১০:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বিভিন্ন মাজারে ছদ্দবেশে থাকতেন ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি কাশেম

  • ০৯:২০:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ মে ২০২২
  • / ৫০২

বিভিন্ন মাজারে ছদ্দবেশে লুকিয়ে থাকতেন বন্দরে উজ্জল হত্যাকাণ্ডের ১০ বছর পর ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার

স্টাফ রিপোর্টার : বন্দর থানার চাঞ্চল্যকর উজ্জল হত্যাকাণ্ডের দশ বছর পর পলাতক ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আবুল কাশেম (৫৬) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তারের পর জামিনে মুক্ত হয়ে ছদ্মবেশ ধারণ করে বিভিন্ন মাজারে নিজ নাম পরিবর্তন করে ছদ্দবেশে লুকিয়ে থাকতেন কাশেম। শুক্রবার (৬ মে) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বন্দর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আঃ বারেক হাওলাদার বন্দরের কদম রসুল মাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেন।

গ্রেপ্তারকৃত আবুল কাশেম নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর উপজেলার সোনাকান্দা বড় মসজিদ এলাকার মৃত মোহাম্মদ হোসেন ওরফে মোহাম্মদ আলীর ছেলে। একই দিন দুপুরে তাকে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা (জিআর- ২৬৭/১২) মূলে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ।

প্রসঙ্গত, বন্দর উপজেলার সোনাকান্দা বড় মসজিদ এলাকায় প্রবাসফেরত মো. উজ্জল মিয়ার কাছ থেকে সিগারেটের আগুন ধরানোর জন্য ব্যবহৃত একটি লাইটার ম্যাচ ধার নেয় সুজন। এর একদিন পর সুজনের কাছে লাইটার ফেরত চায় উজ্জল। এই নিয়ে ২০১২ সালের ১৬ জুন তাদের দুজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে সুজন, কালু, আজমান ও আবুল কাশেমসহ আরো কয়েকজন তাকে মারধর করে মাথায় ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। এই ঘটনায় নিহত উজ্জলের বাবা লুৎফর রহমান বাদী হয়ে সুজনসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে বন্দর থানায় হত্যা মামলা করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে ১০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

উজ্জল মিয়া হত্যা মামলায় ১৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রথম বিচারক মিয়াজী শহীদুল আলম চৌধুরী ২০১৫ সালের ৫ অক্টোবর চারজনের মৃত্যুদন্ডাদেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে আদালত মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেক আসামিকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন। এ ছাড়া মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত প্রধান আসামি সুজনকে আরো তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং দণ্ডিত অর্থ অনাদায়ে এক মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। অন্যদিকে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত ৬ আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন। দন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন বন্দর উপজেলার সোনাকান্দা এলাকার সুজন, কালু, আজমা ও আবুল কাশেম। রায় ঘোষণাকালে দণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামির মধ্যে শুধু সুজন উপস্থিত ছিল। পলাতক ছিলেন অন্য তিনজন ।

সংবাদটি ▼ শেয়ার করুন

👍ফেসবুকে আলোকিত শীতলক্ষ্যা

বিভিন্ন মাজারে ছদ্দবেশে থাকতেন ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি কাশেম

০৯:২০:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ মে ২০২২

স্টাফ রিপোর্টার : বন্দর থানার চাঞ্চল্যকর উজ্জল হত্যাকাণ্ডের দশ বছর পর পলাতক ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আবুল কাশেম (৫৬) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তারের পর জামিনে মুক্ত হয়ে ছদ্মবেশ ধারণ করে বিভিন্ন মাজারে নিজ নাম পরিবর্তন করে ছদ্দবেশে লুকিয়ে থাকতেন কাশেম। শুক্রবার (৬ মে) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বন্দর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আঃ বারেক হাওলাদার বন্দরের কদম রসুল মাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেন।

গ্রেপ্তারকৃত আবুল কাশেম নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর উপজেলার সোনাকান্দা বড় মসজিদ এলাকার মৃত মোহাম্মদ হোসেন ওরফে মোহাম্মদ আলীর ছেলে। একই দিন দুপুরে তাকে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা (জিআর- ২৬৭/১২) মূলে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ।

প্রসঙ্গত, বন্দর উপজেলার সোনাকান্দা বড় মসজিদ এলাকায় প্রবাসফেরত মো. উজ্জল মিয়ার কাছ থেকে সিগারেটের আগুন ধরানোর জন্য ব্যবহৃত একটি লাইটার ম্যাচ ধার নেয় সুজন। এর একদিন পর সুজনের কাছে লাইটার ফেরত চায় উজ্জল। এই নিয়ে ২০১২ সালের ১৬ জুন তাদের দুজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে সুজন, কালু, আজমান ও আবুল কাশেমসহ আরো কয়েকজন তাকে মারধর করে মাথায় ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। এই ঘটনায় নিহত উজ্জলের বাবা লুৎফর রহমান বাদী হয়ে সুজনসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে বন্দর থানায় হত্যা মামলা করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে ১০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

উজ্জল মিয়া হত্যা মামলায় ১৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রথম বিচারক মিয়াজী শহীদুল আলম চৌধুরী ২০১৫ সালের ৫ অক্টোবর চারজনের মৃত্যুদন্ডাদেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে আদালত মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেক আসামিকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন। এ ছাড়া মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত প্রধান আসামি সুজনকে আরো তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং দণ্ডিত অর্থ অনাদায়ে এক মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। অন্যদিকে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত ৬ আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন। দন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন বন্দর উপজেলার সোনাকান্দা এলাকার সুজন, কালু, আজমা ও আবুল কাশেম। রায় ঘোষণাকালে দণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামির মধ্যে শুধু সুজন উপস্থিত ছিল। পলাতক ছিলেন অন্য তিনজন ।

সংবাদটি ▼ শেয়ার করুন