নারায়ণগঞ্জ ১২:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

নিয়ম-শৃঙখলার মাধ্যমেই জবিনটাকে সুন্দর ও সম্বৃদ্ধশালী করতে হয় : আবুল হাসেম

 অনলাইন ভার্সন
  • ১১:২২:২৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জুন ২০২০
  • / ৬২২

"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

আলোকিত শীতলক্ষ্যা আবুল হাসেম রিপোর্ট : শৃঙ্খলাই জীবন।এর মানে নিয়ম-শৃঙখলার মাধ্যমেই জবিনটাকে সুন্দর ও সম্বৃদ্ধশালী করতে হয়। তাই বলা হয়, বিশৃঙ্খল জাতি কখনো ঊন্নতি লাভ করতে পারে না। শৃঙ্খলার সহিদ এবং ধৈর্য্যসহকারে বিপদের মোকাবেলা করলে বিপদকে জয় করা যায়। সাধনার ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।

এ পৃথিবীর মহৎ ব্যক্তিদের জীবনী বিশ্লেশণ করলে গুণটির কথাই নজরে আসে। এখানে উদাহরণসরূপ যিনি বৈদ্যতিক লাইট আবিস্কার করে এপৃথিবী থেকে অন্ধকার দূর করেছেন, তার নাম উল্লেখ করা যায়, তনি হলেন “টমাস আলভা এডিসন”। তিঁনি এ লাইট আবিস্কার করতে একবার-দুববিার তিনবার নয় আরো বেশি, একশো-দ‘ুশ‘বার নয়, একহাজারবারো নয়্। আরো বেশি। সে ধৈর্যসহকারে একে-একে দশহাজারবার প্রচেষ্টা চালাণোর পরই সফলতা অর্জন করেছেন। একেই বলে ধৈর্য্যরে গুণ।তাই বলা যায়, উশৃঙ্খল জাতি কখনো উন্নতি লাভ করতে পারে না। আর শৃঙ্খলাতামানেই নিয়ম মেনে চলা। আল্লাহ্ এ বিশ্বভ্রমন্ডলে যা কিছু সৃষ্টি করেছেন, সবগুলোই একটা নিয়মের অধীন রয়েছে। যে, যার অবস্থানে থেকেই ঘূর্ণায়মাণ রয়েছে। আদিকাল থেকে অনাদিকাল পর্যন্ত চলতে থাকবে। যে এর ব্যতিক্রম করবে সেই ধ্বংস হয়ে যাবে। প্রকৃতি থেকে আমাদের শিক্ষা নেয়া উচিৎ যে, শৃঙ্খলাই জীবন। উশ্ঙ্খল জাতি এ পৃথিবীতে টিকে থাকতে পারে না। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন অনেক জাতি আছে, যারা তাদের অসাবধানতার কারণে এবং নিয়মনীতির অভাবে পৃথিবী থেকে বিলিন হয়ে গেছে।

আজ যখন গোটা দুনিয়া কোভিড ১৯,করোনাভাইরাসর দ্বারা আক্রান্ত হয়ে স্থবির-অচল। পৃথিবী যখন মৃতপুরিতে পরিণত হয়েছে,ঠিক তখনই দেখতে পেলাম বঙালি জাতির বিরূপ প্রতিক্রিয়া। কেউ শুনছে না কারো কথা, মানছে না নিয়মনীতি। নিয়মনীতিতো দূরের কথা সরকার ঘোষিত নির্দেশনারো কেউ তোয়াক্কা করছে না। গত ৮মার্চ ২০২০ দেশে প্রথম করোনাভাইরাস রোগি সনাক্ত হলে সরকার কোমলমতি শিশুদেরকে এহেন দূর্যোগপূূর্ণ মহামারি থেকে রক্ষার জন্য দেশে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সাধারণ ছুটি ঘোষণা দিলেন।

সে সাথে মরণঘাতি কোভিড-১৯, করোনাভাইরাসের আক্রমণ থেকে জাতিকে বাঁচানোর জন্য ৩১টি নির্দেশনা জারি করলেণ। স্কুল ছুটি হলো আমাদের শিশুদের নিরাপদ আশ্রয়ে রাখার জন্য। আর আমরা করলাম কি তার উল্টোটা। বাচ্চাদের স্কুল ছুটি মানেই একটু বেড়িয়ে আশা। তাই সবাই বাস, ট্রেন, লঞ্চেভীর জমিয়ে দেশের বাড়ি থেকে ঘুরে আসতে ছুেট চললাম।

