পুলিশের উপর-হামলা মামলায় খালাস পেলেন-মামুন মাহমুদ
- ১১:২৩:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪
- / ৬৫৫
সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় ২০১৩ সালে পুলিশের দায়ের করা একটি মামলায় খালাস পেয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদসহ বিএনপির ১৪ জন নেতাকর্মী।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল মেজিস্ট্রট বদিউজ্জামান এর আদালত এ রায় দেন। মামলায় মোট আসামি ছিলেন ১৭ জন। এরমধ্যে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির তৎকালীন সহ সভাপতি আলী হোসেন কারাগারে মৃত্যুবরণ করেন। আর অপর দুই আসামি জামিনে মুক্ত হয়ে মামলাটি বিচারাধীন অবস্থায় মারা যান।
আসামি পক্ষের আইনজীবী হিসেবে ছিলেন এড: বোরহান উদ্দিন এবং এড: মোজাম্মেল মল্লিক শিপলু।
জানা যায়, ২০১৩ সালে হরতাল কর্মসূচি পালনের সময় চিটাগাং রোডে মিছিল বের করা হয় তৎকালীন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদের নেতৃত্বে। মিছিলটি চিটাগাং রোড থেকে পুলিশি বাধার মুখে পড়ে। এ সময় পুলিশ নেতাকর্মীদের বেধরক লাঠিপেটা করে অন্তত ২০ জনকে আহত করেছিল।
এরপর মিছিল থেকে অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে গ্রেপ্তার করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় নিয়ে যায়। পরে এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে ভাংচুর ও বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা দায়ের করে। মামলার প্রধান আসামি করা হয় মামুন মাহমুদকে।
ওই মামলায় দীর্ঘদিন কারাভোগের পর জামিনে মুক্ত হয়েছিলেন তিনি। তবে মামলার আরেক আসামি সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির তৎকালীন সহ সভাপতি আলী হোসেন কারাগারেই মৃত্যুবরণ করেছিলেন।
খালাস পাওয়ার পর অধ্যাপক মামুন মাহমুদ মহান সৃষ্টিকর্তা কে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের আমলে শান্তিপূর্ণভাবে আমরা একটা দিনও দলীয় কর্মসূচি পালন করতে পারিনি।
সেদিন সিদ্ধিরগঞ্জে আমরা দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে শান্তিপূর্ণ মিছিলের আয়োজন করেছিলাম। কিন্তু সিদ্ধিরগঞ্জ থানার তৎকালীন অফিসার ইনচার্জ কামরুল ইসলামের নেতৃত্বে প্রকাশ্যে আমাদের মিছিলে গুলি ও লাঠিপেটা করে। এতে অন্তত ২০ নেতাকর্মী আহত হয়েছিলেন।
আর আমাকে নির্মম নির্যাতন করে থানায় নিয়ে গিয়ে মামলার আসামি করা হয়। পুলিশের দায়ের করা সেই মিথ্যে মামলায় আজ খালাস পেয়েছি।