১১:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

দেশবাসীকে ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা শিব্বির আহমেদ

  • ০৮:৪২:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ জুলাই ২০২১
  • / ৬৩৯

স্টাফ রিপোর্টারঃ ঈদ মোবারক। ঈদ মানে আনন্দ। ঈদ মানে খুশী। কিন্তু বর্তমানে বিশ্বজুড়ে মহামারি করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে মানুষের মৃত্যুর মিছিল চলছে। বাংলাদেশেও এ মৃত্যুর ধারাবাহিকতা অব্যাহত রয়েছে।করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একে.এম শামীম ওসমান ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সংগ্রামী সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল এর পক্ষ থেকে সমগ্র দেশবাসী সহ নারায়ণগঞ্জের সকল জনগনকে পবিত্র ঈদুল আযহা’র শুভেচ্ছা জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ শিব্বির আহমেদ, তিনি সকলকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে ঈদ পালনের আহবান জানান এবং দেশবাসী সকলের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন।

এক শুভেচ্ছাবার্তায় তিনি বলেন- ঈদ আনন্দ নিয়ে এসেছে। অন্যান্য উৎসব থেকে ঈদের পার্থক্য হল- সবাই এর অংশীদার। সবার মাঝে নিজেকে বিলিয়ে দেয়ার মধ্যে রয়েছে অপার আনন্দ। ঈদের দিন ধনী-গরিব নির্বিশেষে সবাই এক কাতারে শামিল হয়ে মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে। অপরের দুঃখ-কষ্ট বুঝতে সচেষ্ট হই। ব্যক্তিগত, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে ত্যাগের মহিমা দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারলে তা হবে সবার জন্য কল্যাণকর।সচ্ছলরা সঠিক নিয়মে যাকাত-ফেতরা বন্টণ করলে দরিদ্ররাও ঈদের খুশির ভাগ পেতে পারে। অনেকে খাওয়া-দাওয়া ও কেনাকাটার পেছনে অঢেল অর্থ ব্যয় করেন। দরিদ্র স্বজন বা প্রতিবেশীর প্রতি অনেকে কোনো দায়িত্ব পালন করেন না। ব্যক্তিগত ভোগ-বিলাসে ব্যস্ত থাকেন। এটি ইসলামের বিধানের পরিপন্থী। ঈদ উদযাপনের সময় আমাদের এ কথাটিও মনে রাখতে হবে।ঈদ আসে সাম্যের দাওয়াত নিয়ে। অনেকে ধর্মের আনুষ্ঠানিকতাকে বড় করে দেখেন,এর মর্ম অনুধাবন করেন না। ইসলাম শান্তি, সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ববোধের ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়। ঈদুল আযহা’র আনন্দ সবাই ভাগাভাগি করে নেবে, এটাই প্রত্যাশা।আমাদের পরিবার-পরিজন বন্ধু-বান্ধব পরিচিতজন অনেকেই আক্রান্ত। আমরা অনেকেই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত আপনজনকে হারিয়েছি। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্থবির হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন ঘরবন্দি থেকে মানুষের জীবন হয়ে উঠেছে দুর্বিসহ। এমনই সময় ঈদ এসেছে আনন্দের বার্তা নিয়ে। তাই জনসমাগম এড়িয়ে সচেতনতার সঙ্গে ঘরে থেকেই ঈদ উদযাপন করতে হবে।

ঈদুল আযহা’র ত্যাগের মহিমান্বিত আহ্বানে শান্তি-সুধায় ভরে উঠুক বিশ্ব সমাজ। দেশপ্রেম আর মানবতাবোধের বহ্নিশিখায় জেগে উঠুক প্রতিটি মানব হৃদয়। আসুন, সমাজের ধনী-গরিব ধর্ম-বর্ণ-গোত্র জাতি-গোষ্ঠী-সম্প্রদায় নির্বিশেষে সবাই পারস্পারিক সহযোগিতা ও সহর্মিমতার মধ্য দিয়ে পবিত্র ঈদুল আযহা’র খুশি ভাগাভাগি করি। পরম করুণাময় আল্লাহ তায়ালার কাছে প্রার্থনা করি- মানুষের জীবন থেকে দূরীভূত হোক সব মহামারি, দুঃখ-জরা, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধির ধারায় প্রবাহিত হোক বিশ্বলোক। অতীতে বাংলাদেশ যেভাবে সকল সংকট উত্তরণের মধ্য দিয়ে এগিয়ে গেছে ঠিক একইভাবে আমরা করোনা মহামারীর এই দূর্যোগের সময় সকল প্রকার স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদুল আযহা’র নামায পড়তে যাবো এবং কোরবানির পশুর বর্জ্য সঠিক স্থানে অপসারণ করি এবং মাক্স নিজে পড়ি ও অপরকে পড়তে উৎসাহিত করে ভয়কে জয় করে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির অভিযাত্রায় নব-উদ্যোমে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করি।

