০৮:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আমজাদ হোসেনকে ২৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি দেখতে চায় তৃনমূল কর্মীরা

  • ১০:৪৯:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ৪২১

বঙ্গবন্ধু ও চার নেতার গায়েবানা জানাযার আহ্বায়ক

নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড কমিটির সম্মেলনকে কেন্দ্র করে প্রতিটি ওয়ার্ডে নেতাকর্মীদের মধ্যে চলছে উৎসবের আমেজ। তৃনমূল কর্মীদের প্রত্যাশা দলের নিবেদিত প্রান, ত্যাগি ও পরিক্ষীত নেতার হাতে নেতৃত্ব পাবেন।

এরই ধারাবাহিকতায় নাসিক ২৫নং ওয়ার্ডে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বেড়ে ওঠা মানুষদের সমন্বয়ে একটি যুগপযোগী বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও সার্বিক পরিস্থিতির বিবেচনায় ভূমিদস্যু, চাঁদাবাজ ও দুর্নীতিমুক্ত জননেত্রী শেখ হাসিনার সততার আলোয় আলোকিত একটি ওয়ার্ড গড়তে আমজাদ হোসেনকে ২৫নং ওয়ার্ডের সভাপতি হিসেবে দেখতে চায় ওই ওয়ার্ডের সাধারণ মানুষসহ ওই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের তৃনমূলের নেতাকর্মীরা।

তৃনমূল নেতাকর্মীদের মতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখাসহ ২৫নং ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের দূর্গ তৈরী করে দলকে সু-সংগঠিত করতে আমজাদ হোসেনের নেতৃত্বের বিকল্প নেই।

কেননা কিশোর বয়স থেকেই তিনি আওয়ামী লীগের নিবেদিত প্রান, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়ন, দলের উন্নয়ণ কর্মকান্ড বাস্তবায়নসহ বন্যা, করোনার মতো প্রতিটি দূর্যোগ মুহুর্তে সাধারণ মানুষের পাশে থেকে কল্যানকর কাজে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন সহযোগীতার।

আমজাদ হোসেন মেহনতী ও শ্রমজীবি খেটে খাওয়া সাধারণ নিরীহ মানুষের সুখ-দুঃখের সর্বসময়ের সাথী। তিনি দিন-রাত নিজের আরাম-আয়েশকে বিসর্জন দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত কে শক্তিশালী করতে নিরলস দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।

বর্তমান সময়েও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার আমলের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়ে জনগণের দোয়ারে-দোয়ারে গিয়ে দেশের উন্নয়নের জোয়ার জনগণের মাঝে তুলে ধরে দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ রাখতে বলিষ্ট ভুমিকা পালন করছেন। সততা ও যোগ্যতা দিয়ে সাধারণ মানুষের দোয়ারে দোয়ারে গিয়ে আওয়ামী লীগের ঘাঁটি তৈরীর জন্য নিরলশ পরিশ্রম করছেন।

তৃনমুল নেতাকর্মীরা বলছেন আমজাদ হোসেন ২৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হলে ওই ওয়ার্ড দলীয় নেতৃবৃন্দ ফিরে পাবে প্রাণের জোয়ার। কারণ তিনি একজন ন্যায় পরায়ণ ব্যক্তিত্ব। জনস্বার্থে সকল প্রকার উন্নয়ন সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে তিনি সকলের মাঝে হয়ে উঠেছেন এক জনপ্রিয় জননন্দিত নেতা।

সিটি করপোরেশন গঠনের আগে ২৫ নং ওয়ার্ডটি ছিলো নবীগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অন্তভুক্ত। আমাজদ হোসেন ছিলেন ওই কমিটির যুগ্ম সম্পাদক। সিটি করপোরেশন গঠনের এক যুগ পার হলেও কোনো কমিটি গঠন হয়নি। কমিটি না হওয়ায় দলের অন্য নেতাকমূরা সড়ে পড়লেও দলের হাল ছাড়েননি তিনি। সেই থেকে অদ্যবদি দলের জন্য নিবেদিত রয়েছেন।

জানাগেছে. ১৯৬৮ সাল থেকে আওয়ামী রাজরীতির সঙ্গে জড়িত আমজাদ হোসেন। ৭১ এর ২৫ মার্চ পাকিস্তারি হানাদার বাহিনী বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তারের পর তখন বঙ্গবন্ধুর ডাকে দেশ, আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসে দেশ স্বাধীন করাসহ বঙ্গবন্ধুকে মুক্ত করে নিজেকে নিয়োজিত করেন।

