০৩:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

এমপি শামীম ওসমানের চমক !

  • ১১:৪৪:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ অক্টোবর ২০২১
  • / ৬২৯

আলোকিত শীতলক্ষ্যা : আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ঘিরে ফতুল্লার কুতুবপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টুকে নিয়ে আলোচনার ঝড় বইছে। আওয়ামীলীগ-বিএনপি দুই শিবিরেই এখন আলোচনার কেন্দ্রবৃন্দুতে তিনি। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে বিএনপি ও আওয়ামীলীগ শিবিরে সেন্টুকে নিয়ে নানা গুঞ্জন শুরু হয়। তাদের কারো মতে, সেন্টু এবার আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করবেন। বিষয়টিকে উড়িয়ে দিয়ে আরেক পক্ষ বলেন সেন্টু স্বতন্ত্র প্রার্থী হবেন। এবার নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করবেন আওয়ামীলীগের যে কোন প্রার্থী। এ নিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমে নানা যুক্তি দিয়ে সংবাদওে প্রকাশিত হয়। আওয়ামীলীগের একটি অংশও শীর্ষ নেতাদের সাথে যোগাযোগ শুরু করেন। তারা বলাবলি করেন এবার কুতুবপুরে নৌকার প্রার্থী বিজয়ী হবে। বিএনপি ঘরোনার সেন্টু বাদ যাবে। তাছাড়া যেহেতু বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। সেহেতু বিএনপি থেকে সেন্টুর নির্বাচন করারও সুযোগ নেই। এছাড়াও মাঠে প্রচার ছিল সেন্টুকে ২০১৮ সালে বিএনপি থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। আর সেই বহিস্কারের পর ভেতরে ভেতরে সেন্টু যে আওয়ামীলীগ শিবিরে মিশে গেছে তা টের পায়নি কুতুবপুরের বিএনপি। এবং সেন্টু কৌশলে আওয়ামীলীগের একটি অংশকে সাথে নিয়েই পথ চলা শুরু করেন। যার কারণে শনিবার (৯ অক্টোবর) রাতে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন বোর্ড চুড়ান্ত প্রার্থী তালিকায় দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনিরুল আলম সেন্টুর নাম ঘোষণা করায় নড়ে চড়ে বসে কুতুবপুরের আওয়ামীলীগ-বিএনপি দুই শিবিরই। রীতিমত চমকে দেয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। যার নেপথ্যে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এ.কে.এম শামীম ওসমান। শামীম ওসমানের একক পছন্দের প্রার্থী হিসেবে সেন্টু এবার নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করার সুযোগ পেয়েছেন। যদিও বিভিন্ন পজেটিভ কর্মকান্ডের কারণে অনেক আগেই শামীম ওসমানের গুডবুকে স্থান করে নিয়েছেন মনিরুল আলম সেন্টু।

সেন্টুর ঘনিষ্ঠজনদের মতে, আওয়ামীলীগ সরকারের উন্নয়নের রোল মডেল অনুপ্রানিত করেছে সেন্টুকে। বিশেষ করে শামীম ওসমানের রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, উন্নয়ন ও আগামীদিনে সুন্দর নারায়ণগঞ্জ গড়ার স্বপ্ন সেন্টুকে আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে টেনে নিয়েছে। সেন্টু নিজেও চান এলাকার উন্নয়ন। আর এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হলে আওয়ামীলীগের বিকল্প নাই।

এছাড়াও সূত্রমতে, ২০১৪ সালে বিএনপি ও জামাতের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের জালাও পোড়াও আন্দোলনকে প্রত্যাখান করে শামীম ওসমানের নির্দেশে তৎকালীন দায়িত্বরত ফতুল্লা প্রশাসনকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছিলেন সেন্টু। যার কারণে বিএনপি-জামাত জোট ফতুল্লা থানা অঞ্চলে তেমন কোন তান্ডব করতে পারেনি। তার পরবর্তীতে আওয়ামী রাজনীতির উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখার জন্য শামীম ওসমানের জন্য বিভিন্ন সভা সমাবেশে দোয়া চান ও শামীম ওসমানকে নৌকা মার্কায় ভোট দিতে জনগনকে অনুরোধ করেন সেন্টু। যার কারণে বিএনপি তাকে ২০১৮ সালে বহিষ্কার করে। যা জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।

এদিকে শামীম ওসমান সেন্টুকে দলে ভিড়িয়ে চমক দেখিয়েছেন। আর তা হলো কুতুবপুরে বিএনপির শক্তিশালী ঘাঁটি ভেঙ্গে দিয়েছেন তিনি। কারণ কুতুবপুরে বর্তমানে প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার ভোট। এই ভোটের সিংহভাগ বিএনপির। বিএনপির ভোটের প্রভাবে পরপর তিনবার সেন্টু কুতুবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। তাছাড়া মনিরুল আলম সেন্টু নামে তিনি যতোটা না পরিচিত তার চেয়ে বেশি পরচিত ছিলেন বিএনপির সেন্টু নামে। ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত থেকে তিনি হয়েছেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও থানা যুবদলের সভাপতি। মোটকথা সেন্টুকে ঘিরে বিএনপির একটি শক্তিশালী অবস্থান তৈরী হয়েছিল কুতুবপুর তথা ফতুল্লায়। সেই সেন্টু এখন আওয়ামীলীগ শিবিরে। ফলে হতাশা দেখা দিয়েছে বিএনপি শিবিরে। এতে আরেক ধাপ শক্তিশালী হবে আওয়ামীলীগ। যার ফলাফল কুতুবপুরে আওয়ামীলীগের ভোট ব্যাংকের ব্যপ্তি ঘটবে।

সংবাদটি ▼ শেয়ার করুন

👍ফেসবুকে আলোকিত শীতলক্ষ্যা

এমপি শামীম ওসমানের চমক !

