০৩:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫

সিদ্ধিরগঞ্জে মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

অনলাইন-সংস্করণ
  • ০৮:৩৫:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫
  • / ৮৭৭
সংবাদটি-শেয়ার-করুন

সিদ্ধিরগঞ্জে চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি ও মাদক প্রতিরোধ করার উদ্যোগ নেওয়ায় সানারপাড় এলাকার সামাজিক সংগঠন বর্ণালী সংসদের নেতাদের চাঁদাবাজ ও লুটপাটের অভিযোগে অভিযুক্ত করার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার(৫ মার্চ) দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সানারপাড় বাসস্ট্যাণ্ড এলাকায় ইমাম ওলামা পরিষদ, দক্ষিন সানারপাড় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমিতি ও বৃহত্তর সানারপাড় যুব সমাজ সহ কয়েকটি সামাজিক সংগঠনের আয়োজনে এ কর্মসূচি পালন করেন এলাকাবাসী।

মানববন্ধনে অংশ নিয়ে বর্ণালী সংসদের যুগ্ন সম্পাদক সুমন মুন্না বলেন, সানারপাড় এলাকায় ছুরি,ছিনতাই ও ডাকাতি বৃদ্ধি পাওয়ায় এলাকাবাসীর অনুরোধে বর্ণালী সংসদের উদ্যোগে রাতে পাহাড়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। গত ১ মার্চ শনিবার রাত ২ টার দিকে বাঘমারা এলাকায় কাজী ইসলামের নেতৃত্বে পাহারারত দলের সামনে পড়ে আনিসুর রহমানের ছেলে আশিক।

এসময় এত রাতে বাইরে কেন জানতে চাইলে সে সদুত্তর দিতে পারেনি। পরে তার দেহ তল্লাশী করে ২ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও গাঁজার পুটলি পাওয়া যায়। তখন এলাকার পরিচিত ছেলে হিসেবে কাজী ইসলাম তাকে চড় থাপ্পড় দিয়ে সঙ্গে থাকা মাদকদ্রব্য নষ্ট করে বাড়িতে চলে যেতে বলেন। পর দিন ২ মার্চ রোববার ইসলাম সানারপাড় বাসস্ট্যাণ্ড মসজিদে আছরের নামাজ আদায় করে বের হলে আশিকের পিতা আনিসুর রহমান ইসলামকে বলে আমার ছেলে মাদক সেবন করুক বা যা ইচ্ছা তা করুক তুই মারার কে। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায় আনিসুর রহমান, তার ভাই কাউসার, ফেরদৌস, ভাতিজা আবির ও নিবির মিলে ইসলামকে মারধর শুরু করে। খবর পেয়ে এলাকার লোকজন একত্র হয়ে পাল্টা হামলা করলে দুপক্ষের মধ্যে মারামারি হয়।

এ ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করতে ইসলাম ও তার ভাই সানারপাড় মায়তুন নূর জামে মসজিদের ইমাম কাজী মারুফসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ৭০-৮০ জনের বিরুদ্ধে অনিসুর রহমানের বোন আইনজীবী অলিফ লায়লা বাদী হয়ে ঘটনার দিন রাতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, অভিযুক্তরা চাঁদার দাবিতে বাদীর ভাই কাউসারের গ্যাস সিলিণ্ডার দোকানে হামলা চালিয়ে নগদ ৩ লাখ টাকা ও ১৩ লাখ টাকার মালামাল লুটপাট করেছে। এমন মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদে এ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

বিএনপি নেত্রী লুৎফুরন্নাহার তার বক্তব্যে বলেন, অভিযোগকারী আইনজীবী আলিফ লায়লা ও তার ভাই ভাতিজারা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তার ভাই ফেরদৌস জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় করা হত্যা মামলার এজাহার নামীয় আসামি। তবু বিগত দিনের মত এখনো তিনি সানারপাড় বাসস্ট্যাণ্ড এলাকার ফুটপাত দোকান থেকে চাঁদাবাজি করছেন। ফেরদৌস তার ভাই কাউসার, ভাতিজা আশিক, আবির ও নিবির এলাকায় চাঁদাবাজি, চুরি, ছিনতাই ও মাদক ব্যবসা করছে দীর্ঘদিন ধরে। অথচ স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেন না।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহিনুর আলম বলেন, মারামারির ঘটনায় পাল্টা পাল্টি অভিযোগ হয়েছে। দুটি অভিযোগ তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


