১০:৩৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ফতুল্লায় গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে আগুনে মা ও মেয়ে দগ্ধ

  • ১০:১৫:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ৩৯৯

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় একটি বাড়িতে গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে আগুনে মা ও তার শিশু মেয়ে দগ্ধ হয়েছে। শনিবার রাতে সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার আলামিনবাগ এলাকায় পুলিশ সদস্য সারোয়ার জাহানের বাড়ির ভাড়াটের ঘরে এই দূর্ঘটনা ঘটে।

দগ্ধ মা ও মেয়েকে রাজধানির শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ণ ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তবে মায়ের অবস্থা আশংকাজনক বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন।

প্রতিবেশিরা জানান, রাত দুইটার সময় গ্যাস সরবরাহ হলে বাড়ির কয়েকজন ভাড়াটে গৃহবধূ রান্নার কাজ শুরু করেন। মিশুক চালক মনির হোসেনের স্ত্রী নারগিস একমাত্র সন্তান মরিয়মকে নিয়ে তাদের ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। পাশের ঘরে রান্না করার সময় সেখানকার গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে তার ঘরে আগুন ধরে যায়। আগুনে ঘরের সব আসবাবপত্র পুঁড়ে যায়। এসময় ঘুমন্ত নারগিস ও তার মেয়ে মরিয়ম দগ্ধ হয়। তাদের চিৎকার শুনে আশপাশের ঘরের লোকজন এসে পানি ছিটিয়ে আগুন নেভান। পরে দগ্ধ দুইজনকে রাজধানির শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ণ ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।

এলাকাবাসির ধারণা, পাশের রান্না ঘর থেকে গ্যাস লাইন লিকেজ হয়ে নির্গত গ্যাস মনিরের ঘরে জমে ছিল। সেই গ্যাস থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে থাকতে পারে।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ণ ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. এস এম আইয়ুব হোসেন জানান, আগুনে নার্গিস আক্তারের শরীরের ৭০% শতাংশ ও তার মেয়ে মরিয়মের ৫৫% শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তাদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

সংবাদটি ▼ শেয়ার করুন

👍ফেসবুকে আলোকিত শীতলক্ষ্যা

ফতুল্লায় গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে আগুনে মা ও মেয়ে দগ্ধ

১০:১৫:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২২

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় একটি বাড়িতে গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে আগুনে মা ও তার শিশু মেয়ে দগ্ধ হয়েছে। শনিবার রাতে সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার আলামিনবাগ এলাকায় পুলিশ সদস্য সারোয়ার জাহানের বাড়ির ভাড়াটের ঘরে এই দূর্ঘটনা ঘটে।

দগ্ধ মা ও মেয়েকে রাজধানির শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ণ ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তবে মায়ের অবস্থা আশংকাজনক বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন।

প্রতিবেশিরা জানান, রাত দুইটার সময় গ্যাস সরবরাহ হলে বাড়ির কয়েকজন ভাড়াটে গৃহবধূ রান্নার কাজ শুরু করেন। মিশুক চালক মনির হোসেনের স্ত্রী নারগিস একমাত্র সন্তান মরিয়মকে নিয়ে তাদের ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। পাশের ঘরে রান্না করার সময় সেখানকার গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে তার ঘরে আগুন ধরে যায়। আগুনে ঘরের সব আসবাবপত্র পুঁড়ে যায়। এসময় ঘুমন্ত নারগিস ও তার মেয়ে মরিয়ম দগ্ধ হয়। তাদের চিৎকার শুনে আশপাশের ঘরের লোকজন এসে পানি ছিটিয়ে আগুন নেভান। পরে দগ্ধ দুইজনকে রাজধানির শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ণ ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।

এলাকাবাসির ধারণা, পাশের রান্না ঘর থেকে গ্যাস লাইন লিকেজ হয়ে নির্গত গ্যাস মনিরের ঘরে জমে ছিল। সেই গ্যাস থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে থাকতে পারে।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ণ ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. এস এম আইয়ুব হোসেন জানান, আগুনে নার্গিস আক্তারের শরীরের ৭০% শতাংশ ও তার মেয়ে মরিয়মের ৫৫% শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তাদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

সংবাদটি ▼ শেয়ার করুন