০১:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সিদ্ধিরগঞ্জে শেখ হাসিনা-শামীম ওসমানসহ ৬২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

  • ১১:১৩:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৪
  • / ৬৭৮

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় সিদ্ধিরগঞ্জে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাছ ব্যবসায়ী মো: মিলন নিহতের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানসহ মোট ৬২ জনের নাম উল্লেখ করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে৷

রবিবার (১৮ আগস্ট) রাত ১২টার দিকে নিহত মিলনের স্ত্রী মোসাম্মাৎ শাহনাজ বেগম বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় এ হত্যা মামলা দায়ের করেন।

নিহত মিলন সিদ্ধিরগঞ্জপুল এলাকায় মাছের ব্যবসা করতেন। তার গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর দুমকী থানার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের ঝাটকা গ্রামে। বর্তমানে তারা মিজমিজি পূর্বপাড়া তাহের সাহেবের বাড়ির ভাড়াটিয়।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আমীর খসরু। এ মামলার অন্যান্য আসামিরা হলো- সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, শামীম ওসমানের ছেলে অয়ন ওসমান, ভাতিজা আজমেরী ওসমান, শ্যালক তানভীর আহমেদ টিটু, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন মিয়া. সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের সভাপতি কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি, প্যানেল মেয়র-২ কাউন্সিলর শাহজালাল বাদল, কাউন্সিলর নুর উদ্দিন মিয়া, কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লা, কাউন্সিলর ইফতেখার আলম খোকন, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সাজনু, আওয়ামীলীগ নেতা জাকিরুল আলম হেলাল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ নিজাম, সাবেক কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম মন্ডল, আদমজী আঞ্চলিক শ্রমিক লীগের সভাপতি আব্দুস সামাদ বেপারী ও সাধারণ সম্পাদক মো: কবির হোসেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা তাতী লীগের সভাপতি লিটন আহমেদ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম শফিক, আশরাফ উদ্দিন, পানি আক্তার, মানিক মাস্টার, ভাগিনা মামুন, মাইগ্যা কাদির, আব্দুল হাই মেম্বার, মনিরুল আলম সেন্টু, এ্যাডঃ ওয়াজেদ আলী খোকন, এ্যাডঃ হাসান ফেরদৌস জুয়েল, এ্যাডঃ মহসিন মিয়া, মোঃ জালাল উদ্দিন, হাবিবুল্লাহ হবুল, মোঃ সাদেক আলী, মীর সোহেল, মোঃ হারুনুর রশিদ, মোঃ দেলোয়ার হোসেন, মতিউর রহমান সাগর, আবু বকর সিদ্দিক (আবুল), শরীফ হোসেন, মইন পাইনাদী নতুন মহল্লা, টাইগার ফারুক, সেলিম মজুমদার আদমজী নতুন বাজার, তানজিম কবির সজু কদমতলী, হাবিবুর রহমান হাবু আদমজী, নজরুল ইসলাম ভূমিপল্লি, লোকমান বাঘমারা সানারপাড়, জামাল কদমতলী মধ্যপাড়া, আনোয়ার হোসেন আশিক, টিপু গাজী কদমতলী, গাজী আমির ও ওয়াপদা কলোনীর সহিদ হাসান বিটু সহ মোট ৬২ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে দেড় শতাধিক লোককে।

মামলার এজাহারে বাদী শাহনাজ বেগম উল্লেখ করেন, গত ২১ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে পণ্ড করতে আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনের সমর্থিত নেতা–কর্মীরা একজোট হয়ে আগ্নেয়াস্ত্র, পিস্তল, শটগান, ককটেল, লাঠিসোঁটাসহ নিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করে এবং জনমনে আতঙ্ক তৈরি করেন।

আসামিরা শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের ও আসাদুজ্জামান খান ছাত্র-জনতার উদ্দেশে এলোপাতাড়ি গুলি ও আক্রমণ করার নির্দেশ দেন। আসামিরা রাস্তায় অবস্থানরত ছাত্র-জনতার ওপর ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ভীতির সৃষ্টি করে তাঁদের হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি ও মারধর করেন।

দুপুর ১২টার দিকে বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন। তাঁকে উদ্ধার করে সাইনবোর্ড এলাকায় অবস্থিত প্রো-অ্যাকটিভ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়।