অথচ সরকার ছুটিই ঘোষণা করলো আমাদের বাচ্চাদের মহামারি থেকে রক্ষা করার জন্য। আর অমরা শিশুদের কোলে=কাঁদে নিয়ে ট্রেনে,বাসে,লঞ্চে বেড়াতে গেলাম। আমরা আমাদের নিরাপদের কথা না ভাবলে সরকার ভেবে কিছুই করতে পারবে না। আমাদের, বাঙালিদের চরিত্রটাই এমন বৈচিত্রময়। আমাদের বলা হয়, একটা আমরা করি অন্যটা। যখন কোভিড-১৯, করোনাভাইরাস বেড়েই চলছে, তখন সরকার দেশবাসিকে আত্নঘাতি মহাদূর্যোগ থেকে বাঁচানোর লক্ষে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিলেন। তিঁনি দেশের সকল সরকারি-বেসরকারি শিল্প-কারখারাসহ সকল অফিস-আদালত সাধারণ ছুটির ঘোষণা দিলেন।

এখানেই শেষ নয়, গরীব ও খেটে খাওয়া দরিদ্র জনগণের যাতে কষ্ট না হয়, তাদের জন্য ত্রাণ-রিলিফের ব্যবস্থা করে দিলেন। তারপরও ছুটি ঘোষণা করার ফলে যে সকল গার্মেণ্ট কারখানা ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে তাদের আর্থিক সহযোগিতার জন্য সরকার প্রণোদনা ঘোষণা করেছেন এবং প্রধান করেছেন। এতোসব করার পরো আমরা কি দেখতে পেলাম? তা আদৌও কাম্য নয়।

সম্পূর্ণ নূতন রূপে পৃথিবীতে মরণ-আঘাত হানাকারি কোভিড-১৯, করোনাভাইরাস থেকে জাতিকে রক্ষার নির্দেশণা উপেক্ষাকরে দলে দলে লোকজন শহর ছেড়ে বাড়ি যাচ্ছে। কিছুসংখ্যক সুবিধাভোগি গার্মেন্ট মালিক প্রণোদনা পাওয়ার পরও গার্মেনাট চালু ঘেষণা দিয়ে বসলো। সে সাথে বললো, যারা শহরে আছে তারা কাজে যোগদান করলেই চলবে। কিন্তু বাঙালি শুনে কার কথা। তারা দলে দলে রিক্সা, ট্রাকে করে ক লে আসতে লাগলো। ছুটি ঘোষণা করা হলো মহামারির হাত থেকে দেশের মানুষেেক রক্ষা করার জন্য।

আর আমরা পালিয়ে বাসে/ট্রাকে, নদী পথে ট্রলারে, লঞ্চে, নৌকায় গাঁদাগাদি করে যাচ্ছিতো যাচ্ছিই। কে শুনে কার কথা? ছুটির ঘোষণা এলো ঘরেবসে থেকে এ মহাদূর্যোগ মোকাবেলা করার জন্য। আমরা এমন এক জাতি আমরা কোনপ্রকার নিয়মনীতির কথা নাভেবে, সরকারের নির্দেশনাকে অমান্য করে এসে পরলাম ঘরের বাইরে। এতো গেলো শ্রমিকদের কথা।

এরপর আসি সাধারণ মানুষের কথায়। যখন করোনাভাইরাসের প্রাদূর্ভাব বেড়ে যেতে লাগলো তখন লকডাউন ঘোষণা করা হলো। জনসাধারণের জন্য নির্দেশনা এলো ঘরে বসে থেকে রোগের মোকাবেলা করার জন্য। অতি দরকারে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে, মাক্স ব্যবহার করে ঘরের বাইরে যাবার কথা বলা হলো। কিন্তু দেখাগেলো যে, কিশোর-তরুণ বয়েসের এমনকি যুবকেরাও শুরু করে দিলো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী লোকদের সাথে লোকচুরি খেলা। পুলিশ-আর্মি রাস্তায় থাকলে লোকজন একটু আড়ালে সরে থাকে। তারা চলেগেলে রাস্তায়, দোকানের সামনে, সাটান্ডে রাস্তার গলিতে শতশত লোকজনের আড্ডা জমে উঠে।

এছাড়াও মিথ্যা বলে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুড়ে বেড়ানো এবং লকডাউনের অবস্থা দেখার প্রতিযোগিতায় মেথে উঠলো মানুষ। এখানেই শেষ নয়। আলালের ঘরের দুলালেরা যখন তাদের নিজস্ব গাড়ীতে নামে বেনামে স্টিকার লাগিয়ে ঘুরে বেড়াতে ব্যস্ত ঠিক তখনই নিম্ন-মধ্যবিত্তের সন্তান কিশোর-তরুণরাও তাদের বাইকে একাধিক বন্ধুবান্ধ নিয়ে ঘুড়েবেড়াতে দেখা গেলো।

