১২:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সিদ্ধিরগঞ্জে টেনশন গ্রুপের টর্চার সেলে অস্ত্র ও মাদকের এ্যাকশন, আতংক

  • ০৯:০২:১১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ অগাস্ট ২০২২
  • / ৫৮৯

সিদ্ধিরগঞ্জে দুর্ধর্ষ কিশোরগ্যাং সন্ত্রাসী ‘টেনশন গ্রুপ’ এর টর্চার সেলে অস্ত্র চালানো ও মাদকের এ্যাকশনের ভিডিও খন্ড খন্ড কয়েকটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক গণমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। শুক্রবার (১২ আগস্ট) বিকেল থেকে ভিডিওগুলো ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওগুলো স্থানীয়দের নজরে আসতেই পুরো এলাকায় আতংব ছড়িয়ে পড়ে।

ভিডিওগুলোতে দেখা যায়, টেনশন গ্রেুপের প্রধান রাইসুল ইসলাম সীমান্ত পিস্তল ও গুলি নিয়ে গানের সঙ্গে নাচানাচি করছে। আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, তারা কয়েকজন মিলে এক যুবককে নির্যাতন করছে।

এলাকাবাসী জানায়, এই বাহিনীর কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে এলাকার সাধারণ মানুষ। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা তাদের বখাটেপনা থেকে রক্ষা পায় না। প্রতিবাদ করলে পরিবারের উপর নানা ঝামেলা আসে। হুমকি-ধামকি দিয়ে ভয়ভীতি দেখানো হয়।

ফলে কেউ আইনের আশ্রয় নিতে সাহস করে না। প্রচন্ড শব্দ করে বাইকের হর্ণ বাজিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। গভীর রাত পর্যন্ত চলে তাদের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় মহড়া। এই বাহিনীর সদস্য সংখ্যা অর্ধ শতাধিক।

অস্ত্র, মাদক তাদের নিত্যদিনের সঙ্গী। ভিডিওতে যে টর্চার সেল দেখা যাচ্ছে সেখানে বিভিন্ন তরূণ-যুবকদের ধরে নিয়ে নির্যাতন করে টাকা-পয়সা, মোবাইল রেখে দেয়। এবং শাসিয়ে দেয় কাউকে বিষয়টি জানালে প্রাণে মেরে ফেলা হবে। এতে নির্যাতনের শিকার কেউ মুখ খোলে না।

নানা অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার (৬ আগষ্ট) রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের ২নং ওয়ার্ডের মিজমিজি এলাকা থেকে টেনশন গ্রুপের প্রধান সীমান্তসহ ওই গ্রুপের ৭ কিশোর সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-১১। পরদিন র‌্যাব-১১ সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন তাদের বিরুদ্ধে। টেনশন গ্রুপের প্রধান সীমান্ত হচ্ছে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি বর্তমানে মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতা শফিকুল ইসলামের ছেলে।

তখন তাদেরকে তল্লাশি করে একটি ছোরা, দুটি সুইচ গিয়ার চাকু, দুটি ছোরা এবং দুটি লোহা ও ষ্টিলের পাইপ উদ্ধার করলেও কোনো পিস্তল উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ সূত্রমতে জানা যায়, তারা এখনো জামিনে বেরিয়ে আসতে পারে নাই। তবে ভিডিওগুলো ভাইরাল হওয়ার পর এইসব অবৈধ অস্ত্রগুলো উদ্ধারের জোর দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী। তা না হলে তারা জামিনে বেরিয়ে এসে এসব অস্ত্র নিয়ে আবারও জনমনে অস্ত্রের ভয়ভীতি দেখিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করতে পারে।

এ বিষয়ে মামলাটির তদন্তাধীন কর্মকর্তা (আইও) এসআই মোখলেসুর রহমান বলেন, তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়েছে। এ সপ্তাহেই তাদের বিরুদ্ধে চার্জশীট দেওয়া হবে। তারা বর্তমানে জেলহাজতে আছেন বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) হাফিজুর রহমান মানিক জানান, ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া অস্ত্র চালানোর ভিডিওটি আমরা হাতে পেয়েছে। আমরা খুব শীঘ্রই অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করবাে।

র‌্যাব-১১’র অধিনায়ক (সিও) লে. কর্ণেল তানভীর মাহমুদ পাশা জানান, কিশোর গ্যাং দমনে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আমরা আবারও অভিযান পরিচালনা করে এইসব অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করবো।

