০৫:০৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সিদ্ধিরগঞ্জে ভাঙ্গারী দোকানে অভিযান চালিয়ে চোরাই মালামাল উদ্ধার

  • ১২:৪৪:৪৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মার্চ ২০২৩
  • / ৪৬০

সিদ্ধিরগঞ্জে চোরের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী গভীর রাতে একটি ভাঙ্গারী দোকানে অভিযান চালিয়ে চোরাই মালামাল উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।

মঙ্গলবার (৭ মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে ৩ টায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এস.আই) আ: রাজ্জাক সঙ্গীয় ফোর্স সহ সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিক ১নং ওয়ার্ডের ডিএনডি লেকপাড় সড়কের আব্দুল্লাহ আল মামুনের মালিকানাধীন বাড়িতে অবস্থিত আশিক টু জামাই এন্টারপ্রাইজ নামক ভাঙ্গারী দোকানে অভিযান চালিয়ে এসব চোরাই মালামাল উদ্ধার করে।

এসময় চুরি হওয়া একটি পানির পাম্প, কয়েকটি গ্যানিং মেশিন ও একবস্তা বিদ্যুতের তামার তাড় উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

এরআগে একই দিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে একই ওয়ার্ডের মিজমিজি পূর্বপাড়া (মুজিববাগ) এলাকার আ: গফুর সরকারের ছেলে আবু সাঈদের নির্মাণাধীন বাড়ি থেকে একটি পানির পাম্প চুরি হয়ে যায়। খোঁজা-খুঁজি করে পাম্পটি না পেলেও একজন চোরকে আটক করে উত্তম-মাধ্যম দিলে পাম্পটির সন্ধান দেয়।

পরে পাম্পটির মালিক আবু সাঈদ রাত সাড়ে ৩টার দিকে পুলিশ এবং বিপুল সংখ্যক লোকজন নিয়ে এসে ওই ভাঙ্গারী দোকানে তল্লাশি চালিয়ে চুরি হওয়া পাম্পটি উদ্ধার করা হয়। পাশাপাশি ওই দোকান থেকে কয়েকটি গ্যানিং মেশিন ও একবস্তা বিদ্যুতের তামার তাড় উদ্ধার করা হয়। পরে পুলিশ দোকানের মালিক হেলাল ও তার কর্মচারী রায়হানকে আটক করে নিয়ে যায়।

জানা যায়, চোরের বিরুদ্ধে মামলা হলেও রহস্যজনক কারণে পুলিশ চোর সিন্ডিকেটের শেল্টারদাতা ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী হেলাল ও তার কর্মচারী রায়হানকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আশিক টু জামাই এন্টারপ্রাইজ নামক ভাঙ্গারী দোকানে প্রতিনিয়ত চোরাই মালামাল ক্রয়-বিক্রয় হয় প্রকাশ্যেই। এই ভাঙ্গারী দোকানের সাথে আটি এলাকার ত্রাস সাহেব আলী সিন্ডিকেটের সাথে গভীর সখ্যতা রয়েছে। আটি এলাকার মনোয়ারা জুট মিলের চোরাই মালামাল এই ভাঙ্গারী দোকানে বিক্রি করা হতো বলে স্থানীয়দের অভিযোগ রয়েছে।

এরআগে কয়েকবার স্থানীয়দের হাতে চোরাই মাল বিক্রি করার সময় কয়েকজন চোরকে আটক করে উত্তম-মাধ্যমও দেয়া হয়েছে। স্থানীয়দের দাবী, এই ভাঙ্গারী ব্যবসায়ীরে হাত অনেক লম্বা। তাই তাদেরকে আটক করে বেশিক্ষন পুলিশ আটকে রাখতে পারে না। মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে তারা ছাড়া পেয়ে যায়।

এ ব্যাপারে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আ: রাজ্জাক জানান, পাম্পটি যে চোর চুরি করেছে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ভাঙ্গারী দোকান মালিক ও কর্মচারীর বিরুদ্ধে বাদী মামলা না করায় তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়া দোকান থেকে উদ্ধার হওয়া তামার তাড় ফেরত দেওয়া হয়েছে।