এদের দেখে কোমলমতি শিক্ষার্থীরাও তাদের দ্বিচক্রযানে বাইকারদের সাথে পাল্লা দিতে লাগলো। এ দেখে আমার মনে প্রশ্ন এলো কেন আমরা বাঙালি জাতিরা সরকারের নির্দেশনা মানি না? আইনকানুনের প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল নই কেন? আমরা অপরের আদেশ-উপদেশ গ্রহণ করিনা কেন? আমার বাঙালিরা কি জাতিগভাবেই উদাষীণ? এর উত্তর খোঁজতে আমরা জেনে নিই আমাদের উৎপত্তি, ইতিহাস, বংশপরিচয় ও গঠন পদ্ধতি।

আমরা অজস্র রক্তধারার মিশ্রণ। আমাদের শরীরে যুগেযুগে নানা জাতির রক্ত এসে মিশেগেছে ভালোবাসারমতো। রবীন্দ্রসাথ ভারততীর্থ কবিতায় বলেছিলেন,“ভারতবর্ষে শক হুন মোঘল পাঠান সবাই লীন হয়ে আছে।” ঠিক তেমনি বাঙালির শ্যামল শরীরে ঘুমিয়ে আছে অনেক রক্তস্রোত।

নৃতাত্ত্বিকেরা অনেক গবেষণা করে এ সিদ্ধান্তে এসেছেন, আমাদের পূর্বপুরুষ হচ্ছে সিংহলের ভেড্ডারা। এরা বহু পূর্বে সারা ভারতে ছড়িয়ে ছিলো। আমাদের শরীরে তাদের রক্ত রয়েছে বেশি পরিমাণে। তবে আমাদের শরীরে অজস্র রক্তধারার মিশ্রণ। আমাদের শরীরে যুগেযুগে নানা জাতির রক্ত এসে ভালোবাসার মতো মিশে গেছে। আমরা ভেড্ডাদের উত্তর পুরুষ। আদিবাসি সাওতাল,মুন্ডা, মালপাহাড়ি, ওরাঁওÑএদের মধ্যেই নয়, নিন্মবর্ণের হিন্দুদের মধ্যে এমনকি উচ্চবর্ণের হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যেও এদের উপাদান প্রচুর পরিমাণে পাওয়াগেছে। ভেড্ডা রক্তধারার সাথে পরে আরো একটি ধারা মিলিত হয়।

এটি হলো মঙ্গোলীয়। মঙ্গোলীয়দের চোখের গঠন বড় বিচিত্র। তাদের চোখ বাদামি রডের লাল আভা মাখা। আর চোখের কোণে থাকে ভাঁজ। বাঙালিদের মাঝে এরকম রূপ বহু দেখা যায়। এরপর আসে ইন্দো-আর্যদের রক্তধারা। আর্যরা ছিলো সুদেহী, গায়ের রঙ গৌর, অঅকারে দীর্ঘ। তাদের নাক বেশ তীক্ষ্ণ। অনেক বাঙালির মধ্যে এদের বৈশিষ্ঠও চোখে পড়ে।

এরপর আসে পারস্যের তুর্কিস্তান থেকে ‘শকেরা’, এরাও আমাদের রক্তে মিশে যায়। এভাবে নানা আকারের বিভিন্ন রঙের মানুষের মিলনের ফল আমরা।

শকদের পরেও বাঙালির রক্তে মিশেছে আরো অনেক রক্ত। বিদেশ থেকে এসেছে বিভিন্ন সময়ে বিজয়ীরা। …এদেশ শাসণ করেছে, এখানে বিয়ে করেছে, বাঙালিদের মধ্যে মিশে গেছে। এসেছে মানুষ আরব থেকে, পারস্য থেকে, এসেছে আরো বহু দেশ থেকে। তারাও আমাদের মধ্যে আছে।

একেতো বঙালি জাতি বহু জাতির সমন্বয়ে গঠিত একটি জাতি। তারোপর শত শত বছর ধরে এদেশ বিদেশিরা শাসন করেছে। তারা শুধু শাসন করেনি। তারা শাসনের নামে করেছে শোষণ। চালিয়েছে নিরিহ জনগণে ওপর অকথ্য নির্যাতন। তাদের অত্যাচারে বহু সাধারণ কৃষক তাদের সম্বল জমিটুকু হরিয়ে পথে বসতে হয়েছে। আর এদের সহযোগিতা করেছে এদেশেরই অধিক মুনাফা লোভী জমিদার নামক সমাজপতিগণ। তারা যুগযুগ ধরে আমাদের সমাজে ছিলো এবং থাকবে।