এরপর দেশ স্বাধীন হলে বঙ্গবন্ধু সরকার গঠন করলেও সাড়ে ৩ বছরের মাথায় স্বাধীনতা বিরোধী দোসররা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে এবং বঙ্গবন্ধুর সহযোগী জাতীয় চার নেতাকেও কারাগারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। পরে ৬ নভেম্বর আমজাদ হোসেন ঢাকেশ্বরী স্কুলে বঙ্গবন্ধুসহ ওই চার নেতার গায়েবানা জানাযা নামাজের আহ্বান করে গ্রেপ্তার হন। এগার মাস শিকার হন কারানির্যাতনের। ৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে ১৩ আগষ্ট রূশ সাংস্কৃতিক মিলনায়তনে শেখ রাসেল সংগঠনের পক্ষ থেকে আমজাদ হোসেনকে সংবর্ধনা দেয়া হয়।

ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তৎকালীন ক্রীড়া মন্ত্রী বর্তমানে সড়ক ও যোগাযোগ মন্ত্রী, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী পরমানু বিজ্ঞানি ড, ওয়াজেদ, ড. মাযহারুল ইসলামসহ আরো অনেকে। ওই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তারা তার হাতে তুলে দেন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ও ক্রেষ্ট।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আমজাদ হোসেন বলেন, আমার পরিবার আওয়ামী রাজনৈতিক পরিবার। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে মামলা-হামলা মোকাবেলা করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ভিতর লালন করে অনেক চড়াই-উতরাই এর মধ্য দিয়েই জীবন অতিবাহিত করেছি। তবুও রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে কোন দাগ লাগতে দেইনি। আমাকে সুযোগ দিলে, সভাপতি নির্বাচিত করলে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে তৃণমূল কর্মীদের নিয়ে আমি আগের চেয়ে আরও অনেক বেশী সর্বাত্মক কাজ করে যাবো ইনশাআল্লাহ্।

জাতীয় ও সিটি নির্বাচনে নির্বাচন পরিচালনা কমিটিতে দায়িত্ব পালন করেছি। কোনো কর্মী বা সাধারণ মানুষ বলতে পারবেনা, আমার দ্বারা কোনো দুর্নীতি হয়েছে বা দলের কোন ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। আপনার সবাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আমার জন্য দোয়া করবেন।

সংবাদটি ▼ শেয়ার করুন

👍ফেসবুকে আলোকিত শীতলক্ষ্যা

আমজাদ হোসেনকে ২৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি দেখতে চায় তৃনমূল কর্মীরা

১০:৪৯:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৩

নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড কমিটির সম্মেলনকে কেন্দ্র করে প্রতিটি ওয়ার্ডে নেতাকর্মীদের মধ্যে চলছে উৎসবের আমেজ। তৃনমূল কর্মীদের প্রত্যাশা দলের নিবেদিত প্রান, ত্যাগি ও পরিক্ষীত নেতার হাতে নেতৃত্ব পাবেন।

এরই ধারাবাহিকতায় নাসিক ২৫নং ওয়ার্ডে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বেড়ে ওঠা মানুষদের সমন্বয়ে একটি যুগপযোগী বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ও সার্বিক পরিস্থিতির বিবেচনায় ভূমিদস্যু, চাঁদাবাজ ও দুর্নীতিমুক্ত জননেত্রী শেখ হাসিনার সততার আলোয় আলোকিত একটি ওয়ার্ড গড়তে আমজাদ হোসেনকে ২৫নং ওয়ার্ডের সভাপতি হিসেবে দেখতে চায় ওই ওয়ার্ডের সাধারণ মানুষসহ ওই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের তৃনমূলের নেতাকর্মীরা।

তৃনমূল নেতাকর্মীদের মতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখাসহ ২৫নং ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের দূর্গ তৈরী করে দলকে সু-সংগঠিত করতে আমজাদ হোসেনের নেতৃত্বের বিকল্প নেই।

কেননা কিশোর বয়স থেকেই তিনি আওয়ামী লীগের নিবেদিত প্রান, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়ন, দলের উন্নয়ণ কর্মকান্ড বাস্তবায়নসহ বন্যা, করোনার মতো প্রতিটি দূর্যোগ মুহুর্তে সাধারণ মানুষের পাশে থেকে কল্যানকর কাজে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন সহযোগীতার।

আমজাদ হোসেন মেহনতী ও শ্রমজীবি খেটে খাওয়া সাধারণ নিরীহ মানুষের সুখ-দুঃখের সর্বসময়ের সাথী। তিনি দিন-রাত নিজের আরাম-আয়েশকে বিসর্জন দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত কে শক্তিশালী করতে নিরলস দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।

