০৮:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মাদক মামলার আসামীর হুন্ডা নিয়ে রাইটার তুহিনের তুঘলকি কান্ড!

  • ০৪:৫২:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ জুন ২০২৩
  • / ৭০৩

গাজীপুর মেট্রোপলিটন সদর থানার রাইটার তুহিন মিয়ার বিরুদ্ধে মাদক মামলার আসামীর মটরসাইকেল গায়েব করার অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ গাজীপুর মেট্টোপলিটন সদর থানার ফকির বাড়ি এলাকা থেকে ১১০ পিস ইয়াবাসহ কালো ও লাল রঙ্গের জিক্সার মোটর সাইকেল আটক করে। এঘটনায় গাড়ির মালিক সাগর মিয়ার নাম উল্লেখ করে সদর থানার মামলা দায়ের করা হয়।

স্প্রেশাল বাঞ্চের করা গাজীপুর মেট্টোপলিটন থানায় মাদক মামলায় আসামী সাগর মিয়া জেল খাটলেও তার ব্যবহৃত কালো ও লাল রঙ্গের মটর সাইকেলটি মালখানায় জব্দ না দেখিয়ে অন্যত্র রেখেছেন ওই থানার রাইটার তুহিন মিয়া। যদিও তুহিন মিয়ার মোঠোফোনে দাবি করেছেন তিনি মালখানায় মটরসাইকেলটি জমা করেছেন।

ভোক্তভোগীরা বলছেন রাইটার তুহিন মিয়াকে আইনের আওতায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই বেড়িয়ে আসবে মটরসাইকেলটির আসল রহস্য।

খোজখবর নিয়ে জানাগেছে, গাজীপুর মেট্টোপলিটন থানার কম্পিউটার ম্যান তুহিন মিয়া ক্রমশই বেপরোয়া হয়ে উঠছেন। অভিযোগ, জিডি লেখার নামে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে উৎকোচ, মালখানার মালামালের হিসেব নিকেষ থেকে শুরু করে সব কিছুই নিয়ন্ত্রণ করেন রাইটার তুহিন মিয়া।

থানার বেশিরভাগ পুলিশ কর্মকর্তার সাথে গোপনে আঁতাত করে সাধারণ মানুষের নামে মিথ্যা মামলা, ধরপাকড় থেকে শুরু করে টাকার বিনিময়ে আসামী ছাড়ানোসহ একের পর এক অপরাধ করে যাচ্ছেন তুহিন মিয়া। কোন ভাবেই তাকে থামানো যাচ্ছে না।

রাইটার তুহিনের পাগলা ঘোড়ার লাগাম টেনে ধরতে গাজীপুর মেট্টোপলিটনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ চেয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

গাজীপর মেট্টোপলিটন থানায় তুহিন মিয়াকে দিয়ে একটি জিডি করতে গেলে সাধারণ মানুষকে গুনতে হয় পাঁচ’শ থেকে হাজার টাকা। অভিযোগ দিতে গেলে গুনতে হয় এক হাজার থেকে পনের’শ টাকা।

আব্দুস সামাদ নামে এক ভুক্তভোগী জানান, রাইটার তুহিন মিয়াকে দিয়ে থানায় অভিযোগ, জিডি যাই লিখাই না কেন টাকা তাকে দিতেই হবে। টাকা ছাড়া সে কাজ করে না। যদি থানার জিডি ও অভিযোগ করার জন্য কোন টাকা লাগে না স্পষ্ট জানিয়েছেন ওই থানার অফিসার্স ইনচার্জ নিজেই।

করিম মিয়া নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, তুহিন মিয়াকে টাকা দিলে সে সব কাজ করে দেয়। টাকা না নিয়ে তার কাছে গেলে তিনি বলেন সারভার নষ্ট। কাজ করতে দেরি হবে। আসামী ছাড়ানো, মামলা করা টাকা হলে তুহিন মিয়া সব করে দেয়। অথচ তুহিন মিয়াদের মত এসব কর্মকর্তা থানায় না রাখতে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রায়ই তাদের সভাসেমিনারে বলে থাকেন তারপরও গাজীপুর মেট্টোপলটন সদর থানায় তিনি কিভাবে রয়েছেন তার খুটির জোড় কোথায় সেটা দিন দিন ভাবিয়ে তুলছে ভোক্তভোগীদের।

আসমা আক্তার নামে এক ভুক্তভোগী জানান, চতুর তুহিন পুরা থানাটাই যেন ম্যানেজ করে রাখে। সম্প্রতি এক মাদক মামলার আসামীর মটর সাইকেল কোথায় যে লাপাত্তা করেছেন তুহিন মিয়া ছাড়া আর কেউ জানেনা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গাজীপুর মেট্টোপলিটন সদর থানার রাইটার তুহিন মিয়া জানান, গাড়ির কাগজপত্র নিয়ে আসেন একটা সাধারণ ডায়েরী করে দেই। তারপর দেখি কি করা যায়। অথচ তুহিন মিয়ারই বক্তব্যে স্পষ্ট ভয়েজ রেকর্ড রয়েছে গাড়িটি তিনি থানার মালখানায় জমা করেছেন।

এ বিষয়ে জানতে গাজীপুর মেট্টোপলিটন সদর থানার অফিসার্স ইনচার্জের মুঠোফোনে কয়েকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।

সংবাদটি ▼ শেয়ার করুন

👍ফেসবুকে আলোকিত শীতলক্ষ্যা

মাদক মামলার আসামীর হুন্ডা নিয়ে রাইটার তুহিনের তুঘলকি কান্ড!

