০৫:২০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ফতুল্লায় গ্যাস বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৪ জন দগ্ধ

  • ০৩:২৬:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ মে ২০২২
  • / ৪৫৮

ষ্টাফ রিপোর্টার : নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানা এলাকায় আবারো গ্যাস-লাইন লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে শিশুসহ একই পরিবারের ৪ জন দগ্ধ হয়েছেন। আহতরা হলো- রিকশা চালক আনোয়ার হোসেন(৪২), তার স্ত্রী হোশিয়ারি কারখানার শ্রমিক রোজিনা আক্তার(৩২) একই দম্পতির দুই ছেলে হোশিয়ারি কারখানা শ্রমিক রোমান(১৭) ও স্কুল ছাত্র রোহান(৯)।

মঙ্গলবার (১০ মে) ভোরে ফতুল্লার দাপা ইদ্রাকপুর এলাকার পাইলট স্কুলের পূর্ব পাশে কাউসারের টিনশেড বাড়িতে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। আহত আনোয়ার হোসেনের বাড়ি বরিশালের হিজলায় এবং রোজিনা আক্তারের বাড়ি ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলায়।

স্থানীয়রা জানায়, ফতুল্লা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও হাজী সাত্তার মিয়ার বাড়ীর গ্যাস সংযোগের পাইপের লিকেজ থেকে বিস্ফোরন ঘটে। দীর্ঘদিন ধরে গ্যাস লাইন লিকেজ হয়ে গ্যাস বের হওয়ায় স্থানীয় ভাবে আনোয়ার মাস্টার ও হাজী সাত্তার কে অবগত করা হলেও তারা এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেননি।

দগ্ধ আনোয়ার হোসেনের ভাবি রুনা আক্তার অভিযোগ করেন, ওই বাড়িটির পাশ দিয়ে অন্য বাড়ির একটি গ্যাস লাইন নেওয়া হয়েছে। পুরাতন সেই পাইপ লাইনটির রাইজার ছিল আনোয়ারদের ঘরের জানালার পাশে। সেখান থেকে সব সময়ই গ্যাস বের হতো। সবসময়ই গ্যাসের গন্ধ পেতেন তারা।

এই বিষয়টি বাড়ির মালিককে বারবার বলা হয়েছে মেরামত করে দিতে। তবে তা ঠিক করে দেয়নি। এ জন্য ২/৩ মাস ধরে পরিবারটি বাসাটি ছেড়ে দিতে চাইছিল। তবে বিভিন্ন কারণে ছাড়তেও পারছিল না। এ সময় তিনি অভিযোগ করেন, ঠিক সময়ে এটি মেরামত করে দিলে আজ এ দুর্ঘটনা ঘটত না।

ফতুল্লা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সিনিয়র অফিসার আলম হোসেন বলেন, খবর পেয়ে সাথে সাথে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এবং আহত দগ্ধদের উদ্ধার করে নিজস্ব অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে রাজধানীর শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ইনইস্টিটিউটে পাঠান হয়। তিনি বলেন এ ঘটনায় ৪ জন দগ্ধ হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে বাড়ির পেছনে গ্যাস লাইনের রাইজারের লিকেজ থেকে আগুন লেগে বাড়িতে ছড়িয়ে যায়।

বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এসএম আইউব হোসেন জানান, রোজিনার শরীরের ১৪ শতাংশ, আনোয়ারের ১৭, রোহানের ৩৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তাদের ৩ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। আর রুমানকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

সংবাদটি ▼ শেয়ার করুন

👍ফেসবুকে আলোকিত শীতলক্ষ্যা

ফতুল্লায় গ্যাস বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৪ জন দগ্ধ

০৩:২৬:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ মে ২০২২

ষ্টাফ রিপোর্টার : নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানা এলাকায় আবারো গ্যাস-লাইন লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে শিশুসহ একই পরিবারের ৪ জন দগ্ধ হয়েছেন। আহতরা হলো- রিকশা চালক আনোয়ার হোসেন(৪২), তার স্ত্রী হোশিয়ারি কারখানার শ্রমিক রোজিনা আক্তার(৩২) একই দম্পতির দুই ছেলে হোশিয়ারি কারখানা শ্রমিক রোমান(১৭) ও স্কুল ছাত্র রোহান(৯)।

মঙ্গলবার (১০ মে) ভোরে ফতুল্লার দাপা ইদ্রাকপুর এলাকার পাইলট স্কুলের পূর্ব পাশে কাউসারের টিনশেড বাড়িতে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। আহত আনোয়ার হোসেনের বাড়ি বরিশালের হিজলায় এবং রোজিনা আক্তারের বাড়ি ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলায়।

স্থানীয়রা জানায়, ফতুল্লা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও হাজী সাত্তার মিয়ার বাড়ীর গ্যাস সংযোগের পাইপের লিকেজ থেকে বিস্ফোরন ঘটে। দীর্ঘদিন ধরে গ্যাস লাইন লিকেজ হয়ে গ্যাস বের হওয়ায় স্থানীয় ভাবে আনোয়ার মাস্টার ও হাজী সাত্তার কে অবগত করা হলেও তারা এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেননি।

দগ্ধ আনোয়ার হোসেনের ভাবি রুনা আক্তার অভিযোগ করেন, ওই বাড়িটির পাশ দিয়ে অন্য বাড়ির একটি গ্যাস লাইন নেওয়া হয়েছে। পুরাতন সেই পাইপ লাইনটির রাইজার ছিল আনোয়ারদের ঘরের জানালার পাশে। সেখান থেকে সব সময়ই গ্যাস বের হতো। সবসময়ই গ্যাসের গন্ধ পেতেন তারা।

এই বিষয়টি বাড়ির মালিককে বারবার বলা হয়েছে মেরামত করে দিতে। তবে তা ঠিক করে দেয়নি। এ জন্য ২/৩ মাস ধরে পরিবারটি বাসাটি ছেড়ে দিতে চাইছিল। তবে বিভিন্ন কারণে ছাড়তেও পারছিল না। এ সময় তিনি অভিযোগ করেন, ঠিক সময়ে এটি মেরামত করে দিলে আজ এ দুর্ঘটনা ঘটত না।

ফতুল্লা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সিনিয়র অফিসার আলম হোসেন বলেন, খবর পেয়ে সাথে সাথে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এবং আহত দগ্ধদের উদ্ধার করে নিজস্ব অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে রাজধানীর শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ইনইস্টিটিউটে পাঠান হয়। তিনি বলেন এ ঘটনায় ৪ জন দগ্ধ হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে বাড়ির পেছনে গ্যাস লাইনের রাইজারের লিকেজ থেকে আগুন লেগে বাড়িতে ছড়িয়ে যায়।

বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এসএম আইউব হোসেন জানান, রোজিনার শরীরের ১৪ শতাংশ, আনোয়ারের ১৭, রোহানের ৩৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তাদের ৩ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। আর রুমানকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

সংবাদটি ▼ শেয়ার করুন