একেতো বঙালি জাতির উৎপত্তি বহু জাতির রক্তধারা; অপরদিকে তারা বহিরাগত শাসকদের অত্যাচা-নির্যাতনে হয়ে পড়েছে মানবতা বিবর্যিত। বোধ হয় এ জন্যই আমাদের স্বভাব চরিত্র্র এমনি বৈচিত্রধরণের। কেউ কারো কথা শুনে না, কেউ কাউকে মানে না। ছেলে পিতার কথা মানে না,পিতা সন্তানের কথায় কান দেয় না।

এমনকি ছাত্রও শিক্ষকের আদেশ মানতে রাজি নয়। বর্তমানে কিছুসংখ্যক ছাত্রের মুখে শুনা যায়, তার আল্লাূহ্ ছাড়া আর কাওকে ভয় করে না। এতে বোঝা যায় তারা স্বাধীন। অর্থাৎ তারা কাউকে ভয় করতে চায় না। এমন কি তারা গুরু জনদের সম্মান করাটাকেও ভয় করার সামিল মনে করে থাকে। বিশেষ করে ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিতদের মাঝে এ চিন্তা ধারাটা পরিলক্ষিত হয় বেশি। তাদের কাছে ব্যক্তি ইচ্ছাটাই প্রধান। গোটা পৃথিবী যখন কোভিড-১৯ করোনাভাইরাস মহামারিতে আক্রান্ত। ঠিক তখন বাংলাদেশ সরকার সকল অফিস-আদালত, কল-কারখানা সাধারণ ছুটি ঘোষণা করলেন, মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার জন্য। সাথে সাথে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী লোকদের দ্বারা গণসচেতনতামূলক প্রচারণা চালালেন।

কিন্তু কে শুনে কার কথা? ছুটি ঘোষণার সাথে সাথে মানুষ রাস্তায় নেমে এলো। এ ছুটিতে একই অজুহাত দীর্ঘ ছুটিতে গ্রামের বাড়ি চলে যাবো। অথচ ছুটি দেয়া হলো মহামারির হাত থেকে নিজকে বাঁচানোর। আমরা এটুকু বোঝতে চাই না যে, আমি নিজে নিরাপদ থাকলে আমার পরিবারের সবাই ভালো থাকবে। সে সাথে সমাজের সকলে নিরাপদে থাকবে। আমি যদি আমার পরিবার, সমাজকে নিরাপদ রাখতে পারি, তাহলে এ দেশ ও জাতি নিরাপদে থাকবে। এতে কোন সন্দেহ নেই। সরকার শুধু সচেতনতামূলক প্রচারণা চালিয়েই ক্ষান্ত ছিলেন না। সে সাথে দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষদের জন্য গ্রহণ করলেন যুগান্তকারী পদক্ষেপ। তারপরও আমরা আমাদেরকে ঘরে স্বেচ্ছায় বন্দি রাখতে পারিনি। এতে বলা চলেযে, ‘বাঙালি জাতি’ উশৃঙ্খল জাতি। তাই আমরা কোভিড-১৯ করোনাভাইরাস ঠেকাতে সক্ষম হইনি।

অথচ চীন তিন মাসের মধ্যেই এ মহামারীকে জয় করতে পেরেছে। তার একমাত্র কারণ হলো তারা সভ্য জাতি। তারা সরকারী ঘোষণা মেনে নিজকে নিরাপদ করার সাথে সাথে জাতিকে মহামাররি কড়ালগ্রাস থেকে মুক্ত করে নিয়েছে।

এরপর গোটা পৃথিবী যখন করোনাভাইরাসের মহামারিতে আক্রান্ত ঠিক তখনই ভিয়েতনাম ও তাইওয়ানের জনগণ সচেতনতা অবল্বণ করেছে এবং তাদের জাতিকে তারা মহামারি থেকে রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছে। এ আলোচনা থেকে এটাই বলা যায়, ধৈর্যধারণ ব্যতিত কখনো কোনপ্রকার বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যায় না। স্বেচ্ছাচারিতা তথা উশ্ঙ্খৃলতা মাধ্যমে বিপদ জয় করা যায় না। বিপদে ধৈর্য ধারণ করাটাই বুদ্ধি মানের কাজ।

এ সৃস্টি জগতে সব কিছুই বিধাতার অমঘ নিয়ম মেনে চলে। আর আমরা মানুষরা সৃস্টির সেরা জীব। আমাদের ওপরতো অনেক দায়ীত্বই বর্তায়। পারিবারিক,সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়। সর্বোপরি ধর্মীয় অনুশাসন। এ সকল নিয়ম-নীতি ও আইন-শৃঙ্খলা মেনে চলাই শৃঙ্খলাবোধ। আমাদের মাঝে শৃঙ্খলাবোধ থাকটা একান্তভাবে জরুরী। মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব শৃঙ্খলার মধ্যেই নিহিত থাকে।#