১১:৪৪:৩১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ অক্টোবর ২০২১

আলোকিত শীতলক্ষ্যা : আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ঘিরে ফতুল্লার কুতুবপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টুকে নিয়ে আলোচনার ঝড় বইছে। আওয়ামীলীগ-বিএনপি দুই শিবিরেই এখন আলোচনার কেন্দ্রবৃন্দুতে তিনি। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে বিএনপি ও আওয়ামীলীগ শিবিরে সেন্টুকে নিয়ে নানা গুঞ্জন শুরু হয়। তাদের কারো মতে, সেন্টু এবার আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করবেন। বিষয়টিকে উড়িয়ে দিয়ে আরেক পক্ষ বলেন সেন্টু স্বতন্ত্র প্রার্থী হবেন। এবার নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করবেন আওয়ামীলীগের যে কোন প্রার্থী। এ নিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমে নানা যুক্তি দিয়ে সংবাদওে প্রকাশিত হয়। আওয়ামীলীগের একটি অংশও শীর্ষ নেতাদের সাথে যোগাযোগ শুরু করেন। তারা বলাবলি করেন এবার কুতুবপুরে নৌকার প্রার্থী বিজয়ী হবে। বিএনপি ঘরোনার সেন্টু বাদ যাবে। তাছাড়া যেহেতু বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। সেহেতু বিএনপি থেকে সেন্টুর নির্বাচন করারও সুযোগ নেই। এছাড়াও মাঠে প্রচার ছিল সেন্টুকে ২০১৮ সালে বিএনপি থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। আর সেই বহিস্কারের পর ভেতরে ভেতরে সেন্টু যে আওয়ামীলীগ শিবিরে মিশে গেছে তা টের পায়নি কুতুবপুরের বিএনপি। এবং সেন্টু কৌশলে আওয়ামীলীগের একটি অংশকে সাথে নিয়েই পথ চলা শুরু করেন। যার কারণে শনিবার (৯ অক্টোবর) রাতে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন বোর্ড চুড়ান্ত প্রার্থী তালিকায় দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনিরুল আলম সেন্টুর নাম ঘোষণা করায় নড়ে চড়ে বসে কুতুবপুরের আওয়ামীলীগ-বিএনপি দুই শিবিরই। রীতিমত চমকে দেয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। যার নেপথ্যে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এ.কে.এম শামীম ওসমান। শামীম ওসমানের একক পছন্দের প্রার্থী হিসেবে সেন্টু এবার নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করার সুযোগ পেয়েছেন। যদিও বিভিন্ন পজেটিভ কর্মকান্ডের কারণে অনেক আগেই শামীম ওসমানের গুডবুকে স্থান করে নিয়েছেন মনিরুল আলম সেন্টু।

সেন্টুর ঘনিষ্ঠজনদের মতে, আওয়ামীলীগ সরকারের উন্নয়নের রোল মডেল অনুপ্রানিত করেছে সেন্টুকে। বিশেষ করে শামীম ওসমানের রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, উন্নয়ন ও আগামীদিনে সুন্দর নারায়ণগঞ্জ গড়ার স্বপ্ন সেন্টুকে আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে টেনে নিয়েছে। সেন্টু নিজেও চান এলাকার উন্নয়ন। আর এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হলে আওয়ামীলীগের বিকল্প নাই।

এছাড়াও সূত্রমতে, ২০১৪ সালে বিএনপি ও জামাতের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের জালাও পোড়াও আন্দোলনকে প্রত্যাখান করে শামীম ওসমানের নির্দেশে তৎকালীন দায়িত্বরত ফতুল্লা প্রশাসনকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছিলেন সেন্টু। যার কারণে বিএনপি-জামাত জোট ফতুল্লা থানা অঞ্চলে তেমন কোন তান্ডব করতে পারেনি। তার পরবর্তীতে আওয়ামী রাজনীতির উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখার জন্য শামীম ওসমানের জন্য বিভিন্ন সভা সমাবেশে দোয়া চান ও শামীম ওসমানকে নৌকা মার্কায় ভোট দিতে জনগনকে অনুরোধ করেন সেন্টু। যার কারণে বিএনপি তাকে ২০১৮ সালে বহিষ্কার করে। যা জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।

এদিকে শামীম ওসমান সেন্টুকে দলে ভিড়িয়ে চমক দেখিয়েছেন। আর তা হলো কুতুবপুরে বিএনপির শক্তিশালী ঘাঁটি ভেঙ্গে দিয়েছেন তিনি। কারণ কুতুবপুরে বর্তমানে প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার ভোট। এই ভোটের সিংহভাগ বিএনপির। বিএনপির ভোটের প্রভাবে পরপর তিনবার সেন্টু কুতুবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। তাছাড়া মনিরুল আলম সেন্টু নামে তিনি যতোটা না পরিচিত তার চেয়ে বেশি পরচিত ছিলেন বিএনপির সেন্টু নামে। ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত থেকে তিনি হয়েছেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও থানা যুবদলের সভাপতি। মোটকথা সেন্টুকে ঘিরে বিএনপির একটি শক্তিশালী অবস্থান তৈরী হয়েছিল কুতুবপুর তথা ফতুল্লায়। সেই সেন্টু এখন আওয়ামীলীগ শিবিরে। ফলে হতাশা দেখা দিয়েছে বিএনপি শিবিরে। এতে আরেক ধাপ শক্তিশালী হবে আওয়ামীলীগ। যার ফলাফল কুতুবপুরে আওয়ামীলীগের ভোট ব্যাংকের ব্যপ্তি ঘটবে।

সংবাদটি ▼ শেয়ার করুন