১১:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বাড়ছে নিত্যপণ্যের মূল্য পাইকারি ও খুচরা বাজারে

  • ১০:০৭:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ মার্চ ২০২১
  • / ৯১২

আলোকিত শীতলক্ষ্যা রিপোর্ট : হঠাৎ করে নারায়ণগঞ্জের বাজারগুলোতে নিত্যপণ্যের দাম লাগাম ছাড়া। এ নিয়ে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোতে শুরু হয়েছে ‘বোবা কান্না’। বিশেষ করে লাফিয়ে বেড়ে চলা দ্রব্যমূল্যের কারণে ক্ষোভে ফুঁসছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। বর্তমান বাজারে পেয়াজের দাম স্থিতিশীল থাকলেও চাউল-ভোজ্য তেলের দাম বেড়ে চলেছে। তবে ডাল, আলু, আটা, ময়দা, চিনিসহ অন্যান্য নিত্য পণ্যের দামও বেড়েছে।

এদিকে হুহু করে বাড়তে শুরু করেছে মাছ, মাংস ও বয়লার মুরগীর দাম। যার কারনে নাভিশ্বাস হয়ে উঠেছে নিম্ন আয়ের মানুষ। ইতি মধ্যেই শীত গেলেও শীতের শাকসবজির দাম হাতের নাগালেই রয়েছে। বেশীর ভাগ সবজি পাওয়া যাচ্ছে ২৫-৩০ টাকায়।

তবে কিছু কিছু নতুন সবজি বাজারে উঠেছে তার দাম কিছুটা বাড়তি। ঢেড়স, করলা, পোটলের দাম ৬০-৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। সোমবার নগরীর দিগুবাবুর বাজারে ঘুরে দেখা গেছে চাউল-তেলের দাম নিয়ন্ত্রনের বাহিরে। ওই বাজার গুলোতে প্রতি কেজি চিকন চাউলের দাম ৬৫-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে কাটারি চাউল কেজি ৬২ টাকা। মিনিকেট চাউল প্রতি কেজি ৫৮ টাকা নাজির শাইল প্রতি কেজি ৬৫ টাকা। মাঝারি জাতের চাউল প্রতি কেজি ৫৪ থেকে ৫৫ টাকা। তবে মোটা চাউলের দাম ৪৮-৫০ টাকায় স্থিতিশীল রয়েছে। গত এক মাসে গুঁড়া দুধের দাম কেজিতে বৃদ্ধি পেয়েছে ২৮-৩০ টাকা। শিশু খাদ্যের মূল্যও একইভাবে বেড়ে চলেছে দিনের পর দিন।

এদিকে প্যাকেটজাত ও খোলা ভোজ্য তেলের দাম বেড়েছে। খোলা সয়াবিন তেল প্রতি কেজি ১৩০ টাকা ও পাম সুপার ১২৫ টাকা ধরে বিক্রি করতে দেখাযায়।

খুচরা বাজারে মোটা দানা মসুর ডাউল ৭০-৮০ টাকা। খোলা আটা প্রতি কেজি ৩৩ টাকা, প্যাকেটজাত আটা ৩৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া ও আদা ৬০-৭০ টাকা, রসুন ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি করছে বিক্রেতারা। তবে সিম, টমেটো, বেগুন, লাউ হাতের নাগালে রয়েছে। এদিকে কাচা মরিচের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। গাজর ২০ টাকা, বেগুন ২০-২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

দিগুবাবুর বাজারের সবজি ব্যবসায়ীরা জানান, নতুন সবজির দাম চড়া থাকলেও বেশীর ভাগ সবজির দাম হাতের নাগালে রয়েছে। তবে চাউল-তেলের দাম কমছেই না।

এদিকে একমাস পর রমজান তাই নিত্যপন্যের দাম হাতের নাগালে না আসলে নিম্ন আয়ের মানুষের টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়বে। দামের এই লাগাম এখনই টেনে ধরা না হলে আসছে রমজান মাস সীমিত আয়ের মানুষ পড়বেন মহা সংকটে।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ব্যাপারে আমরা জেনেছি এবং ইতোমধ্যে এ ব্যাপারে জরুরি সভা হয়েছে। সরকার নির্ধারতি দ্রব্যমূল্য নিশ্চিত করতে জেলার পাইকারি ও খুচরা বাজারে চলতি সপ্তাহেই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।