ফেসবুকে👍আলোকিত শীতলক্ষ্যা

নিয়ম-শৃঙখলার মাধ্যমেই জবিনটাকে সুন্দর ও সম্বৃদ্ধশালী করতে হয় : আবুল হাসেম

১১:২২:২৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জুন ২০২০
"সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন"

আলোকিত শীতলক্ষ্যা আবুল হাসেম রিপোর্ট : শৃঙ্খলাই জীবন।এর মানে নিয়ম-শৃঙখলার মাধ্যমেই জবিনটাকে সুন্দর ও সম্বৃদ্ধশালী করতে হয়। তাই বলা হয়, বিশৃঙ্খল জাতি কখনো ঊন্নতি লাভ করতে পারে না। শৃঙ্খলার সহিদ এবং ধৈর্য্যসহকারে বিপদের মোকাবেলা করলে বিপদকে জয় করা যায়। সাধনার ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।

এ পৃথিবীর মহৎ ব্যক্তিদের জীবনী বিশ্লেশণ করলে গুণটির কথাই নজরে আসে। এখানে উদাহরণসরূপ যিনি বৈদ্যতিক লাইট আবিস্কার করে এপৃথিবী থেকে অন্ধকার দূর করেছেন, তার নাম উল্লেখ করা যায়, তনি হলেন “টমাস আলভা এডিসন”। তিঁনি এ লাইট আবিস্কার করতে একবার-দুববিার তিনবার নয় আরো বেশি, একশো-দ‘ুশ‘বার নয়, একহাজারবারো নয়্। আরো বেশি। সে ধৈর্যসহকারে একে-একে দশহাজারবার প্রচেষ্টা চালাণোর পরই সফলতা অর্জন করেছেন। একেই বলে ধৈর্য্যরে গুণ।তাই বলা যায়, উশৃঙ্খল জাতি কখনো উন্নতি লাভ করতে পারে না। আর শৃঙ্খলাতামানেই নিয়ম মেনে চলা। আল্লাহ্ এ বিশ্বভ্রমন্ডলে যা কিছু সৃষ্টি করেছেন, সবগুলোই একটা নিয়মের অধীন রয়েছে। যে, যার অবস্থানে থেকেই ঘূর্ণায়মাণ রয়েছে। আদিকাল থেকে অনাদিকাল পর্যন্ত চলতে থাকবে। যে এর ব্যতিক্রম করবে সেই ধ্বংস হয়ে যাবে। প্রকৃতি থেকে আমাদের শিক্ষা নেয়া উচিৎ যে, শৃঙ্খলাই জীবন। উশ্ঙ্খল জাতি এ পৃথিবীতে টিকে থাকতে পারে না। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন অনেক জাতি আছে, যারা তাদের অসাবধানতার কারণে এবং নিয়মনীতির অভাবে পৃথিবী থেকে বিলিন হয়ে গেছে।

আজ যখন গোটা দুনিয়া কোভিড ১৯,করোনাভাইরাসর দ্বারা আক্রান্ত হয়ে স্থবির-অচল। পৃথিবী যখন মৃতপুরিতে পরিণত হয়েছে,ঠিক তখনই দেখতে পেলাম বঙালি জাতির বিরূপ প্রতিক্রিয়া। কেউ শুনছে না কারো কথা, মানছে না নিয়মনীতি। নিয়মনীতিতো দূরের কথা সরকার ঘোষিত নির্দেশনারো কেউ তোয়াক্কা করছে না। গত ৮মার্চ ২০২০ দেশে প্রথম করোনাভাইরাস রোগি সনাক্ত হলে সরকার কোমলমতি শিশুদেরকে এহেন দূর্যোগপূূর্ণ মহামারি থেকে রক্ষার জন্য দেশে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সাধারণ ছুটি ঘোষণা দিলেন।

সে সাথে মরণঘাতি কোভিড-১৯, করোনাভাইরাসের আক্রমণ থেকে জাতিকে বাঁচানোর জন্য ৩১টি নির্দেশনা জারি করলেণ। স্কুল ছুটি হলো আমাদের শিশুদের নিরাপদ আশ্রয়ে রাখার জন্য। আর আমরা করলাম কি তার উল্টোটা। বাচ্চাদের স্কুল ছুটি মানেই একটু বেড়িয়ে আশা। তাই সবাই বাস, ট্রেন, লঞ্চেভীর জমিয়ে দেশের বাড়ি থেকে ঘুরে আসতে ছুেট চললাম।

