হয়নি অনেককে। ফলে আদালতপাড়া অনেকটা ফাঁকা হয়ে যায়। পরে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর কঠোর প্রহরায় জাকির খানকে আদালতে হাজির করা হয়।

প্রসঙ্গত, ২০০৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারী আততায়ীদের গুলিতে নিহত হন ব্যবসায়ী নেতা সাব্বির আলম খন্দকার। এ হত্যাকান্ডের পর তার বড় ভাই তৈমূর আলম বাদি হয়ে ১৭ জনকে আসামী করে ফতল্লা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর মোট ৯ জন তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিবর্তন করা হয়। পরবর্তিতে মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) স্থানান্তর করা হয়।

সিআইডির এএসপি মসিহউদ্দিন দশম তদন্তকারী কর্মকর্তা দীর্ঘ প্রায় ৩৪ মাস তদন্ত শেষে তিনি ২০০৬ সালের ৮ জানুয়ারী আদালতে ৮ জনকে আসামী করে চার্জশীট দাখিল করেন। এতে মামলা থেকে গিয়াসউদ্দিন, তার শ্যালক জুয়েল, শাহীনকে অব্যাহতি দিয়ে সাবেক ছাত্রদল সভাপতি জাকির খান, তার দুই ভাই জিকু খান, মামুন খানসহ মোট ৮ জনকে আসামী উল্লেখ করা হয়।

মামলার প্রধান আসামী গিয়াস উদ্দিনকে মামলা থেকে বাদ দেয়ায় মামলার বাদি তৈমূর আলম খন্দকার সিআইডির দেয়া চার্জশীটের বিরুদ্ধে ২০০৬ সালের ২৪ জানুয়ারী আদালতে নারাজি পিটিশন দাখিল করেন।

নারাজি পিটিশনে তৈমুর আলম বলেন, গিয়াসউদ্দিনই সাব্বির আলম হত্যাকান্ডের মূল নায়ক। গিয়াসউদ্দিন ও তার সহযোগীদের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা একটি গোজাঁমিলের চার্জশীট দাখিল করেছেন। পরবর্তীতে আদালত মামলাটি পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দেন।


সংবাদটি-শেয়ার-করুন