০৪:২০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪

বন্দর থেকে অপহরণ চক্রের নারী সদস্যসহ গ্রেপ্তার; অপহৃত উদ্ধার

অনলাইন-সংস্করণ
  • ১১:৪১:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪
  • / ৪৬৪
সংবাদটি-শেয়ার-করুন

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায় চক্রের নারী সদস্যসহ ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১১। এ সময় তাদের কাছ থেকে অপহৃত ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- ইউনুস আলী(৩৪), মো: হাসান(২২), মো: নাজমুল(২৮), জহিরুল ইসলাম(৩২) ও মার্জিয়া বেগম(২৫)।

সোমবার (২১ অক্টোবর) মেজর মো: অনাবিল ইমাম র‌্যাব-১১‘র মিডিয়া অফিসারের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান।

র‌্যাব প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায় এর আগে ২০ অক্টোবর রাতে বিশেষ অভিযানে বন্দর থানার আনন্দনগর বাইতুন নুর জামে মসজিদ এলাকা থেকে অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায় চক্রের নারী সদস্যসহ ৫ জন অপহরণকারীকে আটক এবং তাদের কাছ থেকে অপহৃত ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাব জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে, সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক থানার জিয়াপুর গ্রামের মো: মইনুল করিমের ছোট ছেলে মো: রাহিম(১৮) আনুমানিক দুই মাস আগে কাজের সন্ধানে নারায়ণগঞ্জ আসেন। নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ইউনুস আলী নামের একজনের সঙ্গে পরিচয় হয়। পরিচয়ের পর তারা একত্রে কৃষি কাজে দিনমজুর হিসেবে কাজ শুরু করেন। প্রায় দুই মাস কাজের মজুরির জমা করা টাকাগুলো মো: রাহিম নিজের কাছে রাখলে ইউনুস আলী সেই টাকাগুলো দাবি করেন।

রাহিম টাকা দিতে না চাইলে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে গত ১৫ অক্টোবর রাতে রাহিম তার জমানো টাকাগুলো নিয়ে তার নিজ বাড়িতে চলে যাওয়ার জন্য মদনপুর বাসস্ট্যান্ডে যায়। একই তারিখ রাতে মদনপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে উল্লেখিত অপহরণ চক্রের হোতা ইউনুসসহ আটকরা রাহিমকে অপহরণ করে নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানার আনন্দনগর এলাকায় নিয়ে গিয়ে তার সঙ্গে থাকা ২০ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন নিয়ে যায় এবং মুক্তিপণ হিসেবে আরও ৬০ হাজার টাকা দাবি করে। মুক্তিপণের টাকার জন্য ইউনুস আলী মো: রাহিম এর ব্যবহৃত মোবাইল থেকে তার বড় ভাই নাঈমকে ফোন দিয়ে মুক্তিপণের টাকা নিয়ে নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুরে আসতে বলে।

মুক্তিপণের টাকা দিতে দেরি হওয়ায় রাহিমকে মারধর করে ওই চক্রের সদস্যরা। পরে মুক্তিপণের টাকা দিতে দেরি হওয়ায় উপরে উল্লেখিত অপহরণকারীরা ভিকটিমের ভাইকে ফোনে ভিকটিমকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিতে থাকে। পরবর্তীতে ভিকটিমের বড় ভাই নাঈম সুনামগঞ্জ থেকে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হাজির হয়ে এ সংক্রান্তে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

পরবর্তীতে অপহৃতের বড় ভাই নাঈম তার ছোট ভাইকে উদ্ধারসহ আইনগত সহায়তা প্রাপ্তির জন্য র‌্যাবের কাছে আবেদনসহ সিদ্ধিরগঞ্জ থানার দায়েরকৃত জিডির কপি প্রদান করেন। এরই প্রেক্ষিতে ২০ অক্টোবর রাতে র‌্যাব-১১‘র সিপিএসসি, এর একটি আভিযানিক দল নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানার আনন্দনগর বাইতুন নুর জামে মসজিদ এলাকা থেকে অপহৃত ও অপহরণকারীদের অবস্থান শনাক্ত করে হোতা ইউনুস আলীসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার ও তাদের কাছ থেকে অপহৃত মো: রাহিমকে উদ্ধার করেন।

রাহিমকে উদ্ধারের পর তার বড় ভাই নাঈম বন্দর থানায় হাজির হয়ে নিজে বাদী হয়ে এ ব্যাপারে একটি মামলা করেন।

বাংলাদেশ র‌্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, অপহরণকারী, জঙ্গি দমন, অবৈধ অস্ত্র, মাদক উদ্ধার, চাঞ্চল্যকর হত্যা, বিভিন্ন আলোচিত অপরাধীদের গ্রেফতার ও চাঞ্চল্যকর মামলা তদন্তে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। গোয়েন্দা নজরদারী ও আভিযানিক কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় অপরাধীদের দ্রুততম সময়ে গ্রেফতারের মাধ্যমে র‌্যাব ইতোমধ্যেই জনগণের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে।