অথচ সরকার ছুটিই ঘোষণা করলো আমাদের বাচ্চাদের মহামারি থেকে রক্ষা করার জন্য। আর অমরা শিশুদের কোলে=কাঁদে নিয়ে ট্রেনে,বাসে,লঞ্চে বেড়াতে গেলাম। আমরা আমাদের নিরাপদের কথা না ভাবলে সরকার ভেবে কিছুই করতে পারবে না। আমাদের, বাঙালিদের চরিত্রটাই এমন বৈচিত্রময়। আমাদের বলা হয়, একটা আমরা করি অন্যটা। যখন কোভিড-১৯, করোনাভাইরাস বেড়েই চলছে, তখন সরকার দেশবাসিকে আত্নঘাতি মহাদূর্যোগ থেকে বাঁচানোর লক্ষে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিলেন। তিঁনি দেশের সকল সরকারি-বেসরকারি শিল্প-কারখারাসহ সকল অফিস-আদালত সাধারণ ছুটির ঘোষণা দিলেন।

এখানেই শেষ নয়, গরীব ও খেটে খাওয়া দরিদ্র জনগণের যাতে কষ্ট না হয়, তাদের জন্য ত্রাণ-রিলিফের ব্যবস্থা করে দিলেন। তারপরও ছুটি ঘোষণা করার ফলে যে সকল গার্মেণ্ট কারখানা ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে তাদের আর্থিক সহযোগিতার জন্য সরকার প্রণোদনা ঘোষণা করেছেন এবং প্রধান করেছেন। এতোসব করার পরো আমরা কি দেখতে পেলাম? তা আদৌও কাম্য নয়।

সম্পূর্ণ নূতন রূপে পৃথিবীতে মরণ-আঘাত হানাকারি কোভিড-১৯, করোনাভাইরাস থেকে জাতিকে রক্ষার নির্দেশণা উপেক্ষাকরে দলে দলে লোকজন শহর ছেড়ে বাড়ি যাচ্ছে। কিছুসংখ্যক সুবিধাভোগি গার্মেন্ট মালিক প্রণোদনা পাওয়ার পরও গার্মেনাট চালু ঘেষণা দিয়ে বসলো। সে সাথে বললো, যারা শহরে আছে তারা কাজে যোগদান করলেই চলবে। কিন্তু বাঙালি শুনে কার কথা। তারা দলে দলে রিক্সা, ট্রাকে করে ক লে আসতে লাগলো। ছুটি ঘোষণা করা হলো মহামারির হাত থেকে দেশের মানুষেেক রক্ষা করার জন্য।

আর আমরা পালিয়ে বাসে/ট্রাকে, নদী পথে ট্রলারে, লঞ্চে, নৌকায় গাঁদাগাদি করে যাচ্ছিতো যাচ্ছিই। কে শুনে কার কথা? ছুটির ঘোষণা এলো ঘরেবসে থেকে এ মহাদূর্যোগ মোকাবেলা করার জন্য। আমরা এমন এক জাতি আমরা কোনপ্রকার নিয়মনীতির কথা নাভেবে, সরকারের নির্দেশনাকে অমান্য করে এসে পরলাম ঘরের বাইরে। এতো গেলো শ্রমিকদের কথা।

এরপর আসি সাধারণ মানুষের কথায়। যখন করোনাভাইরাসের প্রাদূর্ভাব বেড়ে যেতে লাগলো তখন লকডাউন ঘোষণা করা হলো। জনসাধারণের জন্য নির্দেশনা এলো ঘরে বসে থেকে রোগের মোকাবেলা করার জন্য। অতি দরকারে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে, মাক্স ব্যবহার করে ঘরের বাইরে যাবার কথা বলা হলো। কিন্তু দেখাগেলো যে, কিশোর-তরুণ বয়েসের এমনকি যুবকেরাও শুরু করে দিলো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী লোকদের সাথে লোকচুরি খেলা। পুলিশ-আর্মি রাস্তায় থাকলে লোকজন একটু আড়ালে সরে থাকে। তারা চলেগেলে রাস্তায়, দোকানের সামনে, সাটান্ডে রাস্তার গলিতে শতশত লোকজনের আড্ডা জমে উঠে।

এছাড়াও মিথ্যা বলে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুড়ে বেড়ানো এবং লকডাউনের অবস্থা দেখার প্রতিযোগিতায় মেথে উঠলো মানুষ। এখানেই শেষ নয়। আলালের ঘরের দুলালেরা যখন তাদের নিজস্ব গাড়ীতে নামে বেনামে স্টিকার লাগিয়ে ঘুরে বেড়াতে ব্যস্ত ঠিক তখনই নিম্ন-মধ্যবিত্তের সন্তান কিশোর-তরুণরাও তাদের বাইকে একাধিক বন্ধুবান্ধ নিয়ে ঘুড়েবেড়াতে দেখা গেলো।