বর্তমান সময়েও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার আমলের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়ে জনগণের দোয়ারে-দোয়ারে গিয়ে দেশের উন্নয়নের জোয়ার জনগণের মাঝে তুলে ধরে দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ রাখতে বলিষ্ট ভুমিকা পালন করছেন। সততা ও যোগ্যতা দিয়ে সাধারণ মানুষের দোয়ারে দোয়ারে গিয়ে আওয়ামী লীগের ঘাঁটি তৈরীর জন্য নিরলশ পরিশ্রম করছেন।

তৃনমুল নেতাকর্মীরা বলছেন আমজাদ হোসেন ২৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হলে ওই ওয়ার্ড দলীয় নেতৃবৃন্দ ফিরে পাবে প্রাণের জোয়ার। কারণ তিনি একজন ন্যায় পরায়ণ ব্যক্তিত্ব। জনস্বার্থে সকল প্রকার উন্নয়ন সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে তিনি সকলের মাঝে হয়ে উঠেছেন এক জনপ্রিয় জননন্দিত নেতা।

সিটি করপোরেশন গঠনের আগে ২৫ নং ওয়ার্ডটি ছিলো নবীগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অন্তভুক্ত। আমাজদ হোসেন ছিলেন ওই কমিটির যুগ্ম সম্পাদক। সিটি করপোরেশন গঠনের এক যুগ পার হলেও কোনো কমিটি গঠন হয়নি। কমিটি না হওয়ায় দলের অন্য নেতাকমূরা সড়ে পড়লেও দলের হাল ছাড়েননি তিনি। সেই থেকে অদ্যবদি দলের জন্য নিবেদিত রয়েছেন।

জানাগেছে. ১৯৬৮ সাল থেকে আওয়ামী রাজরীতির সঙ্গে জড়িত আমজাদ হোসেন। ৭১ এর ২৫ মার্চ পাকিস্তারি হানাদার বাহিনী বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তারের পর তখন বঙ্গবন্ধুর ডাকে দেশ, আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসে দেশ স্বাধীন করাসহ বঙ্গবন্ধুকে মুক্ত করে নিজেকে নিয়োজিত করেন।

এরপর দেশ স্বাধীন হলে বঙ্গবন্ধু সরকার গঠন করলেও সাড়ে ৩ বছরের মাথায় স্বাধীনতা বিরোধী দোসররা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে এবং বঙ্গবন্ধুর সহযোগী জাতীয় চার নেতাকেও কারাগারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। পরে ৬ নভেম্বর আমজাদ হোসেন ঢাকেশ্বরী স্কুলে বঙ্গবন্ধুসহ ওই চার নেতার গায়েবানা জানাযা নামাজের আহ্বান করে গ্রেপ্তার হন। এগার মাস শিকার হন কারানির্যাতনের। ৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে ১৩ আগষ্ট রূশ সাংস্কৃতিক মিলনায়তনে শেখ রাসেল সংগঠনের পক্ষ থেকে আমজাদ হোসেনকে সংবর্ধনা দেয়া হয়।

ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তৎকালীন ক্রীড়া মন্ত্রী বর্তমানে সড়ক ও যোগাযোগ মন্ত্রী, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী পরমানু বিজ্ঞানি ড, ওয়াজেদ, ড. মাযহারুল ইসলামসহ আরো অনেকে। ওই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তারা তার হাতে তুলে দেন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ও ক্রেষ্ট।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আমজাদ হোসেন বলেন, আমার পরিবার আওয়ামী রাজনৈতিক পরিবার। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে মামলা-হামলা মোকাবেলা করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ভিতর লালন করে অনেক চড়াই-উতরাই এর মধ্য দিয়েই জীবন অতিবাহিত করেছি। তবুও রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে কোন দাগ লাগতে দেইনি। আমাকে সুযোগ দিলে, সভাপতি নির্বাচিত করলে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে তৃণমূল কর্মীদের নিয়ে আমি আগের চেয়ে আরও অনেক বেশী সর্বাত্মক কাজ করে যাবো ইনশাআল্লাহ্।

জাতীয় ও সিটি নির্বাচনে নির্বাচন পরিচালনা কমিটিতে দায়িত্ব পালন করেছি। কোনো কর্মী বা সাধারণ মানুষ বলতে পারবেনা, আমার দ্বারা কোনো দুর্নীতি হয়েছে বা দলের কোন ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে। আপনার সবাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আমার জন্য দোয়া করবেন।

সংবাদটি ▼ শেয়ার করুন