আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে রাজনীতির মাঠ নিজেদের দখলে রাখতে অক্টোবর মাসজুড়েই শান্তি সমাবেশ ও উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধনসহ পাশাপাশি নানা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ।

সেই ধারাবাহিকতায় আগামী ১৩ই অক্টোবর শুক্রবার ঢাকা-চট্রগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক দিয়ে ঢাকার প্রবেশপথ সোনারগাঁয়ের কাচঁপুরে উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ।

আর সেই সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এছাড়াও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত থাকবেন।

এদিকে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের সমাবেশকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা যেনো নতুন করে আবারও জেগে উঠেছে।

শুধু তাই নয় নারায়ণগঞ্জ- ৫ টি আসনের বর্তমান দলীয় সাংসদ ও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজেদের শক্তি জানান দিতে নিজ নিজ বলে নেতাকর্মীদের নিয়ে শোডাউনের ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

আর সমাবশেকে সফল করতে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের পাশাপাশি সোনারগাঁও, ফতুল্লা, সিদ্ধিরগঞ্জ, বন্দর, রূপগঞ্জ ও আড়াইহাজার থানা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে পৃথক পৃথক ভাবে ব্যাপক প্রস্তুতিমূলক ও মতবিনিময় সভা করছেন।

এছাড়াও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ জনগণকে সমাবেশে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে সর্বত্র চালানো হচ্ছে মাইকিং ও প্রচারণা।

অন্যদিকে গত সোমবার ২ অক্টোবর কাঁচপুরের উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশ স্থল পরিদর্শন করে স্থানীয় নেতাকর্মীদের বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ (ঢাকা বিভাগীয়) সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি।

পরিদর্শনকালে মির্জা আজম এমপি বলেছিলেন, বিএনপি জামায়াত জোট অপশক্তির অপতৎপরতা প্রতিহত করতে ধারাবাহিকভাবে ঢাকার প্রবেশ পথগুলোতে আওয়ামী লীগের উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশ চলছে। এরই অংশ হিসেবে আগামী ১৩ অক্টোবর ঢাকা-চট্রগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক দিয়ে ঢাকার প্রবেশপথ সোনারগাঁয়ের কাচঁপুরে এই কর্মসূচি পালন করা হবে। ওই সমাবেশে লক্ষাধিক মানুষের সমাগম ঘটিয়ে আওয়ামী লীগ প্রমাণ করবে দেশের জনগণ আওয়ামী লীগের সঙ্গে আছে। তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও শান্তির পক্ষে আছে। তিনি আরও বলেছিলেন, দেশের মানুষ আবারও শেখ হাসিনাকেই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী দেখতে চায়।