১২:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

বছরে কোটি টাকার অবৈধ গ্যাস ব্যবহার; চুন কারখানায় অভিযান

অনলাইন-সংস্করণ
  • ১১:৩৮:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৪৫০
সংবাদটি-শেয়ার-করুন

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় অবৈধ গ্যাস সংযোগের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেছে তিতাস জোবিঅ ফতুল্লা শাখা। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দিনব্যাপি পরিচালিত এ অভিযানে জোবিঅ ফতুল্লা শাখার আওতাধীন কুতুবপুর পাগলা তালতলা মাদরাসা সংলগ্ন এলাকায় একটি বাসাবাড়ীর অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নসহ অবৈধ গ্যাস সংযোগের কারণে একটি চুন কারখানার ভাট্টি ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়।

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: মোনাব্বর হোসেনের নেতৃত্বে এ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালন করা হয়।

এ বিষয়ে জোবিঅ ফতুল্লার ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো: মশিউর রহমান বলেন, আজকের এ অভিযানে একটি অবৈধ চুন কারখানা পাওয়া যায়। যেখানে অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ দিয়ে তারা কারখানাটি পরিচালনা করে আসছিলো। আমরা এরআগে এ কারখানাটিতে অভিযান পরিচালনা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু স্থানীয় লোকজন ও তাদের বাধার কারণে আমরা অভিযান পরিচালন করতে পারেনি। আজকে পুলিশ-প্রশাসনের সহযোগীতায় এখানে অভিযান পরিচালনা করছি।

তিনি বলেন, আমরা যতটুকু জানি কারখানাটি পরিবেশের জন্য খুবই ক্ষতিকর। বর্তমানে কোন চুন কারখানার অনুমোদন সরকার থেকে পাওয়া যায় না। আমরা এ কারখানায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ পেয়েছি। ওনারা অবৈধভাবে প্রতিমাসে প্রায় ৭ লাখ টাকা গ্যাস খরচ করেছে, যা বছরে প্রায় কোটি টাকার মত গিয়ে দাঁড়ায়। আজ কারখানাটির ৬টি ইন্সপিরেটর বার্ণারের মাধ্যমে অবৈধ গ্যাস ব্যবহার পাওয়া যাওয়ায় নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে সংযোগটি কিলিং করা হয় এবং ফ্যাক্টরিটির ভাট্টি গুড়িয়ে দেয়া হয়। আশাকরছি, তারা আর এখানে অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহার এবং অবৈধ কারখানাটি পরিচালনা করতে পারবেন না।

‘কাউকে আটক কিংবা জেল জরিমানা করা হয়েছে কি না?’ সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, আমরা যখন অভিযান পরিচালনা শুরু করি। ঠিক তখনই কারখানাটির পিছনে ছোট এক গেট দিয়ে সবাই পালিয়ে যায়। এখন পর্যন্ত কারখানাটির মালিক ও কর্তৃপক্ষ কাউকে পাওয়া যায়নি। ফলে জরিমানা করা সম্ভব হয়নি। তবে একজন লেবারকে আটক করা হয়েছিলো। পরে মুচলেকায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কারখানাটির পাশে একটি বাড়িতে ৮টি ডাবল বার্ণারে অবৈধ গ্যাস ব্যবহার পাওয়া যাওয়ায় সংযোগটি কিলিং করা হয়। অভিযানস্থল হতে ২” ডায়া ৮০ ফুট পাইপসহ ৬টি ইন্সপিরেটর বার্ণার জব্দ করা হয়।

অভিযানে উপস্থিত ছিলেন, জোবিঅ নারায়ণগঞ্জ’র ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মোস্তাক মাসুদ মো: ইমরান, ইএসএস শাখার ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী সৈয়দ মো. আবু সুফিয়ান, মিটারিং এন্ড ভিজিল্যান্স শাখার ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী তাইফুর রহমানসহ আবিবি-নারায়ণগঞ্জ’র অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।