সংবাদটি ▼ শেয়ার করুন

👍ফেসবুকে আলোকিত শীতলক্ষ্যা

সিদ্ধিরগঞ্জে ভাঙ্গারী দোকানে অভিযান চালিয়ে চোরাই মালামাল উদ্ধার

১২:৪৪:৪৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মার্চ ২০২৩

সিদ্ধিরগঞ্জে চোরের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী গভীর রাতে একটি ভাঙ্গারী দোকানে অভিযান চালিয়ে চোরাই মালামাল উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।

মঙ্গলবার (৭ মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে ৩ টায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এস.আই) আ: রাজ্জাক সঙ্গীয় ফোর্স সহ সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিক ১নং ওয়ার্ডের ডিএনডি লেকপাড় সড়কের আব্দুল্লাহ আল মামুনের মালিকানাধীন বাড়িতে অবস্থিত আশিক টু জামাই এন্টারপ্রাইজ নামক ভাঙ্গারী দোকানে অভিযান চালিয়ে এসব চোরাই মালামাল উদ্ধার করে।

এসময় চুরি হওয়া একটি পানির পাম্প, কয়েকটি গ্যানিং মেশিন ও একবস্তা বিদ্যুতের তামার তাড় উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

এরআগে একই দিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে একই ওয়ার্ডের মিজমিজি পূর্বপাড়া (মুজিববাগ) এলাকার আ: গফুর সরকারের ছেলে আবু সাঈদের নির্মাণাধীন বাড়ি থেকে একটি পানির পাম্প চুরি হয়ে যায়। খোঁজা-খুঁজি করে পাম্পটি না পেলেও একজন চোরকে আটক করে উত্তম-মাধ্যম দিলে পাম্পটির সন্ধান দেয়।

পরে পাম্পটির মালিক আবু সাঈদ রাত সাড়ে ৩টার দিকে পুলিশ এবং বিপুল সংখ্যক লোকজন নিয়ে এসে ওই ভাঙ্গারী দোকানে তল্লাশি চালিয়ে চুরি হওয়া পাম্পটি উদ্ধার করা হয়। পাশাপাশি ওই দোকান থেকে কয়েকটি গ্যানিং মেশিন ও একবস্তা বিদ্যুতের তামার তাড় উদ্ধার করা হয়। পরে পুলিশ দোকানের মালিক হেলাল ও তার কর্মচারী রায়হানকে আটক করে নিয়ে যায়।

জানা যায়, চোরের বিরুদ্ধে মামলা হলেও রহস্যজনক কারণে পুলিশ চোর সিন্ডিকেটের শেল্টারদাতা ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী হেলাল ও তার কর্মচারী রায়হানকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আশিক টু জামাই এন্টারপ্রাইজ নামক ভাঙ্গারী দোকানে প্রতিনিয়ত চোরাই মালামাল ক্রয়-বিক্রয় হয় প্রকাশ্যেই। এই ভাঙ্গারী দোকানের সাথে আটি এলাকার ত্রাস সাহেব আলী সিন্ডিকেটের সাথে গভীর সখ্যতা রয়েছে। আটি এলাকার মনোয়ারা জুট মিলের চোরাই মালামাল এই ভাঙ্গারী দোকানে বিক্রি করা হতো বলে স্থানীয়দের অভিযোগ রয়েছে।

এরআগে কয়েকবার স্থানীয়দের হাতে চোরাই মাল বিক্রি করার সময় কয়েকজন চোরকে আটক করে উত্তম-মাধ্যমও দেয়া হয়েছে। স্থানীয়দের দাবী, এই ভাঙ্গারী ব্যবসায়ীরে হাত অনেক লম্বা। তাই তাদেরকে আটক করে বেশিক্ষন পুলিশ আটকে রাখতে পারে না। মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে তারা ছাড়া পেয়ে যায়।

এ ব্যাপারে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আ: রাজ্জাক জানান, পাম্পটি যে চোর চুরি করেছে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ভাঙ্গারী দোকান মালিক ও কর্মচারীর বিরুদ্ধে বাদী মামলা না করায় তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়া দোকান থেকে উদ্ধার হওয়া তামার তাড় ফেরত দেওয়া হয়েছে।

সংবাদটি ▼ শেয়ার করুন