০৪:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

ঘাতক প্রেমিকা সহযোগীসহ গ্রেপ্তার

উদ্ধারকৃত ৭ খণ্ডিত মরদেহটি ফতুল্লার শিল্পপতি জসিমের

অনলাইন-সংস্করণ
  • ১১:১৩:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৪৩৯
সংবাদটি-শেয়ার-করুন

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের ব্রাহ্মণখালী পূর্বাচল লেকপাড় থেকে উদ্ধার হওয়া ৭ টুকরো লাশের পরিচয় শনাক্ত করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তার পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ। উদ্ধারকৃত মরদেহের টুকরোগুলো হলো ফতুল্লার ডাইং ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুমের।

সেই সাখে হত্যাকান্ডের মাস্টারমাইন্ড মূল হোতা নিহতের প্রেমিকা রুমা (২৮) ও তার সহোযোগি রুকু (২৮)কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) তাদেরকে রাজধানীর বনানীর একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত হেক্সো ব্লেড, চাপাতি, নিহতের সাফারি পোষাক উদ্ধার করে পুলিশ।

এরআগে বুধবার রুপগঞ্জে ব্রাহ্মণখালী পূর্বাচল লেকপাড় থেকে তিনটি পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় মরদেহের খন্ডিত অংশগুলো উদ্ধার করা হয়। ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুম ফতুল্লা থানার কাঠেরপুল এলাকার চাদঁ ডাইংয়ের পরিচালক ও আলেক চাঁন বেপারির পুত্র। গত রোববার সে গুলশান এলাকা থেকে নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের পরপর নিহতের পুত্র ওবায়দুল ইসলাম শিবু বাদী হয়ে গুলশান থানায় একটি সাধারন ডায়েরী (নং-৮০৬) করেন।

বৃহস্পতিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) প্রত্যুষ কুমার মজুমদার সাংবাদিকদের জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গ্রেপ্তারকৃত ওই নারীর সাথে মাসুমের অবৈধ সম্পর্কের জেরে এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে সে স্বীকার করেছে।

তিনি আরো বলেন, বুধবার ক্ষতবিক্ষত মরদেহের সাত টুকরো উদ্ধারের পর পুলিশ তাৎক্ষণিক এর তদন্ত শুরু করে। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তার পরিচয় শনাক্ত করা হয়। এরপর গুলশান থানার ওই জিডির সূত্র ধরে আমরা এই ডিসিস্টের পরিচয় জানতে পারি। নিহত জসিম উদ্দিন মাসুম গ্রেপ্তারকৃত রুমাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে প্রায় সময় মিরপুরের শেওরাপাড়ার একটি ভাড়া বাসার ফ্ল্যাটে মিলিত হতো।

এদিকে, সেই ফ্ল্যাটে নিহত ব্যবসায়ী জসিমউদ্দিন অপর এক নারীকে নিয়ে যায়। সেই বিষয়টি জানতে পারে গ্রেপ্তারকৃত রুমা রাগে ক্ষোভে রোববার নিহত জসীমউদ্দিন কে মিরপুরের সেই ফ্ল্যাটে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে গিয়ে দুধের সাথে চেতনানাশক দ্রব্য মিশিয়ে জসীমউদ্দিন কে পান করায়। এতে করে সে অচেতন হয়ে পরলে তার দেহ বেশ কয়েকটি টুকরো কর। পরবর্তীতে টুকরোগুলো রুমা নিজেই দু দফায় উবারে এবং সিএনজিতে করে ফেলে যায়।

তিনি আরো বলেন, আমরা লাশের টুকরা ও এই কাজে ব্যবহৃত চাপাতি ও জামার টুকরো উদ্ধার করেছি। এ কাজে রুমা সহ অপর একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা পক্রিয়াধীন।


সংবাদটি-শেয়ার-করুন

আমাদের সাথে সংযুক্ত থাকুন

ঘাতক প্রেমিকা সহযোগীসহ গ্রেপ্তার

উদ্ধারকৃত ৭ খণ্ডিত মরদেহটি ফতুল্লার শিল্পপতি জসিমের

১১:১৩:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদটি-শেয়ার-করুন

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের ব্রাহ্মণখালী পূর্বাচল লেকপাড় থেকে উদ্ধার হওয়া ৭ টুকরো লাশের পরিচয় শনাক্ত করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তার পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ। উদ্ধারকৃত মরদেহের টুকরোগুলো হলো ফতুল্লার ডাইং ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুমের।

সেই সাখে হত্যাকান্ডের মাস্টারমাইন্ড মূল হোতা নিহতের প্রেমিকা রুমা (২৮) ও তার সহোযোগি রুকু (২৮)কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) তাদেরকে রাজধানীর বনানীর একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত হেক্সো ব্লেড, চাপাতি, নিহতের সাফারি পোষাক উদ্ধার করে পুলিশ।

এরআগে বুধবার রুপগঞ্জে ব্রাহ্মণখালী পূর্বাচল লেকপাড় থেকে তিনটি পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় মরদেহের খন্ডিত অংশগুলো উদ্ধার করা হয়। ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন মাসুম ফতুল্লা থানার কাঠেরপুল এলাকার চাদঁ ডাইংয়ের পরিচালক ও আলেক চাঁন বেপারির পুত্র। গত রোববার সে গুলশান এলাকা থেকে নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের পরপর নিহতের পুত্র ওবায়দুল ইসলাম শিবু বাদী হয়ে গুলশান থানায় একটি সাধারন ডায়েরী (নং-৮০৬) করেন।

বৃহস্পতিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) প্রত্যুষ কুমার মজুমদার সাংবাদিকদের জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গ্রেপ্তারকৃত ওই নারীর সাথে মাসুমের অবৈধ সম্পর্কের জেরে এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে সে স্বীকার করেছে।

তিনি আরো বলেন, বুধবার ক্ষতবিক্ষত মরদেহের সাত টুকরো উদ্ধারের পর পুলিশ তাৎক্ষণিক এর তদন্ত শুরু করে। পরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তার পরিচয় শনাক্ত করা হয়। এরপর গুলশান থানার ওই জিডির সূত্র ধরে আমরা এই ডিসিস্টের পরিচয় জানতে পারি। নিহত জসিম উদ্দিন মাসুম গ্রেপ্তারকৃত রুমাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে প্রায় সময় মিরপুরের শেওরাপাড়ার একটি ভাড়া বাসার ফ্ল্যাটে মিলিত হতো।

এদিকে, সেই ফ্ল্যাটে নিহত ব্যবসায়ী জসিমউদ্দিন অপর এক নারীকে নিয়ে যায়। সেই বিষয়টি জানতে পারে গ্রেপ্তারকৃত রুমা রাগে ক্ষোভে রোববার নিহত জসীমউদ্দিন কে মিরপুরের সেই ফ্ল্যাটে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে গিয়ে দুধের সাথে চেতনানাশক দ্রব্য মিশিয়ে জসীমউদ্দিন কে পান করায়। এতে করে সে অচেতন হয়ে পরলে তার দেহ বেশ কয়েকটি টুকরো কর। পরবর্তীতে টুকরোগুলো রুমা নিজেই দু দফায় উবারে এবং সিএনজিতে করে ফেলে যায়।

তিনি আরো বলেন, আমরা লাশের টুকরা ও এই কাজে ব্যবহৃত চাপাতি ও জামার টুকরো উদ্ধার করেছি। এ কাজে রুমা সহ অপর একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা পক্রিয়াধীন।


সংবাদটি-শেয়ার-করুন