০১:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বন্ধুদের নিয়ে প্রেমিকাকে গণধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার ২

  • ১০:৫৭:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জুন ২০২৪
  • / ৪১৬

ফতুল্লা প্রতিনিধি ; নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লায় বন্ধুদের নিয়ে প্রেমিকা(১৯)কে হাত-পা বেধে গণধর্ষণের ঘটনায় শিবলু সাহা(২৫) ও সুমনকে(২৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২০ জুন) দিবাগত রাতে ফতুল্লার পঞ্চবটি গুলশান রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে অধরা রয়ে গেছে মুলহোতা আবু হাসান ও শাকিল।

পুলিশ ও ঘটনার সূত্রে জানা গেছে, ফতুল্লার মুসলিমনগর নয়াবাজার সাত ভাই মার্কেট সংলগ্ন এলাকার ইউনুস মিয়ার ছেলে আবু হাসান(২৯) এর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে একই এলাকায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বাসবাসকারী এক তরুণীর। সে বিসিক শিল্পনগরীর একটি গার্মেন্টে চাকরী করে। আবু হাসান আর গার্মেন্ট শ্রমিক তরুণী প্রেমের সম্পর্ক অনেকদিন গড়ায়। যার কারনে তরুণী আবু হাসানকে বিয়ের কথা বলে। কিন্তু আবু হাসান বিয়ে করতে পারবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়।

এরপর মেয়েটি বিয়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করে। যার কারনে পূর্ব-পরিকল্পিত ভাবে চলতি বছরের ৩০ মার্চ রাতে তরুণীকে কেনাকাটা করে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে পঞ্চবটি গুলশান রোড এলাকার বিকাশ বাবুর ছেলে শিবলু, একই এলাকার শাকিল ও সুমন মিলে আবু হাসানের কথা বলে তরুণীকে ডেকে নিয়ে চাষাড়া যায়।

পরে তরুণীকে সিএনজি দিয়ে ঘুড়িয়ে গভীর রাতে শিবলু সাহার পূরনো বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে সেখানে নিয়ে তরুণীর হাত পা এবং মুখ বেধে একজন একজন করে সারা রাত পালাক্রমে তরুণীকে ধর্ষণ করে। তারপর সারাদিন ধর্ষণের পর রাত ৮টার পর তরুণীকে হুমকি দিয়ে ছেড়ে দেয়। এ ঘটনাটি লোকলজ্জার ভয়ে মেয়েটি ঘটনাটি গোপন করে রাখে।

এদিকে এ ঘটনার কয়েকদিন পর ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে রাখা হয়েছে এ কথা বলে তরুণীকে ব্লাকমেইল করতে থাকে। ধারণকৃত ভিডিওটি পরিবারের লোকজনসহ ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে মোটা অংকের টাকা দাবি করে। লোকলজ্জার ভয়ে বেশ কিছু টাকা দেয়। গত কয়েকদিন ধরে ফের ব্লাকমেইল করলে আইনের আশ্রয় নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ওই তরুণী। পরিবারের কাউকে না জানিয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করে। পরে জড়িত শিবলু সাহা ও সুমন নামে ২ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নুরে আযম মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গার্মেন্টস কর্মী অভিযোগ দায়ের করার পর পরই অভিযান চালিয়ে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঘটনার সাথে আরও যারা জড়িত রয়েছে খুব শিগগিরই তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হবে।

সংবাদটি ▼ শেয়ার করুন

👍ফেসবুকে আলোকিত শীতলক্ষ্যা

বন্ধুদের নিয়ে প্রেমিকাকে গণধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার ২

১০:৫৭:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জুন ২০২৪

ফতুল্লা প্রতিনিধি ; নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লায় বন্ধুদের নিয়ে প্রেমিকা(১৯)কে হাত-পা বেধে গণধর্ষণের ঘটনায় শিবলু সাহা(২৫) ও সুমনকে(২৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২০ জুন) দিবাগত রাতে ফতুল্লার পঞ্চবটি গুলশান রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে অধরা রয়ে গেছে মুলহোতা আবু হাসান ও শাকিল।

পুলিশ ও ঘটনার সূত্রে জানা গেছে, ফতুল্লার মুসলিমনগর নয়াবাজার সাত ভাই মার্কেট সংলগ্ন এলাকার ইউনুস মিয়ার ছেলে আবু হাসান(২৯) এর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে একই এলাকায় ভাড়াটিয়া হিসেবে বাসবাসকারী এক তরুণীর। সে বিসিক শিল্পনগরীর একটি গার্মেন্টে চাকরী করে। আবু হাসান আর গার্মেন্ট শ্রমিক তরুণী প্রেমের সম্পর্ক অনেকদিন গড়ায়। যার কারনে তরুণী আবু হাসানকে বিয়ের কথা বলে। কিন্তু আবু হাসান বিয়ে করতে পারবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়।

এরপর মেয়েটি বিয়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করে। যার কারনে পূর্ব-পরিকল্পিত ভাবে চলতি বছরের ৩০ মার্চ রাতে তরুণীকে কেনাকাটা করে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে পঞ্চবটি গুলশান রোড এলাকার বিকাশ বাবুর ছেলে শিবলু, একই এলাকার শাকিল ও সুমন মিলে আবু হাসানের কথা বলে তরুণীকে ডেকে নিয়ে চাষাড়া যায়।

পরে তরুণীকে সিএনজি দিয়ে ঘুড়িয়ে গভীর রাতে শিবলু সাহার পূরনো বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে সেখানে নিয়ে তরুণীর হাত পা এবং মুখ বেধে একজন একজন করে সারা রাত পালাক্রমে তরুণীকে ধর্ষণ করে। তারপর সারাদিন ধর্ষণের পর রাত ৮টার পর তরুণীকে হুমকি দিয়ে ছেড়ে দেয়। এ ঘটনাটি লোকলজ্জার ভয়ে মেয়েটি ঘটনাটি গোপন করে রাখে।

এদিকে এ ঘটনার কয়েকদিন পর ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে রাখা হয়েছে এ কথা বলে তরুণীকে ব্লাকমেইল করতে থাকে। ধারণকৃত ভিডিওটি পরিবারের লোকজনসহ ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে মোটা অংকের টাকা দাবি করে। লোকলজ্জার ভয়ে বেশ কিছু টাকা দেয়। গত কয়েকদিন ধরে ফের ব্লাকমেইল করলে আইনের আশ্রয় নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ওই তরুণী। পরিবারের কাউকে না জানিয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করে। পরে জড়িত শিবলু সাহা ও সুমন নামে ২ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নুরে আযম মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গার্মেন্টস কর্মী অভিযোগ দায়ের করার পর পরই অভিযান চালিয়ে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঘটনার সাথে আরও যারা জড়িত রয়েছে খুব শিগগিরই তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হবে।

সংবাদটি ▼ শেয়ার করুন