০৪:৫২:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ জুন ২০২৩

গাজীপুর মেট্রোপলিটন সদর থানার রাইটার তুহিন মিয়ার বিরুদ্ধে মাদক মামলার আসামীর মটরসাইকেল গায়েব করার অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ গাজীপুর মেট্টোপলিটন সদর থানার ফকির বাড়ি এলাকা থেকে ১১০ পিস ইয়াবাসহ কালো ও লাল রঙ্গের জিক্সার মোটর সাইকেল আটক করে। এঘটনায় গাড়ির মালিক সাগর মিয়ার নাম উল্লেখ করে সদর থানার মামলা দায়ের করা হয়।

স্প্রেশাল বাঞ্চের করা গাজীপুর মেট্টোপলিটন থানায় মাদক মামলায় আসামী সাগর মিয়া জেল খাটলেও তার ব্যবহৃত কালো ও লাল রঙ্গের মটর সাইকেলটি মালখানায় জব্দ না দেখিয়ে অন্যত্র রেখেছেন ওই থানার রাইটার তুহিন মিয়া। যদিও তুহিন মিয়ার মোঠোফোনে দাবি করেছেন তিনি মালখানায় মটরসাইকেলটি জমা করেছেন।

ভোক্তভোগীরা বলছেন রাইটার তুহিন মিয়াকে আইনের আওতায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই বেড়িয়ে আসবে মটরসাইকেলটির আসল রহস্য।

খোজখবর নিয়ে জানাগেছে, গাজীপুর মেট্টোপলিটন থানার কম্পিউটার ম্যান তুহিন মিয়া ক্রমশই বেপরোয়া হয়ে উঠছেন। অভিযোগ, জিডি লেখার নামে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে উৎকোচ, মালখানার মালামালের হিসেব নিকেষ থেকে শুরু করে সব কিছুই নিয়ন্ত্রণ করেন রাইটার তুহিন মিয়া।

থানার বেশিরভাগ পুলিশ কর্মকর্তার সাথে গোপনে আঁতাত করে সাধারণ মানুষের নামে মিথ্যা মামলা, ধরপাকড় থেকে শুরু করে টাকার বিনিময়ে আসামী ছাড়ানোসহ একের পর এক অপরাধ করে যাচ্ছেন তুহিন মিয়া। কোন ভাবেই তাকে থামানো যাচ্ছে না।

রাইটার তুহিনের পাগলা ঘোড়ার লাগাম টেনে ধরতে গাজীপুর মেট্টোপলিটনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ চেয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

গাজীপর মেট্টোপলিটন থানায় তুহিন মিয়াকে দিয়ে একটি জিডি করতে গেলে সাধারণ মানুষকে গুনতে হয় পাঁচ’শ থেকে হাজার টাকা। অভিযোগ দিতে গেলে গুনতে হয় এক হাজার থেকে পনের’শ টাকা।

আব্দুস সামাদ নামে এক ভুক্তভোগী জানান, রাইটার তুহিন মিয়াকে দিয়ে থানায় অভিযোগ, জিডি যাই লিখাই না কেন টাকা তাকে দিতেই হবে। টাকা ছাড়া সে কাজ করে না। যদি থানার জিডি ও অভিযোগ করার জন্য কোন টাকা লাগে না স্পষ্ট জানিয়েছেন ওই থানার অফিসার্স ইনচার্জ নিজেই।

করিম মিয়া নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, তুহিন মিয়াকে টাকা দিলে সে সব কাজ করে দেয়। টাকা না নিয়ে তার কাছে গেলে তিনি বলেন সারভার নষ্ট। কাজ করতে দেরি হবে। আসামী ছাড়ানো, মামলা করা টাকা হলে তুহিন মিয়া সব করে দেয়। অথচ তুহিন মিয়াদের মত এসব কর্মকর্তা থানায় না রাখতে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রায়ই তাদের সভাসেমিনারে বলে থাকেন তারপরও গাজীপুর মেট্টোপলটন সদর থানায় তিনি কিভাবে রয়েছেন তার খুটির জোড় কোথায় সেটা দিন দিন ভাবিয়ে তুলছে ভোক্তভোগীদের।

আসমা আক্তার নামে এক ভুক্তভোগী জানান, চতুর তুহিন পুরা থানাটাই যেন ম্যানেজ করে রাখে। সম্প্রতি এক মাদক মামলার আসামীর মটর সাইকেল কোথায় যে লাপাত্তা করেছেন তুহিন মিয়া ছাড়া আর কেউ জানেনা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গাজীপুর মেট্টোপলিটন সদর থানার রাইটার তুহিন মিয়া জানান, গাড়ির কাগজপত্র নিয়ে আসেন একটা সাধারণ ডায়েরী করে দেই। তারপর দেখি কি করা যায়। অথচ তুহিন মিয়ারই বক্তব্যে স্পষ্ট ভয়েজ রেকর্ড রয়েছে গাড়িটি তিনি থানার মালখানায় জমা করেছেন।

এ বিষয়ে জানতে গাজীপুর মেট্টোপলিটন সদর থানার অফিসার্স ইনচার্জের মুঠোফোনে কয়েকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।

সংবাদটি ▼ শেয়ার করুন