সংবাদটি-শেয়ার-করুন

আমাদের সাথে সংযুক্ত থাকুন

সিদ্ধিরগঞ্জে মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

০৮:৩৫:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ মার্চ ২০২৫
সংবাদটি-শেয়ার-করুন

সিদ্ধিরগঞ্জে চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি ও মাদক প্রতিরোধ করার উদ্যোগ নেওয়ায় সানারপাড় এলাকার সামাজিক সংগঠন বর্ণালী সংসদের নেতাদের চাঁদাবাজ ও লুটপাটের অভিযোগে অভিযুক্ত করার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার(৫ মার্চ) দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সানারপাড় বাসস্ট্যাণ্ড এলাকায় ইমাম ওলামা পরিষদ, দক্ষিন সানারপাড় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমিতি ও বৃহত্তর সানারপাড় যুব সমাজ সহ কয়েকটি সামাজিক সংগঠনের আয়োজনে এ কর্মসূচি পালন করেন এলাকাবাসী।

মানববন্ধনে অংশ নিয়ে বর্ণালী সংসদের যুগ্ন সম্পাদক সুমন মুন্না বলেন, সানারপাড় এলাকায় ছুরি,ছিনতাই ও ডাকাতি বৃদ্ধি পাওয়ায় এলাকাবাসীর অনুরোধে বর্ণালী সংসদের উদ্যোগে রাতে পাহাড়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। গত ১ মার্চ শনিবার রাত ২ টার দিকে বাঘমারা এলাকায় কাজী ইসলামের নেতৃত্বে পাহারারত দলের সামনে পড়ে আনিসুর রহমানের ছেলে আশিক।

এসময় এত রাতে বাইরে কেন জানতে চাইলে সে সদুত্তর দিতে পারেনি। পরে তার দেহ তল্লাশী করে ২ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও গাঁজার পুটলি পাওয়া যায়। তখন এলাকার পরিচিত ছেলে হিসেবে কাজী ইসলাম তাকে চড় থাপ্পড় দিয়ে সঙ্গে থাকা মাদকদ্রব্য নষ্ট করে বাড়িতে চলে যেতে বলেন। পর দিন ২ মার্চ রোববার ইসলাম সানারপাড় বাসস্ট্যাণ্ড মসজিদে আছরের নামাজ আদায় করে বের হলে আশিকের পিতা আনিসুর রহমান ইসলামকে বলে আমার ছেলে মাদক সেবন করুক বা যা ইচ্ছা তা করুক তুই মারার কে। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায় আনিসুর রহমান, তার ভাই কাউসার, ফেরদৌস, ভাতিজা আবির ও নিবির মিলে ইসলামকে মারধর শুরু করে। খবর পেয়ে এলাকার লোকজন একত্র হয়ে পাল্টা হামলা করলে দুপক্ষের মধ্যে মারামারি হয়।

এ ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করতে ইসলাম ও তার ভাই সানারপাড় মায়তুন নূর জামে মসজিদের ইমাম কাজী মারুফসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ৭০-৮০ জনের বিরুদ্ধে অনিসুর রহমানের বোন আইনজীবী অলিফ লায়লা বাদী হয়ে ঘটনার দিন রাতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, অভিযুক্তরা চাঁদার দাবিতে বাদীর ভাই কাউসারের গ্যাস সিলিণ্ডার দোকানে হামলা চালিয়ে নগদ ৩ লাখ টাকা ও ১৩ লাখ টাকার মালামাল লুটপাট করেছে। এমন মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদে এ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

বিএনপি নেত্রী লুৎফুরন্নাহার তার বক্তব্যে বলেন, অভিযোগকারী আইনজীবী আলিফ লায়লা ও তার ভাই ভাতিজারা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তার ভাই ফেরদৌস জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় করা হত্যা মামলার এজাহার নামীয় আসামি। তবু বিগত দিনের মত এখনো তিনি সানারপাড় বাসস্ট্যাণ্ড এলাকার ফুটপাত দোকান থেকে চাঁদাবাজি করছেন। ফেরদৌস তার ভাই কাউসার, ভাতিজা আশিক, আবির ও নিবির এলাকায় চাঁদাবাজি, চুরি, ছিনতাই ও মাদক ব্যবসা করছে দীর্ঘদিন ধরে। অথচ স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেন না।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহিনুর আলম বলেন, মারামারির ঘটনায় পাল্টা পাল্টি অভিযোগ হয়েছে। দুটি অভিযোগ তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


সংবাদটি-শেয়ার-করুন