সংবাদটি ▼ শেয়ার করুন

👍ফেসবুকে আলোকিত শীতলক্ষ্যা

সিদ্ধিরগঞ্জে শেখ হাসিনা-শামীম ওসমানসহ ৬২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

১১:১৩:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৪

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় সিদ্ধিরগঞ্জে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাছ ব্যবসায়ী মো: মিলন নিহতের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানসহ মোট ৬২ জনের নাম উল্লেখ করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে৷

রবিবার (১৮ আগস্ট) রাত ১২টার দিকে নিহত মিলনের স্ত্রী মোসাম্মাৎ শাহনাজ বেগম বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় এ হত্যা মামলা দায়ের করেন।

নিহত মিলন সিদ্ধিরগঞ্জপুল এলাকায় মাছের ব্যবসা করতেন। তার গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর দুমকী থানার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের ঝাটকা গ্রামে। বর্তমানে তারা মিজমিজি পূর্বপাড়া তাহের সাহেবের বাড়ির ভাড়াটিয়।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আমীর খসরু। এ মামলার অন্যান্য আসামিরা হলো- সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, শামীম ওসমানের ছেলে অয়ন ওসমান, ভাতিজা আজমেরী ওসমান, শ্যালক তানভীর আহমেদ টিটু, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন মিয়া. সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের সভাপতি কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি, প্যানেল মেয়র-২ কাউন্সিলর শাহজালাল বাদল, কাউন্সিলর নুর উদ্দিন মিয়া, কাউন্সিলর রুহুল আমিন মোল্লা, কাউন্সিলর ইফতেখার আলম খোকন, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সাজনু, আওয়ামীলীগ নেতা জাকিরুল আলম হেলাল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ নিজাম, সাবেক কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম মন্ডল, আদমজী আঞ্চলিক শ্রমিক লীগের সভাপতি আব্দুস সামাদ বেপারী ও সাধারণ সম্পাদক মো: কবির হোসেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা তাতী লীগের সভাপতি লিটন আহমেদ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম শফিক, আশরাফ উদ্দিন, পানি আক্তার, মানিক মাস্টার, ভাগিনা মামুন, মাইগ্যা কাদির, আব্দুল হাই মেম্বার, মনিরুল আলম সেন্টু, এ্যাডঃ ওয়াজেদ আলী খোকন, এ্যাডঃ হাসান ফেরদৌস জুয়েল, এ্যাডঃ মহসিন মিয়া, মোঃ জালাল উদ্দিন, হাবিবুল্লাহ হবুল, মোঃ সাদেক আলী, মীর সোহেল, মোঃ হারুনুর রশিদ, মোঃ দেলোয়ার হোসেন, মতিউর রহমান সাগর, আবু বকর সিদ্দিক (আবুল), শরীফ হোসেন, মইন পাইনাদী নতুন মহল্লা, টাইগার ফারুক, সেলিম মজুমদার আদমজী নতুন বাজার, তানজিম কবির সজু কদমতলী, হাবিবুর রহমান হাবু আদমজী, নজরুল ইসলাম ভূমিপল্লি, লোকমান বাঘমারা সানারপাড়, জামাল কদমতলী মধ্যপাড়া, আনোয়ার হোসেন আশিক, টিপু গাজী কদমতলী, গাজী আমির ও ওয়াপদা কলোনীর সহিদ হাসান বিটু সহ মোট ৬২ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে দেড় শতাধিক লোককে।

মামলার এজাহারে বাদী শাহনাজ বেগম উল্লেখ করেন, গত ২১ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে পণ্ড করতে আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনের সমর্থিত নেতা–কর্মীরা একজোট হয়ে আগ্নেয়াস্ত্র, পিস্তল, শটগান, ককটেল, লাঠিসোঁটাসহ নিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করে এবং জনমনে আতঙ্ক তৈরি করেন।

আসামিরা শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের ও আসাদুজ্জামান খান ছাত্র-জনতার উদ্দেশে এলোপাতাড়ি গুলি ও আক্রমণ করার নির্দেশ দেন। আসামিরা রাস্তায় অবস্থানরত ছাত্র-জনতার ওপর ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ভীতির সৃষ্টি করে তাঁদের হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি ও মারধর করেন।

দুপুর ১২টার দিকে বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন। তাঁকে উদ্ধার করে সাইনবোর্ড এলাকায় অবস্থিত প্রো-অ্যাকটিভ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়।

সংবাদটি ▼ শেয়ার করুন