সংবাদটি-শেয়ার-করুন

আমাদের সাথে সংযুক্ত থাকুন

বছরে কোটি টাকার অবৈধ গ্যাস ব্যবহার; চুন কারখানায় অভিযান

১১:৩৮:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪
সংবাদটি-শেয়ার-করুন

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় অবৈধ গ্যাস সংযোগের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেছে তিতাস জোবিঅ ফতুল্লা শাখা। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দিনব্যাপি পরিচালিত এ অভিযানে জোবিঅ ফতুল্লা শাখার আওতাধীন কুতুবপুর পাগলা তালতলা মাদরাসা সংলগ্ন এলাকায় একটি বাসাবাড়ীর অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নসহ অবৈধ গ্যাস সংযোগের কারণে একটি চুন কারখানার ভাট্টি ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়।

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: মোনাব্বর হোসেনের নেতৃত্বে এ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালন করা হয়।

এ বিষয়ে জোবিঅ ফতুল্লার ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো: মশিউর রহমান বলেন, আজকের এ অভিযানে একটি অবৈধ চুন কারখানা পাওয়া যায়। যেখানে অবৈধভাবে গ্যাস সংযোগ দিয়ে তারা কারখানাটি পরিচালনা করে আসছিলো। আমরা এরআগে এ কারখানাটিতে অভিযান পরিচালনা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু স্থানীয় লোকজন ও তাদের বাধার কারণে আমরা অভিযান পরিচালন করতে পারেনি। আজকে পুলিশ-প্রশাসনের সহযোগীতায় এখানে অভিযান পরিচালনা করছি।

তিনি বলেন, আমরা যতটুকু জানি কারখানাটি পরিবেশের জন্য খুবই ক্ষতিকর। বর্তমানে কোন চুন কারখানার অনুমোদন সরকার থেকে পাওয়া যায় না। আমরা এ কারখানায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ পেয়েছি। ওনারা অবৈধভাবে প্রতিমাসে প্রায় ৭ লাখ টাকা গ্যাস খরচ করেছে, যা বছরে প্রায় কোটি টাকার মত গিয়ে দাঁড়ায়। আজ কারখানাটির ৬টি ইন্সপিরেটর বার্ণারের মাধ্যমে অবৈধ গ্যাস ব্যবহার পাওয়া যাওয়ায় নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে সংযোগটি কিলিং করা হয় এবং ফ্যাক্টরিটির ভাট্টি গুড়িয়ে দেয়া হয়। আশাকরছি, তারা আর এখানে অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহার এবং অবৈধ কারখানাটি পরিচালনা করতে পারবেন না।

‘কাউকে আটক কিংবা জেল জরিমানা করা হয়েছে কি না?’ সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, আমরা যখন অভিযান পরিচালনা শুরু করি। ঠিক তখনই কারখানাটির পিছনে ছোট এক গেট দিয়ে সবাই পালিয়ে যায়। এখন পর্যন্ত কারখানাটির মালিক ও কর্তৃপক্ষ কাউকে পাওয়া যায়নি। ফলে জরিমানা করা সম্ভব হয়নি। তবে একজন লেবারকে আটক করা হয়েছিলো। পরে মুচলেকায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কারখানাটির পাশে একটি বাড়িতে ৮টি ডাবল বার্ণারে অবৈধ গ্যাস ব্যবহার পাওয়া যাওয়ায় সংযোগটি কিলিং করা হয়। অভিযানস্থল হতে ২” ডায়া ৮০ ফুট পাইপসহ ৬টি ইন্সপিরেটর বার্ণার জব্দ করা হয়।

অভিযানে উপস্থিত ছিলেন, জোবিঅ নারায়ণগঞ্জ’র ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মোস্তাক মাসুদ মো: ইমরান, ইএসএস শাখার ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী সৈয়দ মো. আবু সুফিয়ান, মিটারিং এন্ড ভিজিল্যান্স শাখার ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী তাইফুর রহমানসহ আবিবি-নারায়ণগঞ্জ’র অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।


সংবাদটি-শেয়ার-করুন