সংবাদটি ▼ শেয়ার করুন

👍ফেসবুকে আলোকিত শীতলক্ষ্যা

সিদ্ধিরগঞ্জে টেনশন গ্রুপের টর্চার সেলে অস্ত্র ও মাদকের এ্যাকশন, আতংক

০৯:০২:১১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ অগাস্ট ২০২২

সিদ্ধিরগঞ্জে দুর্ধর্ষ কিশোরগ্যাং সন্ত্রাসী ‘টেনশন গ্রুপ’ এর টর্চার সেলে অস্ত্র চালানো ও মাদকের এ্যাকশনের ভিডিও খন্ড খন্ড কয়েকটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক গণমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। শুক্রবার (১২ আগস্ট) বিকেল থেকে ভিডিওগুলো ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওগুলো স্থানীয়দের নজরে আসতেই পুরো এলাকায় আতংব ছড়িয়ে পড়ে।

ভিডিওগুলোতে দেখা যায়, টেনশন গ্রেুপের প্রধান রাইসুল ইসলাম সীমান্ত পিস্তল ও গুলি নিয়ে গানের সঙ্গে নাচানাচি করছে। আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, তারা কয়েকজন মিলে এক যুবককে নির্যাতন করছে।

এলাকাবাসী জানায়, এই বাহিনীর কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে এলাকার সাধারণ মানুষ। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা তাদের বখাটেপনা থেকে রক্ষা পায় না। প্রতিবাদ করলে পরিবারের উপর নানা ঝামেলা আসে। হুমকি-ধামকি দিয়ে ভয়ভীতি দেখানো হয়।

ফলে কেউ আইনের আশ্রয় নিতে সাহস করে না। প্রচন্ড শব্দ করে বাইকের হর্ণ বাজিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। গভীর রাত পর্যন্ত চলে তাদের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় মহড়া। এই বাহিনীর সদস্য সংখ্যা অর্ধ শতাধিক।

অস্ত্র, মাদক তাদের নিত্যদিনের সঙ্গী। ভিডিওতে যে টর্চার সেল দেখা যাচ্ছে সেখানে বিভিন্ন তরূণ-যুবকদের ধরে নিয়ে নির্যাতন করে টাকা-পয়সা, মোবাইল রেখে দেয়। এবং শাসিয়ে দেয় কাউকে বিষয়টি জানালে প্রাণে মেরে ফেলা হবে। এতে নির্যাতনের শিকার কেউ মুখ খোলে না।

নানা অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার (৬ আগষ্ট) রাতে সিদ্ধিরগঞ্জের ২নং ওয়ার্ডের মিজমিজি এলাকা থেকে টেনশন গ্রুপের প্রধান সীমান্তসহ ওই গ্রুপের ৭ কিশোর সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-১১। পরদিন র‌্যাব-১১ সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন তাদের বিরুদ্ধে। টেনশন গ্রুপের প্রধান সীমান্ত হচ্ছে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি বর্তমানে মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতা শফিকুল ইসলামের ছেলে।

তখন তাদেরকে তল্লাশি করে একটি ছোরা, দুটি সুইচ গিয়ার চাকু, দুটি ছোরা এবং দুটি লোহা ও ষ্টিলের পাইপ উদ্ধার করলেও কোনো পিস্তল উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ সূত্রমতে জানা যায়, তারা এখনো জামিনে বেরিয়ে আসতে পারে নাই। তবে ভিডিওগুলো ভাইরাল হওয়ার পর এইসব অবৈধ অস্ত্রগুলো উদ্ধারের জোর দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী। তা না হলে তারা জামিনে বেরিয়ে এসে এসব অস্ত্র নিয়ে আবারও জনমনে অস্ত্রের ভয়ভীতি দেখিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করতে পারে।

এ বিষয়ে মামলাটির তদন্তাধীন কর্মকর্তা (আইও) এসআই মোখলেসুর রহমান বলেন, তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা হয়েছে। এ সপ্তাহেই তাদের বিরুদ্ধে চার্জশীট দেওয়া হবে। তারা বর্তমানে জেলহাজতে আছেন বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) হাফিজুর রহমান মানিক জানান, ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া অস্ত্র চালানোর ভিডিওটি আমরা হাতে পেয়েছে। আমরা খুব শীঘ্রই অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করবাে।

র‌্যাব-১১’র অধিনায়ক (সিও) লে. কর্ণেল তানভীর মাহমুদ পাশা জানান, কিশোর গ্যাং দমনে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আমরা আবারও অভিযান পরিচালনা করে এইসব অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করবো।

সংবাদটি ▼ শেয়ার করুন