০২:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সারাদেশে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত

  • ০৭:৪০:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জুন ২০২২
  • / ৪৪২

দেশের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় আগামী ১৯ জুন অনুষ্ঠিতব্য সকল শিক্ষা বোর্ডের এসএসসি জেনারেল, এসএসসি ভোকেশনাল এবং দাখিল পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। পরীক্ষার পরিবর্তিত সময়সূচি পরে জানানো হবে।

শুক্রবার (১৭ জুন) বেলা পৌনে ১২টার দিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে। শিক্ষামন্ত্রীর দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে ইতোমধ্যে বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে সিলেট ও সুনামগঞ্জের বেশ কয়েকটি উপজেলা। ক্রমেই এই অবস্থার অবনতি ঘটছে। এমতাবস্থায় রোববার (১৯ জুন) থেকে শুরু হতে যাওয়া এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা বেশ চিন্তিত ছিল শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও সচেতন মহল। বন্যার এই পরিস্থিতিকে জাতীয় দুর্যোগ হিসেবে চিহ্নিত করে সাময়িকভাবে পরীক্ষা স্থগিতের দাবি জানিয়েছিল তারা।

প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বন্যার কারণে ইতোমধ্যে সিলেট জেলায় প্রায় ৩৬৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। এরমধ্যে ২৩০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ১৩৭টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। সিলেট শিক্ষা বোর্ডের অধীনে থাকা চার জেলায় এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী রয়েছে ১ লাখ ১৬ হাজার ৪৭৩ জন। এর মধ্যে বন্যাকবলিত জেলা সিলেটে ৪৩ হাজার ৮৪৪ জন ও সুনামগঞ্জে ২৩ হাজার ৭৫২ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে। ৪ জেলায় ১৪৯টি পরীক্ষাকেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে সিলেটে ৫৯টি ও সুনামগঞ্জে ৩৩টি পরীক্ষাকেন্দ্র আছে।

টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে সিলেট ও সুনামগঞ্জের বেশ কয়েকটি উপজেলা বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। শুক্রবার সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। বানভাসি মানুষকে উদ্ধারে কাজ শুরু করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে কুড়িগ্রামে ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

শুক্রবার সকালে পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিস সূত্রে জানা গেছে, ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানিও বাড়ছে। তিস্তা নদীর পানি কাউনিয়া পয়েন্টে ৩৩ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে ৫ সেন্টিমিটার এবং নুনখাওয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে নদ-নদীর পানি বেড়েছে নেত্রকোণাতেও। ফলে সেখানেও বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

উল্লেখ্য, ১৯ জুন বাংলা ১ম পত্রের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে শুরু হওয়ার কথা ছিল এবারের এসএসসি পরীক্ষা। রুটিন অনুযায়ী তত্ত্বীয় পরীক্ষা চলার ৬ জুলাই পর্যন্ত কথা ছিল।

সংবাদটি ▼ শেয়ার করুন

👍ফেসবুকে আলোকিত শীতলক্ষ্যা

সারাদেশে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত

০৭:৪০:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জুন ২০২২

দেশের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় আগামী ১৯ জুন অনুষ্ঠিতব্য সকল শিক্ষা বোর্ডের এসএসসি জেনারেল, এসএসসি ভোকেশনাল এবং দাখিল পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। পরীক্ষার পরিবর্তিত সময়সূচি পরে জানানো হবে।

শুক্রবার (১৭ জুন) বেলা পৌনে ১২টার দিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে। শিক্ষামন্ত্রীর দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে ইতোমধ্যে বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে সিলেট ও সুনামগঞ্জের বেশ কয়েকটি উপজেলা। ক্রমেই এই অবস্থার অবনতি ঘটছে। এমতাবস্থায় রোববার (১৯ জুন) থেকে শুরু হতে যাওয়া এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা বেশ চিন্তিত ছিল শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও সচেতন মহল। বন্যার এই পরিস্থিতিকে জাতীয় দুর্যোগ হিসেবে চিহ্নিত করে সাময়িকভাবে পরীক্ষা স্থগিতের দাবি জানিয়েছিল তারা।

প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বন্যার কারণে ইতোমধ্যে সিলেট জেলায় প্রায় ৩৬৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। এরমধ্যে ২৩০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ১৩৭টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। সিলেট শিক্ষা বোর্ডের অধীনে থাকা চার জেলায় এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী রয়েছে ১ লাখ ১৬ হাজার ৪৭৩ জন। এর মধ্যে বন্যাকবলিত জেলা সিলেটে ৪৩ হাজার ৮৪৪ জন ও সুনামগঞ্জে ২৩ হাজার ৭৫২ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে। ৪ জেলায় ১৪৯টি পরীক্ষাকেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে সিলেটে ৫৯টি ও সুনামগঞ্জে ৩৩টি পরীক্ষাকেন্দ্র আছে।

টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে সিলেট ও সুনামগঞ্জের বেশ কয়েকটি উপজেলা বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। শুক্রবার সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। বানভাসি মানুষকে উদ্ধারে কাজ শুরু করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে কুড়িগ্রামে ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

শুক্রবার সকালে পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিস সূত্রে জানা গেছে, ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানিও বাড়ছে। তিস্তা নদীর পানি কাউনিয়া পয়েন্টে ৩৩ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে ৫ সেন্টিমিটার এবং নুনখাওয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে নদ-নদীর পানি বেড়েছে নেত্রকোণাতেও। ফলে সেখানেও বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

উল্লেখ্য, ১৯ জুন বাংলা ১ম পত্রের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে শুরু হওয়ার কথা ছিল এবারের এসএসসি পরীক্ষা। রুটিন অনুযায়ী তত্ত্বীয় পরীক্ষা চলার ৬ জুলাই পর্যন্ত কথা ছিল।

সংবাদটি ▼ শেয়ার করুন