সংবাদটি ▼ শেয়ার করুন

👍ফেসবুকে আলোকিত শীতলক্ষ্যা

দেশবাসীকে ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা শিব্বির আহমেদ

০৮:৪২:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ জুলাই ২০২১

স্টাফ রিপোর্টারঃ ঈদ মোবারক। ঈদ মানে আনন্দ। ঈদ মানে খুশী। কিন্তু বর্তমানে বিশ্বজুড়ে মহামারি করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে মানুষের মৃত্যুর মিছিল চলছে। বাংলাদেশেও এ মৃত্যুর ধারাবাহিকতা অব্যাহত রয়েছে।করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একে.এম শামীম ওসমান ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সংগ্রামী সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল এর পক্ষ থেকে সমগ্র দেশবাসী সহ নারায়ণগঞ্জের সকল জনগনকে পবিত্র ঈদুল আযহা’র শুভেচ্ছা জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ শিব্বির আহমেদ, তিনি সকলকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে ঈদ পালনের আহবান জানান এবং দেশবাসী সকলের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন।

এক শুভেচ্ছাবার্তায় তিনি বলেন- ঈদ আনন্দ নিয়ে এসেছে। অন্যান্য উৎসব থেকে ঈদের পার্থক্য হল- সবাই এর অংশীদার। সবার মাঝে নিজেকে বিলিয়ে দেয়ার মধ্যে রয়েছে অপার আনন্দ। ঈদের দিন ধনী-গরিব নির্বিশেষে সবাই এক কাতারে শামিল হয়ে মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে। অপরের দুঃখ-কষ্ট বুঝতে সচেষ্ট হই। ব্যক্তিগত, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে ত্যাগের মহিমা দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারলে তা হবে সবার জন্য কল্যাণকর।সচ্ছলরা সঠিক নিয়মে যাকাত-ফেতরা বন্টণ করলে দরিদ্ররাও ঈদের খুশির ভাগ পেতে পারে। অনেকে খাওয়া-দাওয়া ও কেনাকাটার পেছনে অঢেল অর্থ ব্যয় করেন। দরিদ্র স্বজন বা প্রতিবেশীর প্রতি অনেকে কোনো দায়িত্ব পালন করেন না। ব্যক্তিগত ভোগ-বিলাসে ব্যস্ত থাকেন। এটি ইসলামের বিধানের পরিপন্থী। ঈদ উদযাপনের সময় আমাদের এ কথাটিও মনে রাখতে হবে।ঈদ আসে সাম্যের দাওয়াত নিয়ে। অনেকে ধর্মের আনুষ্ঠানিকতাকে বড় করে দেখেন,এর মর্ম অনুধাবন করেন না। ইসলাম শান্তি, সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ববোধের ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়। ঈদুল আযহা’র আনন্দ সবাই ভাগাভাগি করে নেবে, এটাই প্রত্যাশা।আমাদের পরিবার-পরিজন বন্ধু-বান্ধব পরিচিতজন অনেকেই আক্রান্ত। আমরা অনেকেই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত আপনজনকে হারিয়েছি। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্থবির হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন ঘরবন্দি থেকে মানুষের জীবন হয়ে উঠেছে দুর্বিসহ। এমনই সময় ঈদ এসেছে আনন্দের বার্তা নিয়ে। তাই জনসমাগম এড়িয়ে সচেতনতার সঙ্গে ঘরে থেকেই ঈদ উদযাপন করতে হবে।

ঈদুল আযহা’র ত্যাগের মহিমান্বিত আহ্বানে শান্তি-সুধায় ভরে উঠুক বিশ্ব সমাজ। দেশপ্রেম আর মানবতাবোধের বহ্নিশিখায় জেগে উঠুক প্রতিটি মানব হৃদয়। আসুন, সমাজের ধনী-গরিব ধর্ম-বর্ণ-গোত্র জাতি-গোষ্ঠী-সম্প্রদায় নির্বিশেষে সবাই পারস্পারিক সহযোগিতা ও সহর্মিমতার মধ্য দিয়ে পবিত্র ঈদুল আযহা’র খুশি ভাগাভাগি করি। পরম করুণাময় আল্লাহ তায়ালার কাছে প্রার্থনা করি- মানুষের জীবন থেকে দূরীভূত হোক সব মহামারি, দুঃখ-জরা, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধির ধারায় প্রবাহিত হোক বিশ্বলোক। অতীতে বাংলাদেশ যেভাবে সকল সংকট উত্তরণের মধ্য দিয়ে এগিয়ে গেছে ঠিক একইভাবে আমরা করোনা মহামারীর এই দূর্যোগের সময় সকল প্রকার স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদুল আযহা’র নামায পড়তে যাবো এবং কোরবানির পশুর বর্জ্য সঠিক স্থানে অপসারণ করি এবং মাক্স নিজে পড়ি ও অপরকে পড়তে উৎসাহিত করে ভয়কে জয় করে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির অভিযাত্রায় নব-উদ্যোমে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করি।

সংবাদটি ▼ শেয়ার করুন