ফতুল্লায় ১৬ ডিসেম্বরে মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে ফতুল্লা থানা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের আয়োজনে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে ফতুল্লায় থানা বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক সাগর সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু।

ফতুল্লা থানার বিএনপি যুগ্ম সম্পাদক রুহুল আমিন শিকদার বলেন, ১৬ ডিসেম্বর যে বিজয় এসেছিলো তা ঘোষনা করেছিলো শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। তিনি বলেন একজন সিনিয়ির এডভোকেট ও সাংবাদিক আমাকে আজ কোর্টে দেখে বলে আপনারা আবার এই(বারী ভুইয়া) পাগল কে দলে নিয়েছেন কেনো? প্রতি উত্তরে তিনি বলেন বিএনপির সাধারন সম্পাদক যে ভাষায় কথা বলে সে ভাষায় আমরাও কথা বলতে পারি। কিন্ত আমরা রাজনীতি করি তৃনমূল পর্যায় থেকে। আর সে হঠাৎ করে দলীয় পদ নিয়েছে। আমরা হামলা মামলার শিকার হয়েছে। কারো অনুকম্পায় এখানে আসিনি।

এডঃ বারী ভূইয়া কে উদ্দেশ্যে করে বলেন, তিনি বিএনপির রাজনীতির করে দলীয় পদে আসেন নি। তিনি কবে থেকে রাজনীতি করেন তাও তিনি জানেন না। তাকে পাগল বলেও উল্লেখ্য করেন। তিনি আরো বলেন, আপনারা আমাদের বর্জন করেছেন বলছেন,আর আমি বলছি আপানাকে বিএনপির নেতা কর্মীরা বর্জন করেছে। তিনি বলেন আইনজীবীরা ও আপনাকে পাগল বলে। তিনি আরো বলেন, যেদিন আপনাকে (বারী ভূইয়া) তল্লায় মসজিদের সমস্যা নিয়ে মারধর করেছিলো সেদিন আপনি রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীর দ্ধারস্থ হয়েছিলেন। এবং রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী আপনাকে সেদিন সর্ব প্রকার সহোযোগিতা করেছিলো তা কি ভুলে গেছেন।

সভাপতির বক্তব্যে ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী বলেন, অতিতে ও আমরা এরকম সভা সমাবেশ করেছি। এরই ধারাবাহিকতায় আজ আমরা বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে সভা করছি।

তিনি আরো বলেন যারা আমরা বিগত দিন থেকে রাজনীতি করে আসছি সকলেই সকলের পরিচিত। কিন্ত সাম্প্রতিক সময়ে দেখা যাচ্ছে মিছিলগুলোতে বেশ কিছু অপরিচিত নতুন মুখ আসে। তারা এসে মিছিলগুলোতে হট্টগোল করে,মারামারি করে। কার ইশারায় তা করে তা জানিনা। নতুন কাউকে আমাদের দরকার নেই। আওয়ামীলীগের ভয়ে বিএনপি মনা অনেকেই তখন প্রকাশ্যে মিছিলে আসতে পারেন নি। তারা এখন আসলে কোন সমস্যা নেই। কিন্ত যারা আওয়ামী লীগ করেছেন ছবি তুলেছেন তারা যেনো না আসতে পারে সেদিকটাতে সকল কে দ্বায়িত্ব নিয়ে খেয়াল রাখতে বলেছেন। ৫ আগস্ট দেশ দ্ধিতীয়বারের মতো স্বাধীনতা লাভ করলেও পরিপূর্ণ স্বাধীন লাভ করেনি। সামনে দীর্ঘ সময় পার করতে হবে। আমরা যেনো কারো সাথে খারাপ আচরন, ব্যবহার না করি। আমাদের ব্যবহারে যাতে কেউ কোন প্রকার কস্ট না পায়।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু বলেন, রক্তের বিনিময়ে ১৬ ডিসেম্বরে বিজয় এসেছিলো। কিন্ত বারবার তা বিপন্ন হয়েছে। আমাদের তা রক্ষার্থে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন আমি আপনাদের সাথে অতিতেও ছিলাম এখনো আছি ইনশাআল্লাহ আগামীতেও আমি আপনাদের পাশে থাকবো। আগামী ১৬ ডিসেম্বর বিজয় র‌্যালি সফল করতে সকল কে আহবান জানান এবং তা সু-শৃংখল ভাবে করার আহবান জানান।

এছাড়া অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সহ-সভাপতি হানিফ শেখ,বক্তবালী ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক সুমন আকবর,এনায়েত নগর ইউনিয়ন বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক জহির চৌধুরী, আহ্বায়ক ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জাকির হোসেন রবিন,ফতুল্লা থানা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আব্দুল খালেক টিপু,ফতুল্লা শিল্পাঞ্চল শ্রমিক দলের সভাপতি বাবুল আহমেদ,নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি জুয়েল আরমান, ফতুল্লা থানা শ্রমিক দলের আহবায়ক শাহ আলম পাটোয়ারী।

এ ছাড়া অন্যাদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা তাঁতি দলের সভাপতি ইউনুস মাস্টার, ফতুল্লা থানা শ্রমিক দলের সদস্য সচিব আলামিন, ফতুলা থানা জাসাসের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন সজিব, ফতুল্লা থানা তাঁতি দলের সাধারণ সম্পাদক মীর ইমন, ফতুল্লা থানা বিএনপির সহ-সাধারণ সম্পাদক আনিস, ফতুল্লা থানা বিএনপির সহ প্রচার সম্পাদক কামাল হোসেন, সহ প্রচার সম্পাদক মিলন ঢালী,ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ন আহবায়ক আমিনুল ইসলাম লিটন,ফতুল্লা ইউনিয়ন ২নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি গোলাম মোস্তফা অরুন, ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি দুলাল, ফতুল্লা ইউনিয়ন ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আল মামুন, ১নং ওয়ার্ড বিএনপি সাধারণ সম্পাদক রাসেল, ৪নং ওয়ার্ড বিএনপি সাধারণ সম্পাদক জুয়েল চৌধুরী, ৬নং ওয়ার্ড বিএনপি সাধারণ সম্পাদক সাজেদুল ইসলাম সেলিম, বিএনপি নেতা মিজান, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি তাইজুল ইসলাম আলামিন, মামুন হাসান, এসকে শাহীন, নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য রুপম, হারুনুর রশিদ, রানগর ইউনিয়ন শ্রমিক দলের আহবায়ক বাবুল মিয়া, ফতুলা ইউনিয়ন শ্রমিক দলের আহ্বায়ক বাদল প্রধান, ফতুল্লা ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সদস্য সচিব আমির হোসেন, এনায়েত নগর ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সদস্য সচিব ইমাম হোসেন, কুতুবপুর ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সদস্য সচিব আব্দুল মান্নান, ফতুলা ইউনিয়ন যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাসুম, ফতুল্লা ইউনিয়ন যুবদল নেতা মিশু, রাহাদ চৌধুরী, সৈকত, রিপন, রাজা ভাই আরিফ, জীবন, হৃদয়, থানা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা নাঈম, সোহাগ চৌধুরী, সেলিম, সুমন, ফতুল ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা মেহেদী, তুষার, রুবেল, আলামিন প্রমূখ।