এদের দেখে কোমলমতি শিক্ষার্থীরাও তাদের দ্বিচক্রযানে বাইকারদের সাথে পাল্লা দিতে লাগলো। এ দেখে আমার মনে প্রশ্ন এলো কেন আমরা বাঙালি জাতিরা সরকারের নির্দেশনা মানি না? আইনকানুনের প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল নই কেন? আমরা অপরের আদেশ-উপদেশ গ্রহণ করিনা কেন? আমার বাঙালিরা কি জাতিগভাবেই উদাষীণ? এর উত্তর খোঁজতে আমরা জেনে নিই আমাদের উৎপত্তি, ইতিহাস, বংশপরিচয় ও গঠন পদ্ধতি।

আমরা অজস্র রক্তধারার মিশ্রণ। আমাদের শরীরে যুগেযুগে নানা জাতির রক্ত এসে মিশেগেছে ভালোবাসারমতো। রবীন্দ্রসাথ ভারততীর্থ কবিতায় বলেছিলেন,“ভারতবর্ষে শক হুন মোঘল পাঠান সবাই লীন হয়ে আছে।” ঠিক তেমনি বাঙালির শ্যামল শরীরে ঘুমিয়ে আছে অনেক রক্তস্রোত।

নৃতাত্ত্বিকেরা অনেক গবেষণা করে এ সিদ্ধান্তে এসেছেন, আমাদের পূর্বপুরুষ হচ্ছে সিংহলের ভেড্ডারা। এরা বহু পূর্বে সারা ভারতে ছড়িয়ে ছিলো। আমাদের শরীরে তাদের রক্ত রয়েছে বেশি পরিমাণে। তবে আমাদের শরীরে অজস্র রক্তধারার মিশ্রণ। আমাদের শরীরে যুগেযুগে নানা জাতির রক্ত এসে ভালোবাসার মতো মিশে গেছে। আমরা ভেড্ডাদের উত্তর পুরুষ। আদিবাসি সাওতাল,মুন্ডা, মালপাহাড়ি, ওরাঁওÑএদের মধ্যেই নয়, নিন্মবর্ণের হিন্দুদের মধ্যে এমনকি উচ্চবর্ণের হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যেও এদের উপাদান প্রচুর পরিমাণে পাওয়াগেছে। ভেড্ডা রক্তধারার সাথে পরে আরো একটি ধারা মিলিত হয়।

এটি হলো মঙ্গোলীয়। মঙ্গোলীয়দের চোখের গঠন বড় বিচিত্র। তাদের চোখ বাদামি রডের লাল আভা মাখা। আর চোখের কোণে থাকে ভাঁজ। বাঙালিদের মাঝে এরকম রূপ বহু দেখা যায়। এরপর আসে ইন্দো-আর্যদের রক্তধারা। আর্যরা ছিলো সুদেহী, গায়ের রঙ গৌর, অঅকারে দীর্ঘ। তাদের নাক বেশ তীক্ষ্ণ। অনেক বাঙালির মধ্যে এদের বৈশিষ্ঠও চোখে পড়ে।

এরপর আসে পারস্যের তুর্কিস্তান থেকে ‘শকেরা’, এরাও আমাদের রক্তে মিশে যায়। এভাবে নানা আকারের বিভিন্ন রঙের মানুষের মিলনের ফল আমরা।

শকদের পরেও বাঙালির রক্তে মিশেছে আরো অনেক রক্ত। বিদেশ থেকে এসেছে বিভিন্ন সময়ে বিজয়ীরা। …এদেশ শাসণ করেছে, এখানে বিয়ে করেছে, বাঙালিদের মধ্যে মিশে গেছে। এসেছে মানুষ আরব থেকে, পারস্য থেকে, এসেছে আরো বহু দেশ থেকে। তারাও আমাদের মধ্যে আছে।

একেতো বঙালি জাতি বহু জাতির সমন্বয়ে গঠিত একটি জাতি। তারোপর শত শত বছর ধরে এদেশ বিদেশিরা শাসন করেছে। তারা শুধু শাসন করেনি। তারা শাসনের নামে করেছে শোষণ। চালিয়েছে নিরিহ জনগণে ওপর অকথ্য নির্যাতন। তাদের অত্যাচারে বহু সাধারণ কৃষক তাদের সম্বল জমিটুকু হরিয়ে পথে বসতে হয়েছে। আর এদের সহযোগিতা করেছে এদেশেরই অধিক মুনাফা লোভী জমিদার নামক সমাজপতিগণ। তারা যুগযুগ ধরে আমাদের সমাজে ছিলো এবং থাকবে।