সংবাদটি-শেয়ার-করুন

লাইক-দিয়ে-সাথেই-থাকুন

বন্দর থেকে অপহরণ চক্রের নারী সদস্যসহ গ্রেপ্তার; অপহৃত উদ্ধার

১১:৪১:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪
সংবাদটি-শেয়ার-করুন

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায় চক্রের নারী সদস্যসহ ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১১। এ সময় তাদের কাছ থেকে অপহৃত ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- ইউনুস আলী(৩৪), মো: হাসান(২২), মো: নাজমুল(২৮), জহিরুল ইসলাম(৩২) ও মার্জিয়া বেগম(২৫)।

সোমবার (২১ অক্টোবর) মেজর মো: অনাবিল ইমাম র‌্যাব-১১‘র মিডিয়া অফিসারের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানান।

র‌্যাব প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায় এর আগে ২০ অক্টোবর রাতে বিশেষ অভিযানে বন্দর থানার আনন্দনগর বাইতুন নুর জামে মসজিদ এলাকা থেকে অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায় চক্রের নারী সদস্যসহ ৫ জন অপহরণকারীকে আটক এবং তাদের কাছ থেকে অপহৃত ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাব জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায় যে, সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক থানার জিয়াপুর গ্রামের মো: মইনুল করিমের ছোট ছেলে মো: রাহিম(১৮) আনুমানিক দুই মাস আগে কাজের সন্ধানে নারায়ণগঞ্জ আসেন। নারায়ণগঞ্জের বন্দরে ইউনুস আলী নামের একজনের সঙ্গে পরিচয় হয়। পরিচয়ের পর তারা একত্রে কৃষি কাজে দিনমজুর হিসেবে কাজ শুরু করেন। প্রায় দুই মাস কাজের মজুরির জমা করা টাকাগুলো মো: রাহিম নিজের কাছে রাখলে ইউনুস আলী সেই টাকাগুলো দাবি করেন।

রাহিম টাকা দিতে না চাইলে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে গত ১৫ অক্টোবর রাতে রাহিম তার জমানো টাকাগুলো নিয়ে তার নিজ বাড়িতে চলে যাওয়ার জন্য মদনপুর বাসস্ট্যান্ডে যায়। একই তারিখ রাতে মদনপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে উল্লেখিত অপহরণ চক্রের হোতা ইউনুসসহ আটকরা রাহিমকে অপহরণ করে নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানার আনন্দনগর এলাকায় নিয়ে গিয়ে তার সঙ্গে থাকা ২০ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন নিয়ে যায় এবং মুক্তিপণ হিসেবে আরও ৬০ হাজার টাকা দাবি করে। মুক্তিপণের টাকার জন্য ইউনুস আলী মো: রাহিম এর ব্যবহৃত মোবাইল থেকে তার বড় ভাই নাঈমকে ফোন দিয়ে মুক্তিপণের টাকা নিয়ে নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুরে আসতে বলে।

মুক্তিপণের টাকা দিতে দেরি হওয়ায় রাহিমকে মারধর করে ওই চক্রের সদস্যরা। পরে মুক্তিপণের টাকা দিতে দেরি হওয়ায় উপরে উল্লেখিত অপহরণকারীরা ভিকটিমের ভাইকে ফোনে ভিকটিমকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিতে থাকে। পরবর্তীতে ভিকটিমের বড় ভাই নাঈম সুনামগঞ্জ থেকে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হাজির হয়ে এ সংক্রান্তে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

পরবর্তীতে অপহৃতের বড় ভাই নাঈম তার ছোট ভাইকে উদ্ধারসহ আইনগত সহায়তা প্রাপ্তির জন্য র‌্যাবের কাছে আবেদনসহ সিদ্ধিরগঞ্জ থানার দায়েরকৃত জিডির কপি প্রদান করেন। এরই প্রেক্ষিতে ২০ অক্টোবর রাতে র‌্যাব-১১‘র সিপিএসসি, এর একটি আভিযানিক দল নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানার আনন্দনগর বাইতুন নুর জামে মসজিদ এলাকা থেকে অপহৃত ও অপহরণকারীদের অবস্থান শনাক্ত করে হোতা ইউনুস আলীসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার ও তাদের কাছ থেকে অপহৃত মো: রাহিমকে উদ্ধার করেন।

রাহিমকে উদ্ধারের পর তার বড় ভাই নাঈম বন্দর থানায় হাজির হয়ে নিজে বাদী হয়ে এ ব্যাপারে একটি মামলা করেন।

বাংলাদেশ র‌্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, অপহরণকারী, জঙ্গি দমন, অবৈধ অস্ত্র, মাদক উদ্ধার, চাঞ্চল্যকর হত্যা, বিভিন্ন আলোচিত অপরাধীদের গ্রেফতার ও চাঞ্চল্যকর মামলা তদন্তে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। গোয়েন্দা নজরদারী ও আভিযানিক কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় অপরাধীদের দ্রুততম সময়ে গ্রেফতারের মাধ্যমে র‌্যাব ইতোমধ্যেই জনগণের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে।


সংবাদটি-শেয়ার-করুন