সংবাদটি ▼ শেয়ার করুন

👍ফেসবুকে আলোকিত শীতলক্ষ্যা

বাড়ছে নিত্যপণ্যের মূল্য পাইকারি ও খুচরা বাজারে

১০:০৭:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ মার্চ ২০২১

আলোকিত শীতলক্ষ্যা রিপোর্ট : হঠাৎ করে নারায়ণগঞ্জের বাজারগুলোতে নিত্যপণ্যের দাম লাগাম ছাড়া। এ নিয়ে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোতে শুরু হয়েছে ‘বোবা কান্না’। বিশেষ করে লাফিয়ে বেড়ে চলা দ্রব্যমূল্যের কারণে ক্ষোভে ফুঁসছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। বর্তমান বাজারে পেয়াজের দাম স্থিতিশীল থাকলেও চাউল-ভোজ্য তেলের দাম বেড়ে চলেছে। তবে ডাল, আলু, আটা, ময়দা, চিনিসহ অন্যান্য নিত্য পণ্যের দামও বেড়েছে।

এদিকে হুহু করে বাড়তে শুরু করেছে মাছ, মাংস ও বয়লার মুরগীর দাম। যার কারনে নাভিশ্বাস হয়ে উঠেছে নিম্ন আয়ের মানুষ। ইতি মধ্যেই শীত গেলেও শীতের শাকসবজির দাম হাতের নাগালেই রয়েছে। বেশীর ভাগ সবজি পাওয়া যাচ্ছে ২৫-৩০ টাকায়।

তবে কিছু কিছু নতুন সবজি বাজারে উঠেছে তার দাম কিছুটা বাড়তি। ঢেড়স, করলা, পোটলের দাম ৬০-৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। সোমবার নগরীর দিগুবাবুর বাজারে ঘুরে দেখা গেছে চাউল-তেলের দাম নিয়ন্ত্রনের বাহিরে। ওই বাজার গুলোতে প্রতি কেজি চিকন চাউলের দাম ৬৫-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে কাটারি চাউল কেজি ৬২ টাকা। মিনিকেট চাউল প্রতি কেজি ৫৮ টাকা নাজির শাইল প্রতি কেজি ৬৫ টাকা। মাঝারি জাতের চাউল প্রতি কেজি ৫৪ থেকে ৫৫ টাকা। তবে মোটা চাউলের দাম ৪৮-৫০ টাকায় স্থিতিশীল রয়েছে। গত এক মাসে গুঁড়া দুধের দাম কেজিতে বৃদ্ধি পেয়েছে ২৮-৩০ টাকা। শিশু খাদ্যের মূল্যও একইভাবে বেড়ে চলেছে দিনের পর দিন।

এদিকে প্যাকেটজাত ও খোলা ভোজ্য তেলের দাম বেড়েছে। খোলা সয়াবিন তেল প্রতি কেজি ১৩০ টাকা ও পাম সুপার ১২৫ টাকা ধরে বিক্রি করতে দেখাযায়।

খুচরা বাজারে মোটা দানা মসুর ডাউল ৭০-৮০ টাকা। খোলা আটা প্রতি কেজি ৩৩ টাকা, প্যাকেটজাত আটা ৩৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া ও আদা ৬০-৭০ টাকা, রসুন ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি করছে বিক্রেতারা। তবে সিম, টমেটো, বেগুন, লাউ হাতের নাগালে রয়েছে। এদিকে কাচা মরিচের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। গাজর ২০ টাকা, বেগুন ২০-২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

দিগুবাবুর বাজারের সবজি ব্যবসায়ীরা জানান, নতুন সবজির দাম চড়া থাকলেও বেশীর ভাগ সবজির দাম হাতের নাগালে রয়েছে। তবে চাউল-তেলের দাম কমছেই না।

এদিকে একমাস পর রমজান তাই নিত্যপন্যের দাম হাতের নাগালে না আসলে নিম্ন আয়ের মানুষের টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়বে। দামের এই লাগাম এখনই টেনে ধরা না হলে আসছে রমজান মাস সীমিত আয়ের মানুষ পড়বেন মহা সংকটে।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ব্যাপারে আমরা জেনেছি এবং ইতোমধ্যে এ ব্যাপারে জরুরি সভা হয়েছে। সরকার নির্ধারতি দ্রব্যমূল্য নিশ্চিত করতে জেলার পাইকারি ও খুচরা বাজারে চলতি সপ্তাহেই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।

সংবাদটি ▼ শেয়ার করুন