একেতো বঙালি জাতির উৎপত্তি বহু জাতির রক্তধারা; অপরদিকে তারা বহিরাগত শাসকদের অত্যাচা-নির্যাতনে হয়ে পড়েছে মানবতা বিবর্যিত। বোধ হয় এ জন্যই আমাদের স্বভাব চরিত্র্র এমনি বৈচিত্রধরণের। কেউ কারো কথা শুনে না, কেউ কাউকে মানে না। ছেলে পিতার কথা মানে না,পিতা সন্তানের কথায় কান দেয় না।

এমনকি ছাত্রও শিক্ষকের আদেশ মানতে রাজি নয়। বর্তমানে কিছুসংখ্যক ছাত্রের মুখে শুনা যায়, তার আল্লাূহ্ ছাড়া আর কাওকে ভয় করে না। এতে বোঝা যায় তারা স্বাধীন। অর্থাৎ তারা কাউকে ভয় করতে চায় না। এমন কি তারা গুরু জনদের সম্মান করাটাকেও ভয় করার সামিল মনে করে থাকে। বিশেষ করে ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিতদের মাঝে এ চিন্তা ধারাটা পরিলক্ষিত হয় বেশি। তাদের কাছে ব্যক্তি ইচ্ছাটাই প্রধান। গোটা পৃথিবী যখন কোভিড-১৯ করোনাভাইরাস মহামারিতে আক্রান্ত। ঠিক তখন বাংলাদেশ সরকার সকল অফিস-আদালত, কল-কারখানা সাধারণ ছুটি ঘোষণা করলেন, মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার জন্য। সাথে সাথে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী লোকদের দ্বারা গণসচেতনতামূলক প্রচারণা চালালেন।

কিন্তু কে শুনে কার কথা? ছুটি ঘোষণার সাথে সাথে মানুষ রাস্তায় নেমে এলো। এ ছুটিতে একই অজুহাত দীর্ঘ ছুটিতে গ্রামের বাড়ি চলে যাবো। অথচ ছুটি দেয়া হলো মহামারির হাত থেকে নিজকে বাঁচানোর। আমরা এটুকু বোঝতে চাই না যে, আমি নিজে নিরাপদ থাকলে আমার পরিবারের সবাই ভালো থাকবে। সে সাথে সমাজের সকলে নিরাপদে থাকবে। আমি যদি আমার পরিবার, সমাজকে নিরাপদ রাখতে পারি, তাহলে এ দেশ ও জাতি নিরাপদে থাকবে। এতে কোন সন্দেহ নেই। সরকার শুধু সচেতনতামূলক প্রচারণা চালিয়েই ক্ষান্ত ছিলেন না। সে সাথে দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষদের জন্য গ্রহণ করলেন যুগান্তকারী পদক্ষেপ। তারপরও আমরা আমাদেরকে ঘরে স্বেচ্ছায় বন্দি রাখতে পারিনি। এতে বলা চলেযে, ‘বাঙালি জাতি’ উশৃঙ্খল জাতি। তাই আমরা কোভিড-১৯ করোনাভাইরাস ঠেকাতে সক্ষম হইনি।

অথচ চীন তিন মাসের মধ্যেই এ মহামারীকে জয় করতে পেরেছে। তার একমাত্র কারণ হলো তারা সভ্য জাতি। তারা সরকারী ঘোষণা মেনে নিজকে নিরাপদ করার সাথে সাথে জাতিকে মহামাররি কড়ালগ্রাস থেকে মুক্ত করে নিয়েছে।

এরপর গোটা পৃথিবী যখন করোনাভাইরাসের মহামারিতে আক্রান্ত ঠিক তখনই ভিয়েতনাম ও তাইওয়ানের জনগণ সচেতনতা অবল্বণ করেছে এবং তাদের জাতিকে তারা মহামারি থেকে রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছে। এ আলোচনা থেকে এটাই বলা যায়, ধৈর্যধারণ ব্যতিত কখনো কোনপ্রকার বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যায় না। স্বেচ্ছাচারিতা তথা উশ্ঙ্খৃলতা মাধ্যমে বিপদ জয় করা যায় না। বিপদে ধৈর্য ধারণ করাটাই বুদ্ধি মানের কাজ।

এ সৃস্টি জগতে সব কিছুই বিধাতার অমঘ নিয়ম মেনে চলে। আর আমরা মানুষরা সৃস্টির সেরা জীব। আমাদের ওপরতো অনেক দায়ীত্বই বর্তায়। পারিবারিক,সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়। সর্বোপরি ধর্মীয় অনুশাসন। এ সকল নিয়ম-নীতি ও আইন-শৃঙ্খলা মেনে চলাই শৃঙ্খলাবোধ। আমাদের মাঝে শৃঙ্খলাবোধ থাকটা একান্তভাবে জরুরী। মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব শৃঙ্খলার মধ্যেই নিহিত থাকে।#